তামাক গাছ থেকে জিকার টিকা
মার্কিন বিজ্ঞানীরা এই প্রথম গাছ থেকে জিকা ভাইরাসের টিকা আবিষ্কার করেছেন। তামাক গাছকে কাজে লাগিয়ে এটি তৈরি করা হয়েছে। এ টিকা এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত জিকা ভাইরাসজনিত রোগের অন্যান্য ওষুধের চেয়ে অনেক কার্যকর, সস্তা এবং সহজে উৎপাদনযোগ্য বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
তারা জানান, ইঁদুরের ওপর এ টিকা পরীক্ষায় বিভিন্ন ধরনের জিকা ভাইরাসের বিরুদ্ধে দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতায় ১০০ ভাগ সাফল্য এসেছে। টিকাটি অনেক বেশি নিরাপদ। উৎপাদন খরচও অন্যান্য বিকল্প প্রতিষেধকের তুলনায় উল্লেখযোগ্য কম এবং বেশ কার্যকরও বলেন, এ্যারিজোনা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দলের প্রধান গবেষক কিয়াং শন চেন।
জিকা ভাইরাসের বহিরাবরণে থাকা একটি প্রোটিনকে লক্ষ্য করেই টিকাটি তৈরি করা হয়েছে। প্রোটিনটিকে ভাইরাসমুক্ত করে সেটি দিয়েই আক্রান্ত মানুষকে জিকামুক্ত করা যেতে পারে।
টিকাটি দেহের রোগ-প্রতিরোধে কতটা সাড়া দেয় সেটি দেখতেই ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষক চেন। তবে তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ভাইরাসটি সক্রিয় থাকা অবস্থায় এ টিকা অতটা নির্ভরযোগ্য নাও হতে পারে এবং মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টিরও আশঙ্কা আছে। যে কোন জিকা ভাইরাসের টিকারই সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করাটা জরুরী। বিশেষ করে গর্ভবতী যেসব নারীর এ টিকা দরকার তাদের স্বাস্থ্যের জন্য এটি নিরাপদ হওয়া উচিত বলে জানান চেন। তিনি বলেন, টিকাটি ১০০ ভাগ নিরাপদ এবং কার্যকর হওয়া চাই।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোতে জিকা ভাইরাস আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। জিকা ভাইরাস প্রথম আফ্রিকায় ধরা পড়ার পর এটি দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোতে।
জিকা ভাইরাস মূলত মশা থেকে ছড়ায়। মশাবাহিত এ ভাইরাসে গর্ভবতী নারীরা আক্রান্ত হলে তাদের শিশু বিকৃত মস্তিষ্ক নিয়ে জন্মাতে পারে। -আইএএনএস
ফেসবুকে নতুন ভিডিও সার্ভিস ‘ওয়াচ’
একটা সময়ে মানুষ ফেসবুকে কেবল মনের অনুভূতি লিখে পোস্ট দিত। ছবিও শেয়ার করত। কিন্তু সামাজিক মাধ্যমটিতে এখন নতুন নতুন উপাদান যোগ হচ্ছে। মূলত, তরুণদের আকৃষ্ট করতে এসব উদ্ভাবন নিয়ে আসা হচ্ছে। এসব কারণেই বিশ্বের অন্যতম একটি জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। এবার এটি তার ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন ভিডিও সার্ভিস আনতে যাচ্ছে। নতুন নক্সা করা এই ‘ওয়াচ’ ট্যাবটি আনুষ্ঠানিক উন্মোচন করছে ফেসবুক। ভিডিও সার্ভিসের নাম দেয়া হয়েছে ওয়াচ। বলা হচ্ছে, ইউটিউব ও টিভি নেটওয়ার্কিংয়ের সঙ্গে পাল্লা দেবে ফেসবুকের নতুন এই সার্ভিসটি। এই ওয়াচ ট্যাবের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা নতুন ধরনের টিভি শো দেখতে পারবেন, এগুলোর মধ্যে কিছু থাকবেÑসোশ্যাল নেটওয়ার্কের অর্থায়নে তৈরি শো। ওয়াচ নামের এই ভিডিও ট্যাবটি ‘পার্সোনালাইজ’ও করা যাবে যেন ব্যবহারকারীরা নতুন শো দেখতে পারেন, তাদের বন্ধুরা কী দেখছেন তার ওপর ভিত্তি করে নতুন নতুন শো-ও আবিষ্কার করতে পারবেন তারা।
নিজের ফেসবুক পোস্টে কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ বলেছেন, একটি শো দেখা মানে শুধু দেখেই বসে থাকলাম তা নয়। এটি একটা অভিজ্ঞতা শেয়ারের সুযোগ এবং এক ধরনের মনোভাব বা চিন্তাভাবনা ধারণ করা মানুষকে একত্র করারও একটি ক্ষেত্র হতে পারে এটি। বিবিসি অনলাইন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: