ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অবিনাশী মুজিব

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ১০ আগস্ট ২০১৭

অবিনাশী মুজিব

বঙ্গবন্ধু আর বাংলাদেশ যমজ শব্দ। এই যমজ দুই শব্দকে কখনই বিচ্ছিন্ন করা যাবে না। কেউ যদি বিচ্ছিন্ন করতে চায় তাহলে সে বা সেই শক্তি ধ্বংসের অতল গহ্বরে তলিয়ে নিশ্চিহ্ন হতে বাধ্য। আর এমনই একটি কুপ্রয়াস চালিয়েছিল খন্দকার মোশতাক গংরা। ইতিহাস সাক্ষী তারা আজ কোথায়। কিন্তু বাঙালীকে নিয়ে যার চিন্তা অষ্টপ্রহর তিনি আজ সবার হৃদয়ের মণিকোঠায় অবস্থান করে নিয়েছেন। তাঁর শাহাদত বার্ষিকীতে সবার অন্তরাত্মা হু হু করে কেঁদে ওঠে। এই অনাড়ম্বর ও মানবদরদী নেতার প্রিয় একটি ঠিকানা তাঁর ধানম-ির ৩২ নম্বর বাড়িটি। এই বত্রিশ নম্বর বাড়িতে বসে বাংলাদেশের স্থপতি স্বাধিকার ও স্বাধীনতা অর্জনের জন্য প্রায় কর্মসূচীগুলোর খসড়া প্রণয়ন ও কর্মপন্থা প্রস্তুতকরণ এবং কার্যাবলী সম্পাদন করেছেন। আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের এক মিলনস্থল ছিল এই বাড়িটি। এ বাড়ি থেকেই পরিকল্পনা নিয়ে ৭ মার্চের সেই স্বাধিকার বোধের ভাষণ দিয়েছিলেন তিনি। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে ওয়্যারলেসের মাধ্যমে তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন স্বাধীনতার এই বাড়িটি থেকে। সুতরাং সন্দেহাতীতভাবে এই বাড়িটিকে আমরা স্বাধিকার-স্বাধীনতা আন্দোলনের সূতিকাগার বলতে পারি। রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ, শহীদদের জীবন ও মা-বোনদের সম্ভ্রমের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জনের পর এই স্বাধিকার-স্বাধীনতার সূতিকাগার বাড়িটির গুরুত্ব আরও বেড়ে গিয়েছিল। স্বাধীন দেশে কোন বাঙালী তাঁর নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে নাÑ এমন দৃঢ় বিশ্বাস ছিল বঙ্গবন্ধুর। সে জন্যই সরকারী বাসভবনের পরিবর্তে তিনি থাকতেন তাঁর প্রিয় ঐতিহাসিক ৩২ নম্বর ধানম-ির অপরিসর নিজ বাসভবনেই। বাঙালীর স্বাধিকার-স্বাধীনতা আন্দোলনের সূতিকাগার এ বাড়িটি অসম্ভব প্রিয় ছিল বঙ্গবন্ধুর। এখানে থেকেই বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ার কাজে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছিলেন। বাংলাদেশের আঁতুড়ঘর নামে খ্যাত এই স্বাধিকার-স্বাধীনতার সূতিকাগারকে হায়েনারা তাদের খাণ্ডব থাবায় ক্ষত-বিক্ষত করল। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে
×