ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বিসিআইসির সঙ্গে টেলিটকের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

সারের অবস্থান জানতে ট্র্যাকিং পদ্ধতি চালু হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ১১ আগস্ট ২০১৭

সারের অবস্থান জানতে ট্র্যাকিং পদ্ধতি চালু হচ্ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সার ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনতে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের (বিসিআইসি) সঙ্গে কর্পোরেট সমঝোতা স্মারক (এমওআই) সই করেছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মোবাইল অপারেটর টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড (টিবিএল)। বৃহস্পতিবার রাজধানীর মতিঝিলে শিল্প মন্ত্রণালয়ে দুই পক্ষের মধ্যে এ সমঝোতা স্মারক সই হয়। শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের উপস্থিতিতে বিসিআইসির পক্ষে সংস্থার সচিব হাসনাত আহমেদ চৌধুরী এবং টেলিটকের পক্ষে সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মোঃ গোলাম কুদ্দুস সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। এ কর্পোরেট সমঝোতা স্মারকের আওতায় টেলিটক বিসিআইসিকে হ্রাসকৃত মূল্যে ভয়েস, এসএমএস, এমএমএস, মোবাইল ট্রাকিংসহ অন্যান্য প্রযুক্তিগত সেবা দেবে। এর আওতায় সমুদ্রপথে আমদানিকৃত ইউরিয়া সার মাদার ভেসেল থেকে শুরু করে ডিলার পর্যন্ত পৌঁছানোর গোটা পরিবহন কার্যক্রম ট্র্যাকিং করা যাবে। ফলে বিসিআইসির সার মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার হবে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজেদের মধ্যে কম খরচে টেলিটক সিম ব্যবহার করে যোগাযোগের সুযোগ পাবেন। সংস্থার নিয়োগ, বদলি, পদায়ন, পদোন্নতি, দরপত্র আহ্বানসহ সব দাফতরিক কার্যক্রম ই-সেবার আওতায় আসবে। এতে করে বিসিআইসির আওতাধীন কারখানাগুলোর উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পাবে। অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী বলেন, টেলিটকের প্রযুক্তিগত সহায়তায় মোবাইল ট্র্যাকিং সুষ্ঠু সার ব্যবস্থাপনায় নতুন মাত্রা যোগ করবে। বিসিআইসি আমদানিকৃত সার পরিবহনকালে ৭ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার সব সময় ট্রানজিটে থাকে। এ সারের সঠিক অবস্থান তদারকির জন্য মোবাইল ট্র্যাকিং পদ্ধতি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। তিনি রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প কারখানার উৎপাদনশীলতা বাড়াতে অন্যান্য কারখানার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করতে টেলিটকের প্রতি পরামর্শ দেন। টেলিটকের মোবাইল ট্র্যাকিং প্রযুক্তির প্রসার জঙ্গী অর্থায়ন প্রতিরোধ এবং দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় কার্যকর অবদান রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে মোবাইল যোগাযোগ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে টেলিটক পথিকৃতের ভূমিকা রেখেছে। ইতোমধ্যে ১০ লাখ নারীর মধ্যে সিম বিতরণ করে টেলিটক মাতৃ ক্ষমতায়নে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। ভবিষ্যতে ২০ লাখ নারীকে সিম দিয়ে টেলিটক নারী ক্ষমতায়নে অবদান রাখবে। তিনি জানান, টেলিটক নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করতে কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ২০১৮ সালের জুনের মধ্যে জেলা পর্যায়ে টেলিটক নেটওয়ার্ক শক্তিশালী ও উন্নত করা হবে।
×