ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ১১ আগস্ট ২০১৭

উবাচ

দৈত্য শাসক! স্টাফ রিপোর্টার ॥ একি বললেন বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর! এই সময়ে দৈত্যের কথা শোনা যায় বিভিন্ন কল্পকাহিনীতে। ভয়ঙ্কর রূপে দৈত্যের তা-বের কথা বিভিন্ন টেলিভিশন সিরিয়ালেও মাঝেমধ্যে দেখা যায়। কিন্তু একটি নির্বাচিত সরকার ও তাদের কর্মকা-কে দৈত্যের সঙ্গে তুলনা করা, এটা কেমন কথা। একজন দায়িত্বশীল রাজনীতিবিদ হিসেবে এমন মন্তব্য কতটুকু শোভন বা রাজনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে কি-না এ প্রশ্নই এখন বোদ্ধা মহলে। বুধবার একটি অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই শাসকরা এখন দৈত্যে পরিণত হয়েছে। তাদের দায়িত্ব ছিল গণতন্ত্রকে রক্ষা করা, সেই গণতন্ত্রকে রক্ষা না করে তারা মনস্টারে (অপদেবতা) পরিণত হয়েছে, দৈত্যে পরিণত হয়েছে। ধ্বংস করে দিচ্ছে সবকিছু। তিনি বলেন, আপীল বিভাগকে সংবিধানের অভিভাবক বলা হয়। সংবিধানের যেখানে যেখানে ক্রটি থাকে অথবা যে আইনগুলো সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্য নয়, আপীল বিভাগ সে বিষয়গুলো নিয়ে মতামত প্রদান করে। সংসদে যে আইনগুলো পাস করা হয়েছে, সংবিধান যে সংশোধন করা হয়েছে, সে সম্পর্কে ইতিপূর্বেও আপীল বিভাগ তার মতামত প্রদান করেছে। জনগণের যেটা প্রাপ্য, জনগণের যে আশা-আকাক্সক্ষা সেটাই তারা বলেছে। সরকার বিচার বিভাগের ‘প্রতিপক্ষ’ হিসেবে অবস্থান নিয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “অর্থমন্ত্রী যে কথা বলেছেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী যে কথা বলেছেন- এতে একটি বিষয় খুব পরিষ্কার যে, এ সরকার ‘বিচার বিভাগের প্রতিপক্ষ’ হিসেবে অবস্থান নিয়েছে।” অনুমতির অপেক্ষা স্টাফ রিপোর্টার ॥ অনুমতির অপেক্ষায় আছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বারবার মত পাল্টানো নেতা হিসেবে পরিচিত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এ অনুমতিটুকু আসতে হবে আবার খোদ সরকারপ্রধান শেখ হাসিনার কাছ থেকে। তাহলেই তার দলের নেতারা মন্ত্রিপরিষদ থেকে পদত্যাগ করবেন। তিনিও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূতের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন। প্রশ্ন হলো, প্রধানমন্ত্রী যদি অনুমতি না দেন? তাহলে কী করবেন এরশাদ বিষয়টি খোলাসা করেননি। যদিও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এরশাদের বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এটা মহাজোটের নয়, ঐকমত্যের সরকার। এরশাদের মন্ত্রীরা সরকার থেকে বেরিয়ে যেতে চাইলে যাবেন। তিনি বলেন, আমার মনে হয় না তারা যাবেন। এ রকম কোন আলামতও নেই। হয়ত এ কথাই সত্য। কারণ জাপা বিরোধী দলে যাওয়ার পর থেকেই মন্ত্রীদের পদত্যাগের বিষয়টি দলে আলোচনায় আসে। অনেকবার এরশাদ নিজেই পদত্যাগের কথা বলেছেন কিন্তু সবকিছু তো চলছে ঠিকঠাকই। যদিও ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের পর এরশাদ এখন অনেকটাই চুপচাপ। কোন পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখাননি। হয়ত লস যাবে যাবে, এমন চিন্তা থেকেই নিজেকে গুটিয়ে রেখেছেন। পদত্যাগের চিন্তা গুটিয়ে রেখে দিয়েছেন শিকায়। গত বৃহস্পতিবার দলের একটি অনুষ্ঠানে এরশাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি পেলেই মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করবে জাতীয় পার্টি। আমরাই বিরোধী দল। যদিও আমরা সরকারে আছি, আমাদের তিনজন মন্ত্রী সরকারে। এটা আমাদের জন্য লজ্জার ব্যাপার। আশা করি এ লজ্জার হাত থেকে আমরা মুক্তি পাব। এরশাদ বলেন, আমাদের সবাইকে পদত্যাগ করতে হবে। আমি প্রধানমন্ত্রীকে এ বিষয়ে বলেছি। কথা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী আমাকে এ পদটা দিয়েছেন, সম্মান দিয়েছেন। তার সঙ্গে আলোচনা না করে আমি তাকে অসম্মান করতে চাই না। একটা সম্মানের ব্যাপার আছে। নির্বাচিত সরকার নেই! স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভোট হলো। ক্ষমতা নিল নির্বাচিত সরকার। ইতোমধ্যে সরকারের প্রায় চার বছর পূর্ণ হতে চলেছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সর্বত্র এখন জল্পনা-কল্পনা। কিন্তু নাগরিক ঐক্যের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না নির্বাচিত সরকারকে চোখে দেখেন না। তিনি বলেছেন, রাষ্ট্রে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার নেই বলে বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেছেন। তখন অনুষ্ঠানে উপস্থিত অনেকেই বলছিলেন ভিন্ন কথা। তারা বলেন, দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে এ সরকারের মেয়াদে বেশ কিছুদিন জেলে ছিলেন সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা মান্না। এজন্য হয়ত সবকিছু তালগোল পাকিয়ে গেছে। সঠিক কথা মনে করতে পারছেন না হয়ত। মান্না বলেন, ষোড়শ সংশোধনী মামলার রায়ে সুপ্রীমকোর্টের সিদ্ধান্তে জাতির স্বপ্ন ও প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে এবং আপীল রায় নিয়ে সরকারের মন্ত্রীদের মন্তব্য আদালত অবমাননার শামিল বলে মনে করেন দেশের রাজনীতিতে ‘তৃতীয় শক্তি’ গড়তে তৎপর এ নেতা। তিনি বলেন, নাগরিক ঐক্য মনে করে, ষোড়শ সংশোধনী রাষ্ট্রকে উল্টোপথে নেয়ার সংশোধনী ছাড়া আর কিছু নয়। তাই সংশোধনী বাতিল করে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেয়ায় সুপ্রীমকোর্টের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। বিচার বিভাগের স্বাধীনতার প্রশ্নে এ রায় জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করলেও এ নিয়ে সরকারের শীর্ষমহলের প্রতিক্রিয়া অনভিপ্রেত। অথচ মজার ব্যাপার হচ্ছে, সংশোধনী বাতিল করা বিচারপতিরা এ সরকারের আমলেই আপীল বিভাগে নিয়োগ পেয়েছিলেন। তাই তাদের এ দল, ওই পন্থী এমন তকমা লাগানোর সুযোগ নেই।
×