ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রূপালী ব্যাংকের চাকরিচ্যুত সিবিএ নেতাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ১০ আগস্ট ২০১৭

রূপালী ব্যাংকের চাকরিচ্যুত সিবিএ নেতাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ মোস্তাক-কাবিলের নেতৃত্বাধীন রূপালী ব্যাংক সিবিএ’র বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী ও দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করার অভিযোগ এনে পদত্যাগ করেছেন কেন্দ্রীয় কার্যকরী সভাপতি মোঃ রিপন মৃধা। গত ৩১ জুলাই শ্রম পরিচালক বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। সিবিএ সভাপতি খন্দকার মোস্তাক আহমেদ ও সেক্রেটারি কাবিল হোসেন কাজীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন বিভিন্ন হঠকারী কর্মকা-ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি নষ্ট করার। মোস্তাক ও কাবিলসহ ওই পরিষদের চার কর্মকর্তা বর্তমানে চাকরিচ্যুত আছেন ব্যাংকের জিএম, ডিজিএমসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের লাঞ্ছিত করার অপরাধে। পদত্যগপত্রে মোঃ রিপন মৃধা লিখেছেন, রূপালী ব্যাংক কর্মচারী ইউনিয়ন (বি-১৬৭৪) একটি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংগঠন যার নেতৃত্বে ব্যাংক বিক্রির আন্দোলন, কর্মচারীদের ন্যয়সঙ্গত দাবি-দাওয়া আদায়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, মোস্তাক-কাবিল পরিষদ শ্রম আইন পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত থেকে বিভিন্ন হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। ফলে প্রতিষ্ঠান ও দলের সুনাম ক্ষুণœ হচ্ছে। এতে করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। যা প্রতিষ্ঠান ও জাতির জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। এহেন পরিস্থিতিতে মোস্তাক-কাবিলের নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের কার্যকরী সভাপতি পদ থেকে কোন প্রকার প্ররোচনা ব্যতীত সুস্থ মস্তিষ্কে পদত্যাগ করলাম। এদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ১৫ আগস্ট কেন্দ্রিক চাঁদাবাজি না করার কঠোর নির্দেশ দিলেও মানছে না মোস্তাক-কাবিলের নেতৃত্বাধীন সিবিএ। ১৫ আগস্ট শোক দিবস পালন করার নামে রূপালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের আশপাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চাঁদাবাজি করার অভিযোগ উঠেছে মোস্তাক-কাবিলের বিরুদ্ধে। চাঁদা দিতে বাধ্য হচ্ছেন ভাসমান ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও। একাধিক ব্যবসায়ী তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ করলেও নাম প্রকাশ করতে সাহস পাচ্ছেন না কেউ। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মোস্তাক ও কাবিলের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন সিবিএ নেতাকর্মী গত ৫ ডিসেম্বর রূপালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়ের জিএম নুরুজ্জামান, উপ-মহাব্যবস্থাপক শওকত আলী খান ও সহকারী মহাব্যবস্থাপক সাখাওয়াত হোসেনসহ চার কর্মকর্তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। গতবছরের ২ জুলাই ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে ৫ লাখ টাকার বেশি মূল্যের মালামাল চুরিতে সহযোগিতা করার অভিযোগ রয়েছে কাবিলের বিরুদ্ধে। এর আগে ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি মোস্তাক-কাবিলের নেতৃত্বে সিবিএ নেতা-কর্মীরা ১০ কর্মকর্তাকে পিটিয়ে আহত করে। আহতরা হলেন ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার আল্লামা ইকবাল রানা, ফরিদ আহমেদ জুয়েল, নিয়াজ মোর্শেদ, শওকত হোসেন, ইসমাইল হোসেন, শামসুল হক ইভান। এর প্রেক্ষিতে গত ১৯ জুলাই সিবিএ সভাপতি খন্দকার মোস্তাক আহমেদ, সেক্রেটারি মোঃ কাবিল হোসেন কাজী ও কেয়ার টেকার মোঃ আরমান মোল্লাকে স্থায়ীভাবে চাকরি হতে বরখাস্ত করে ব্যাংকের শৃঙ্খলা কমিটি।
×