ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

জামদানির পর এবার জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল ইলিশ

প্রকাশিত: ০৮:৫৪, ৮ আগস্ট ২০১৭

জামদানির পর এবার জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল ইলিশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ জামদানির পর এবার বাংলাদেশের ইলিশ মাছ ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে মৎস্য অধিদফতরের হাতে ইলিশের এই জিআই নিবন্ধনের আনুষ্ঠানিক সনদ তুলে দেয়া হবে। প্যাটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেড মার্কস অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ভৌগোলিক নির্দেশক (জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন) পণ্য হিসেবে ইলিশ নিবন্ধনের সব প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এর আগে মৎস্য অধিদফতর প্যাটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদফতরের কাছে রূপালি ইলিশের ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করে। ওই আবেদনের পর তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে এ বছরের ১ জুন গেজেট প্রকাশ করা হয়। আইন অনুসারে গেজেট প্রকাশিত হওয়ার দুই মাসের মধ্যে দেশে বা বিদেশ থেকে এ বিষয়ে আপত্তি জানাতে হয়। কিন্তু কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে কোন আপত্তি জানায়নি। সে অনুসারে এ পণ্য এখন বাংলাদেশের স্বত্ব। এখন এটি চূড়ান্ত রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধনের প্রক্রিয়াধীন। এক সপ্তাহের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে এর স্বত্ব মৎস্য অধিদফতরের কাছে তুলে দেয়া হবে। উল্লেখ, ইলিশ বাংলাদেশের জাতীয় মাছ। ওয়ার্ল্ড ফিশের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, বিশ্বের মোট ইলিশের ৬৫ শতাংশ উৎপাদিত হয় বাংলাদেশে। ভারতে ১৫ শতাংশ, মিয়ানমারে ১০ শতাংশ, আরব সাগর তীরবর্তী দেশগুলো এবং প্রশান্ত ও আটলান্টিক মহাসাগর তীরবর্তী দেশগুলোতে বাকি ইলিশ ধরা পড়ে। ইলিশ আছে বিশ্বের এমন ১১টি দেশের মধ্যে ১০টিতেই ইলিশের উৎপাদন কমছে। একমাত্র বাংলাদেশেই ইলিশের উৎপাদন বাড়ছে। জানা যায়, বাংলাদেশের মৎস সম্পদ হিসাবে ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে পেতে মৎস্য অধিদফতর আবেদন করে। তারই প্রেক্ষিত্রে জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে ইলিশ। অবশ্য এই ইলিশ যাতে বাংলাদেশের পণ্য হিসাবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পায়, সে জন্য আন্দোলন করে আসছিল বিল্ড বেটার বাংলাদেশ। সংগঠনটির অন্যতম উদ্যোক্তা ও ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সিনিয়র প্রভাষক বিপাশা মতিন মনে করেন, জামদানির পর এটি হচ্ছে দ্বিতীয় পণ্য, যেটি জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেল। এর ফলে আরও ৭০টি পণ্য জিআই পণ্য হিসেব স্বীকৃতি পাওয়ার পথ সুগম হলো।
×