ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মানববন্ধনে বক্তারা

আরেফিন সিদ্দিকের অপরাধ কি ঢাবিকে স্থিতিশীল রাখা

প্রকাশিত: ০৭:৪০, ১০ আগস্ট ২০১৭

আরেফিন সিদ্দিকের অপরাধ কি ঢাবিকে স্থিতিশীল রাখা

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিককে কেন্দ্র করে কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত সংবাদকে ‘অপসাংবাদিকতা’ আখ্যা দিয়ে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ঢাবি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশন মানববন্ধনের আয়োজন করে। মানববন্ধনে বক্তারা প্রশ্ন রাখেন, ক্যাম্পাসের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রেখে যথাসময়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন শেষ করার ব্যবস্থা করা কি আরেফিন সিদ্দিকের অপরাধ? আরেফিন সিদ্দিকের অপরাধ কি বিগত আট বছরে বিশ^বিদ্যালয়কে স্থিতিশীল রাখা? আরেফিন সিদ্দিকের অপরাধ কি বিগত আট বছরে বিশ^বিদ্যালয়ের একটি টাকাও নিজ পকেটে না নেয়া? আরেফিন সিদ্দিকের অপরাধ কি বিশ^বিদ্যালয়ে অসাম্প্রদায়িক পরিবেশ বজায় রাখা? আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে এই অপসাংবাদিকতার মাধ্যমে একটি মহল ঢাবি ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে বলেও দাবি বক্তাদের। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম। বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন বিভাগের অধ্যাপক শেখ আবদুস সালাম, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রহমত উল্লাহ, নীল দলের সাবেক আহ্বায়ক পুষ্টিবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক নাজমা শাহীন, হাজী মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক নিজাম উদ্দিন, স্যার এ এফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ আফতাব উদ্দিন, অধ্যাপক নাদির জুনাইদ, সাবরিনা সুলতানা চৌধুরী, সহযোগী অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, সামিয়া রহমান, দৈনিক মানবকণ্ঠের সম্পাদক আনিস আলমগীর, বিশ্ববিদ্যালয় এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন কর্মকার, সাবেক জেলা জজ শামসুল হক প্রমুখ। অধ্যাপক শেখ আবদুস সালাম বলেন, সিনেট একটি চলমান প্রক্রিয়া। ১৯৭৪ সাল থেকে আজ পর্যন্ত কোন সময়ই উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের সময় সিনেট পূর্ণাঙ্গ ছিল না। মানববন্ধনে বিভিন্ন ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে অংশগ্রহণ করেন শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। তাদের ব্যানারে ছিল, ‘অপসাংবাদিকতার বিরুদ্ধে আমরা’, ‘সত্যের সন্ধানে ব্রতী, সদা জাগ্রত আমরা’ প্রভৃতি। তাদের বহন করা প্ল্যাকার্ডে ছিল ‘ঢাবি অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা কেন?’, ‘ভিসি স্যারের দোষ কি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন করা?’, ‘অপসাংবাদিকতা বন্ধ কর’, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বন্ধ কর’ ইত্যাদি।
×