ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কক্সবাজারে বন্যায় সড়ক ধসে যোগাযোগ বন্ধ ॥ দুর্ভোগ

প্রকাশিত: ০৬:০৪, ১১ আগস্ট ২০১৭

কক্সবাজারে বন্যায় সড়ক ধসে যোগাযোগ বন্ধ ॥ দুর্ভোগ

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ সদরের গুরুত্বপূর্ণ জনপদ ঈদগাঁও’র সঙ্গে ফরাজীপাড়া ও পোকখালীর সড়ক যোগাযোগ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় লক্ষাধিক মানুষ প্রতিদিন ভোগান্তির সম্মুখীন হচ্ছে। জুলাই মাসে প্রবল বন্যায় সড়কের ৩টি স্থানে বিশালাকার ভাঙ্গনের সৃষ্টি ও বন্যা পরবর্তী জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বাঁশের তৈরি দুটো সাঁকো নির্মাণ করে দেয় ভাঙ্গা অংশের ওপর। সে থেকে অদ্যাবধি সাঁকো দুটির ওপর দিয়ে লোকজন কোনমতে এপারওপার হচ্ছে। এদিকে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় ওই সড়ক ব্যবহারকারী বিভিন্ন শ্রেণী- পেশার মানুষ প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। বিশেষ করে স্কুল, কলেজ এবং মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থী, রোগী ও পণ্য পরিবহনকারীরা পড়েছে চরম বিপাকে। প্রতিদিন দুটি সাঁকো পেরিয়ে যাতায়াত করতে খুবই কষ্ট হচ্ছে বলে ঈদগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে অনীহা প্রকাশ করছে বলে জানিয়েছেন অভিভাবকরা। দীর্ঘদিন ধরে বেকার বসে আছে জানিয়ে অটোরিক্স্রা, সিএনজি এবং ইজিবাইক চালকরা বলেন, নুন আনতে পান্থা ফুরোয় এমন সংসারের ঘানি টানতে খুবই বেগ পেতে হচ্ছে। গাড়ি চালাতে না পারায় কষ্টে আছে সকলের পরিবার-পরিজন। ভাঙ্গা সড়ক কবে মেরামত করা হবে তাকিয়ে আছে গাড়িচালকরা। ইউপি চেয়ারম্যান ও সাবেক ছাত্রনেতা ইমরুল হাসান রাশেদ জানান, এমপি, জেলা প্রশাসক, ইউএনও, জেলা এবং উপজেলা প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের লোকজন বন্যার পর ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করে গেছেন। পুলিশের ধাওয়ায় তিস্তায় নিখোঁজ ॥ ৫ দিন পর লাশ উদ্ধার স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ উলিপুর থানা-পুলিশের ধাওয়া খেয়ে তিস্তা নদীতে লাফিয়ে পরে নিখোঁজ হয় আবুল কালাম। ৫ দিন পর তার লাশ বৃহস্পতিবার সকালে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের তিস্তা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। জানা গেছে, উলিপুর থানা-পুলিশের ধাওয়া খেয়ে গত রবিবার বিকেলে উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের নেফড়া গ্রামের আবুল কালাম (৪৫) নাগড়াকুড়া গ্রামের টি-বাঁধের উত্তর দিকে নদীর উপকণ্ঠে কয়েকজন মিলে তাস খেলছিল। ওইদিন বিকেলে সাদা পোশাকধারী পুলিশের একটি দল ওযারেন্টভুক্ত আসামি ধরতে স্থানীয় নাগড়াকুড়া বাজারে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের ধাওয়া করে। এ সময় অন্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও আবুল কালাম, সাইদুল ইসলাম ও শাহীন মিয়া পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে নদীতে লাফিয়ে পড়ে। সাইদুল ও শাহীন সাঁতরিয়ে তীরে উঠলেও আবুল কালাম নিখোঁজ হয়।
×