ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কেরানীগঞ্জের সড়ক বেহাল ॥ চরম ভোগান্তি

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ১২ আগস্ট ২০১৭

কেরানীগঞ্জের সড়ক বেহাল ॥ চরম  ভোগান্তি

নিজস্ব সংবাদদাতা, কেরানীগঞ্জ, ১১ আগস্ট ॥ কেরানীগঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এতে মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। বুড়িগঙ্গা ২য় সেতু থেকে ঢাকা-মাওয়া লিল্ক রোড, কদমতলী গোল চত্বর থেকে চুনকুটিয়া চৌরাস্তা, চুনকুটিয়া গালর্স হাইস্কুল রোড, চুনকুটিয়া বড় মসজিদ ব্রিজ পর্যন্ত দীর্ঘদিন ধরে খানাখন্দে ভরা। ওই সকল রাস্তা দিয়ে যানবাহন এবং স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ জনসাধাণের চলাচল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে চুনকুটিয়া গোলচত্বর এলাকায় একাধিকবার বাস ট্রাক রাস্তায় ভাঙ্গা গর্তে পড়ে উল্টে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে গাড়িতে থাকা যাত্রীরা মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে। গাড়ি উল্টে যাওয়ায় প্রায় অর্ধবেলা পর্যন্ত ওই রোড দিয়ে সকল ধরনের যান চলাচল বন্ধ ছিল। সামান্য বৃষ্টি হলেই চুনকুটিয়া চৌরাস্তা ও কদমতলী গোলচত্বরের রাস্তাটিতে দীর্ঘপথ যানজন লেগে যায়। তাছাড়া রাস্তার দুই পাশে ফুটপাথে অবৈধ দোকান পাঠ গড়ে ওঠায় রাস্তা ছোট হয়ে গেছে। যে কারণে জনসাধারণ এই রাস্তা দিয়ে চলাচলে ভোগান্তি পোহাচ্ছে। সবচেয়ে করুণ অবস্থা হলো বুড়িগঙ্গা ২য় সেতুর পাদদেশ। এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন কেরানীগঞ্জের ১২টি ইউনিয়নের ২০ লাখ লোকের অধিকাংশ জীবিকার জন্য ঢাকার শহরে যাতায়াত করে থাকেন।সেতুর দক্ষিণ প্রান্তরে খানাখন্দ, অবৈধ বাসস্ট্যান্ডের ফলে সব সময় যানজট লেগেই থাকে। বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতেই পথ ঘাট অচল হয়ে পড়ে। কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকার দরুন ২য় সেতুর পানি অর্ধ কিলোমিটার দূরে কদমতলী চৌরাস্তা হয়ে গ্রামের ভেতর দিয়ে বৌবাজার হয়ে শুভাঢ্যার খালে গিয়ে পড়ে। অথচ ১শ’ ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে বুড়িগঙ্গা ২য় সেতু। নির্মিত হয়নি কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা। তাছাড়া কয়েক বছর আগে ওই সেতুর পানি নিষ্কাশনের জন্য ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছিল একটি কালভার্ট।পরবর্তীতে পানি নিষ্কাশনের জন্য আরও কয়েকটি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। কিন্তু বর্তমানে রাস্তার দুই পাশে অপরিকল্পিতভাবে মার্কেট ও ভবন নির্মাণের ফলে সব কালভার্স বর্য আবর্জনায় বন্ধ হয়ে গেছে। বুড়িগঙ্গা ২য় সেতু দিয়ে প্রতিদিন নবাবগঞ্জ, দোহার, মুন্সীগঞ্জ, মাওয়া, মাদারীপুর, শিবচর শরীয়তপুর, ফরিদপুর, বেনাপোল, খুলনা, বরিশাল ও বাকেরগঞ্জসহ দক্ষিণাঞ্চলের ২২টি কোম্পানির কয়েক হাজার যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক, মিনি বাসসহ সকল ধরনের যানবাহন চলাচল করছে খানাখন্দ রাস্তা দিয়ে। এছাড়া স্কুল, কলেজ, ভার্সিটির শিক্ষার্থীসহ অফিসগামীদের দুর্ভোগ তো রয়েছেই। কেরানীগঞ্জের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। তারা প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে এ পথ দিয়ে যাহায়াত করে। খানাখন্দের ফলে প্রায়ই এ পথে বেড়ে চলেছে সড়ক দুর্ঘটনা ও যানজনে নাকাল হয়ে পড়েছে কেরানীগঞ্জবাসী। স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়ক ও জনপথের কিছু অসাধু কর্মকর্তার সঙ্গে ঠিকাদারের গোপন আতাত থাকায় সিডিউল মোতাবেক কাজ না করে তারা বিল তুলে নেয়। রাস্তা সংস্কারের ২-৩ মাস পরেই আবার আগের মতো খানাখন্দ হয়ে যায়।
×