ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আগামী নির্বাচনের আগে আর কোন অর্থনৈতিক সংস্কার নয় ॥ মুহিত

প্রকাশিত: ০৭:৩৬, ১১ আগস্ট ২০১৭

আগামী নির্বাচনের আগে আর কোন অর্থনৈতিক সংস্কার নয় ॥ মুহিত

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে আর কোন ধরনের অর্থনৈতিক সংস্কার করা হবে না বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, আগামী ২০২০ সালের পর আবার সংস্কার কার্যক্রম হাতে নেয়া হবে। তার মতে, ৫ বছরের পরিবর্তে ৩ বছর মেয়াদী অর্থনৈতিক প্রাক্কলন করা প্রয়োজন, যা আরও বেশি বাস্তবভিত্তিক হবে। এছাড়া নগর উন্নয়নে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের বাসিন্দারদের হোল্ডিং ট্যাক্স (গৃহকর) বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল আমারই-তে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ‘বাংলাদেশের আর্থিক স্বচ্ছতার উন্নয়ন’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে বেসরকারী গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই)। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেনÑ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের উপ-প্রধান জোয়েল রিফম্যান। মুহিত বলেন, হোল্ডিং ট্যাক্স সিটি কর্পোরেশনের প্রধান আয়। ১৯৬১-৬২ সালে হোল্ডিং ট্যাক্স চালুর পর সেটি আর পুনঃনির্ধারণ করা হয়নি। খোকা (সাবেক সিটি মেয়র সাদেক হোসেন খোকা) একবার নোটিস দিয়ে হোল্ডিং ট্যাক্স ১১ গুণ বাড়াতে চেয়েছিল। পরে তা কার্যকর হয়নি। স্থানীয় সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকার নিজস্ব অর্থায়নে বাজেট পরিচালনার ক্ষেত্রে এখনও নাবালক। ’৬১-’৬২ সালের কাঠামোতেই সিটি কর্পোরেশনগুলো হোল্ডিং ট্যােেক্সর মাধ্যমে কিছু অর্থ আয় করে। এ ক্ষেত্রে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন এগিয়ে আছে। তবে গত ৬০ বছরে এ ট্যাক্স রিভিউ করেনি, যা তাদের আয়ের সক্ষমতাকে বাড়াছে না। নিজের উদাহরণ দিয়ে অর্থমন্ত্রী জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ বনানীতে ১৪ কাঠা জায়গার ওপর ৫ হাজার ৮০০ বর্গফুটের বাড়িতে বাস করেন তিনি। এ জন্য তাকে বছরে ১১ হাজার টাকা হোল্ডিং ট্যাক্স দিতে হয়। ট্যাক্স ছাড় পেয়ে তাকে মোট ৬ হাজার টাকার পরিশোধ করতে হয়। এরপর তিনি বলেন, এ জন্য হোল্ডিং ট্যাক্স পুনঃনির্ধারণ করতে নির্বাচিত হওয়ার পর দুই মেয়রকে বলেছি। তারা বিষয়টি দেখবে বলে জানিয়েছে।
×