ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

হাজারো গ্রাহকের মানববন্ধন

রাঙ্গামাটিতে গ্রাহকের কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে উধাও এনজিও

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ১১ আগস্ট ২০১৭

রাঙ্গামাটিতে গ্রাহকের কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে উধাও এনজিও

নিজস্ব সংবাদদাতা, রাঙ্গামাটি, ১০ আগস্ট ॥ রাঙ্গামাটি শহরের তবলছড়ি এলাকায় সিসিডিআর নামে একটি এনজিও হাজারো গ্রাহকের কয়েক কোটি টাকা আত্মসাত করে উধাও হয়ে যাওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাঙ্গামাটি প্রেসক্লাবের সামনে অসংখ্য গ্রাহক মানববন্ধন করে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাত করে ওই এনজিওটি উধাও হয়ে গেছে বলে দাবি করেন। গ্রাহকরা দাবি করেন তারা কয়েক বছর ধরে এনজিওটির কাছে ৫ সহ¯্রাধিক গ্রাহক তাদের আমানতের টাকা জমা রাখে। এসব গ্রাহকের সঞ্জয়ী টাকা মেয়াদ উর্ত্তীণ হওয়ার পর টাকা তোলার জন্য গ্রাহককে অগ্রিম তারিখ দিয়ে চেক প্রদান করে। সময় হওয়ার পর গ্রাহকরা ওই সব চেক নিয়ে ব্যাংকে গেলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এ্যাকাউন্টে টাকা নেই বলে ফেরত দেয়। ফলে গ্রাহকদের মঝে সন্দেহ সৃষ্টি হয় । পরে দলে দলে গ্রাহকরা সিসিডিআর অফিসে গিয়ে অফিস বন্ধ পেয়ে ফিরে আসে বলে মানববন্ধন করতে আসা গ্রাহকরা জানান। সিসিডিআর রাঙ্গামাটি, কাউখালী, কাপ্তাই ও রাঙ্গুনিয়ায় অন্তত ৫হাজার গ্রাহক সৃষ্টি করে তাদের আমানত সঞ্চয় রাখে। হঠাৎ করে এনজিওটি উধাও হয়ে যাওয়ায় এসব এলাকার গ্রাহকরা তাদের আমানতের টাকা নিয়ে বিপাকে পড়ে যায়। গ্রাহকরা মানববন্ধন করে স্থানীয় প্রশাসনের নিকট তাদের আমানতের টাকা ফেরত পাওয়ার লক্ষ্যে ওই এনজিওর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোর দাবি জানান। নওগাঁয় লোভ দেখিয়ে প্রতারণা নিজস্ব সংবাদদাতা নওগাঁ থেকে জানান, নওগাঁয় ৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা পুরস্কারের লোভ দেখিয়ে এক গৃহবধূর কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে অভিনব কায়দায় ৫৭ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এক প্রতারক চক্র। প্রতারণার ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে মহাদেবপুর উপজেলার নওহাটামোড় বাজারে। জানা গেছে, মহাদেবপুর উপজেলার ফুলবাড়ি গ্রামের ইসরাফিল আলমের মেয়ে ও নওগাঁ সদর উপজেলার ফারাদপুর গ্রামের সোহেল রানার স্ত্রী সাবিয়া খাতুনের মোবাইল ফোনে বুধবার বিকেলে ০১৭৭৭-২৬৮৬৫৩ নম্বর ফোন থেকে কলদিয়ে কাস্টমার কেয়ার জিপির পরিচয় দিয়ে জানানো হয়, আপনি আমাদের কোম্পানির লটারীতে বিজয়ী হয়েছেন। আপনার নামে ৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা পুরস্কার লেগেছে। আপনি পুরস্কারের টাকা এক্ষুনি বিকাশের মাধ্যমে যদি নিতে চান, তাহলে আপনাকে খরচ বাবদ আমাদের কাছে ৫৭ হাজার টাকা পাঠাতে হবে। এ সময় ওই গৃহবধূ তার কাছে ৫৭ হাজার টাক্ ানেই বলে জানালে অপরপ্রান্ত থেকে গৃহবধূকে বলা হয়, আপনার কাছে টাকা নেই তো কি হয়েছে। আপনি আপনার পার্শ্ববর্তী বাজারে গিয়ে বিকাশের দোকান থেকে আমাদের নম্বরে প্রথমে ৫৭ হাজার টাকা পাঠিয়ে দিলে আমরা টাকা পাওয়ার পর কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনার ৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বিকাশে পাঠিয়ে দেব। আপনি সেই টাকা থেকে দোকানিকে ৫৭ হাজার টাকা দিয়ে বাকি টাকা নিয়ে যাবেন। এমন সব মন ভুলানো প্রতারকদের কথায় গৃহবধূ সাবিয়া খাতুন রাত ৮ টারদিকে নওহাটামোড় বাজারে গিয়ে জনৈক ফিরোজ হোসেন নামে এক বিকাশের এজেন্টের (দোকানির) কাছে ৫টি নম্বরে ৫৭ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন।
×