ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সব্যসাচী দাশ

সুভাষিণী পূর্ণিমা

প্রকাশিত: ০৫:১৭, ১০ আগস্ট ২০১৭

সুভাষিণী পূর্ণিমা

হয় শিরোনাম না হয় লেখার শুরুতে, পূর্ণিমা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। গত কয়েক দিন ধরে এমন খবর ছিল অহরহ। তাকে নিয়ে নতুন কোন খবর লেখা, সঙ্গে তার ছবি ছাপা হলে দর্শক বিনোদন পাতায় একটু বেশি মনোযোগী হন। হবেন না কেন! তিনি তো অনেক আগেই অগণিত দর্শকের মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন। বহু মানুষের স্বপ্নের রাজকুমারী হয়েছেন, তাদের কারও কারও স্বপ্ন এখনও ভাঙেনি! পূর্ণিমার মায়াবি আলোতে এখনও তারা জোছনা মাখে। গত ৬ আগস্ট ছিল মহাত্মা রবি ঠাকুরের প্রয়াণ দিন। বাঙালী হিসেবে আমরা সকলেই এই দিনের গুরুত্বে বুঝি। সময়ের স্রোত বেয়ে বেয়ে রবীন্দ্রনাথ পৌঁছেছেন আমাদের রক্ত স্রোতে। তাঁর সঙ্গে আমাদের অস্তিত্বের সম্পর্ক। আর চিত্তবিনোদন তো চিরদিনের। চিত্র নায়িকা পূর্ণিমা, রবি ঠাকুরের গল্পের চরিত্র হয়ে আমাদের একাধিক বার তার সারল্য রূপের চমক দেখিয়েছেন। সহিত্যপ্রেমী দর্শকও তাকে মাথায় তুলে রেখেছেন। রবীন্দ্রনাথের গল্পের চরিত্রে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা এবং সাধারণ চরিত্র করার উপলব্ধি ও না করতে পারা এমন চরিত্র বা আগামী দিনের ইচ্ছা! এমন সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে কথা হয় পূর্ণিমার সঙ্গে। তিনি রাজি হলেন আনন্দকণ্ঠের করা এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে। ‘শাস্তি’র চন্দরা, ‘সুভা’র সুভাষিণী এবং ল্যাবরেটরির সোহিনী করেছেন। এই চরিত্রগুলোর করার অভিজ্ঞতা বলুন? পূর্ণিমা, এই চরিত্রগুলো সম্পর্কে আমার অভিজ্ঞতা খুবই রিচ। যেহেতু, ওই চরিত্রগুলো রবি ঠাকুরের সৃষ্টি তাই আমাকে সেভাবেই কাজ করতে হয়েছে। গল্পের ধারা ঠিক রেখে। আপনার করা অন্য চরিত্রগুলোর সঙ্গে চন্দরা এবং সুভাষিণী পার্থক্যটা কেমন ছিল? রবি ঠাকুরের গল্পের চরিত্রের সঙ্গে অন্য চরিত্রগুলোর পার্থক্য একেবারেই ভিন্ন। ওই চরিত্রগুলো পুরোটাই বাংলা সাহিত্য থেকে তুলে আনা। দর্শকদের জন্য সেভাবেই কাজ করতে হয়েছিল যাতে করে সিনেমার মধ্য দিয়ে, দর্শক সাহিত্যে প্রবেশ করতে পারে। আর অন্য চরিত্রগুলো সিনেমার গল্পের মতো করেই করেছি। দর্শকও ওভাবেই নিয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্য কোন গল্পের নায়িকা হবার ইচ্ছা আছে? হ্যাঁ, ইচ্ছা আছে। গত কয়েক বছর ধরে দর্শক আপনাকে ঈদের বিশেষ সময়ে টিভি পর্দায় দেখছে, নাটক কিংবা টেলিফিম্মে। কিন্তু দর্শক তো আপনাকে নিয়মিত রুপালি পর্দায় দেখতে চায়। হলে গিয়ে আপনার অভিনীত সিনেমা দেখতে চায়। এ ক্ষেত্রে দর্শকদের উদ্দেশে আপনি কি বলবেন? উত্তর, অনেক ব্যস্ত থাকতে হয়, এ জন্য চাইলেও সময় হয়ে ওঠে না। আর এখন যে কাজগুলো করি তা মূল তো দেখে শুনে ভেবে চিন্তে করি। যাতে করে দর্শক নিরাশ না হয়। মূলত আমার দর্শকদের কথা ভেবেই খুব সচেতন থেকে কাজ করি। আর রুপালি পর্দায়, হ্যাঁ কাজ করব। তবে ভাল গল্পের অপেক্ষায় সেই সুযোগ মিলে গেলে দর্শকদের হয়ে রুপালি পর্দায় আবারও আসব। সিনেমা প্রসঙ্গে একটা কথা বলি, ’৯০-এর দশকে আমাদের চলচ্চিত্রে একাধিক জনপ্রিয় জুটি তৈরি হয়েছিল। ইলিয়াস কাঞ্চন-দিতি, নাইম-শাবনাজ, মান্না-চম্পা, সালমান-শাবনূর সানি-মৌসুমী এই জুটিগুলো ছিল সেই সময়ের দর্শক নন্দিত। এদের বেশিরভাগ সিনেমা দর্শক হলো ভর্তি করে দেখেছে, সিটি বাজিয়েছে এবং বিনোদনের সবটুকু নির্জাস তুলে হলো ছেড়েছে। কিন্তু ২০০০ পর থেকে দু-একটি জুটি ছাড়া তেমন কোন জুটি তৈরি হয়নি যা আমাদের চলচ্চিত্র ও দর্শকদের জন্য পরবর্তীতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এ প্রসঙ্গে পূর্ণিমার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জুটি তৈরি হওয়া ভাল। একই নায়ক-নায়িকার সাত থেকে আটটি সিনেমা হিট হলেই একটা জুটি তৈরি হয়। বিনোদনের জন্য দর্শক ওই জুটিকে বেছে নেয়। রিয়াজ-পূর্ণিমা মান্না-মৌসুমী শেষের দিকে শাকিব-অপুর পর আর কোন জুটিই দর্শক পায়নি। যার ফলাফলও ভবিষ্যতের জন্য ভাল হয়নি। এখন কি নিয়ে ব্যস্ত আছেন? ঈদের নাটক নিয়ে ব্যস্ত আছি। তিনটা নাটক ইতোমধ্যে শেষ করেছি, আরও ৫টায় কাজ করছি। শেষ করা নাটক এর নাম এবং সহশিল্পী। সজলের সঙ্গে ‘অন্ধ জনে অন্ধ ক্ষণে’ ‘একটু প্রেম অনেক ভালবাসা’ সঙ্গে আছে নাঈম। তৃতীয়টা ‘পোট্রেট’ সঙ্গে ইমন ও নাঈম। এই তো সব মিলিয়ে ভালই আছি। হলিউড বলিউডের মতো বড় ইন্ডাস্ট্রিতে নাকিয়াদের কদর ‘আফটার থার্টি’তে কারণ, এই সময়ে যে কোন চরিত্র তাদের দিয়ে করানো যায়। উদাহরণ আছে ভূরি ভূরি। সেই খাতিরে দর্শকদের আগ্রহ এবং নিজেস্ব গ্লামার দুটোর কোনটাই কমেনি, চিত্র নায়িকা পূর্ণিমার। সময় এখন সুযোগের আপেক্ষায়...অদূর কোন দিনে আবারও অগণিত দর্শক পুড়বে দিনে ও রাতে পূর্ণিমার জোছনায়! ছবি: আরিফ আহমেদ
×