ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বেতন-ভাতা বন্ধ

পটিয়ায় পেপার মিল শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

প্রকাশিত: ০৫:০৪, ৯ আগস্ট ২০১৭

পটিয়ায় পেপার মিল শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটিয়া, ৮ আগস্ট ॥ পেপার মিলের শ্রমিকদের বেতনভাতা বন্ধ করে দেয়ায় চট্টগ্রামের পটিয়ায় মোস্তফা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের পেপার মিলের শ্রমিকরা মহাসড়কের পটিয়া-বোয়ালখালী সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত গাড়ি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে। যার কারণে পটিয়া-বোয়ালখালী সড়কে হাজার হাজার মানুষ যানজটের কবলে পড়েন। দুই মাসের বেতনভাতা প্রদানের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ও পটিয়া থানা-পুলিশ রাস্তা থেকে ব্যারিকেড সরিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। শ্রমিকদের অভিযোগ প্রায় সময় মোস্তফা পেপার মিলের মালিক পক্ষ শ্রমিকদের বেতনভাতা আটকে রাখেন। যার কারণে শ্রমিকদের পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হয়। এদিকে, বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ফ্যাক্টরি ও অফিস কক্ষে তালা মেরে দিলে পেপার মিলের ভারতীয় চার কর্মকর্তা আটকা পড়েন। তারা হলেন, পেপার মিলের ডিজিএম বলরাম সাহু, শিবু প্রসাদ দে, মেকানিক্যাল ইনচার্জ দীনেশ মল ও ওয়ার্কসপ ইনচার্জ রাম দুলারী। পরে তাদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে ফিরে নেয়া হয়েছে। জানা গেছে, পটিয়া-বোয়ালখালী সীমান্তের পটিয়া মিলিটারিপুল এলাকায় মোস্তফা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের পেপার মিলে কয়েকটি ফ্যাক্টরি রয়েছে। লবণ ও পেপার মিলে প্রায় সাত শ’ শ্রমিক রয়েছে। বেতনভাতা নিয়ে মালিকপক্ষ প্রায় সময় শ্রমিকদের হয়রানি করে থাকেন। বর্তমানে দুই মাস ৮ দিনের বেতন বকেয়া রয়েছে। দুই বছর আগেও একইভাবে বেতনভাতা নিয়ে শ্রমিকরা আন্দোলন শুরু করলে শেষ পর্যন্ত তাদের দাবি মেনে নিলেও আন্দোলনকারী শ্রমিকদের পেপার মিল থেকে বের করে দেয়া হয়। চট্টগ্রাম ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) সাইফুল হাসান বলেন, বেতনভাতা প্রদান না করায় পেপার মিলের শ্রমিকরা পটিয়া-বোয়ালখালী সড়কে ব্যারিকেড দেয়ার খবর পেয়ে থানা-পুলিশসহ তারা ছুটে যান। মিল মালিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে তাদের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে শ্রমিকরা রাস্তা থেকে ব্যারিকেড সরিয়ে নিয়েছে। আগামী ১৬ আগস্ট শ্রমিকদের দুই মাসের বেতনভাতা প্রদান করা হবে। তাছাড়া শ্রমিকদের পক্ষে কেউ যদি লিখিত অভিযোগ করে তাহলে মিল মালিকের বিরুদ্ধে ইন্ডাস্ট্রিয়াল আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×