ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীর আবাসিক ভবন বাণিজ্যিক ব্যবহারের অনুমতি দেবে না রাজউক

প্রকাশিত: ০৪:৫৯, ১২ আগস্ট ২০১৭

রাজধানীর আবাসিক ভবন বাণিজ্যিক ব্যবহারের অনুমতি দেবে না রাজউক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর আবাসিক এলাকার ভবনগুলো বাণিজ্যিক হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি দেবে না রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। সম্প্রতি দুই শতাধিক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মালিকদের আবাসিক ভবনকে বাণিজ্যিক হিসেবে ব্যবহার করতে রাজউকের অনুমতি নিতে হবে বলে রায় দেন আদালত। এ সময় রিটকারীদের সময় বেঁধে দেয়া হয় ১০ মাস। এ সময়ের মধ্যে নিয়ম অনুযায়ী প্লট মালিকদের কনভার্সন (রূপান্তর) ফি জমা দিয়ে রাজউকের অনুমোদন নিতে বলা হয়েছে। তবে রাজউক তা গ্রহণ করবে কিনা সেটি দেখার বিষয়। আবেদন বিবেচনা না করলে ১০ মাস পর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবে এই সংস্থাটি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাজউকের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের অনুমোদনের কোন সুযোগ নেই। রাজউক একটি আবেদনও বিবেচনা করবে না। প্রাথমিকভাবে উর্ধতন কর্মকর্তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও আদালতের আদেশের পর কেউ রাজউকে আবেদন করেননি।’ এ প্রসঙ্গে রাজউক সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ ও সম্পত্তি) আসমাউল হোসেন বলেন, ‘এমনিতেই আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন দেয়ার সুযোগ নেই। যেহেতু আদালত থেকে একটি রায় এসেছে, সেখানে সিদ্ধান্তের বিষয়টি রাজউকের ওপর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, রাজউক যদি চায় তাহলে অনুমোদন দিতে পারে। আর না চাইলে ১০ মাস পর আইনগত ব্যবস্থা নেবে। এখন কেউ যদি আবেদন করে তাহলে আমরা বিবেচনা করে দেখব।’ এ সিদ্ধান্ত শুধু যারা রিট আবেদন করেছেন তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে জানিয়ে এই রাজউক সদস্যর বক্তব্য হলো, ‘তবে এখনও আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায় রাজউকের কাছে পৌঁছায়নি। এছাড়া অন্য যারা আবাসিক ভবনে অবৈধভাবে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন তাদের বিরুদ্ধে রাজউক ব্যবস্থা নেবে।’ জানা গেছে, নির্ধারিত এই সময়ের মধ্যে যদি রাজউক থেকে কেউ অনুমোদন নিতে না পারেন তাহলে আবাসিক এলাকা থেকে এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো সরিয়ে নিতে হবে। তবে এই ১০ মাসের মধ্যে রাজউক, সিটি কর্পোরেশন, ডেসকো, তিতাসসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো রিট আবেদনকারীদের বাণিজ্যিক কর্মকা- পরিচালনায় কোন ব্যাঘাত ঘটাতে পারবে না। রাজউক সূত্র জানিয়েছে, গত বছরের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজানে ভয়াবহ জঙ্গী হামলার পর অনুমোদনবিহীন আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা করেছে রাজউক। এ সময় ৫৫২টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে। পরে সেগুলো উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। রাজউকের এ কার্যক্রমের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হাইকোর্টে ২৩৫টি রিট করে।
×