ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ডায়াবেটিসের আশাপদ চিকিৎসা

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ৮ আগস্ট ২০১৭

ডায়াবেটিসের আশাপদ  চিকিৎসা

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সুখবর আছে। স্টেম সেল প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে শরীরের অগ্ন্যাশয়ের নষ্ট হওয়া বিটা কোষ আবার ফিরিয়ে আনা যাবে। ডায়াবেটিস রোগীকে কৃত্রিম ইনসুলিন নেয়ার আর দরকার হবে না বা কম প্রয়োজন হবে। অগ্ন্যাশয়ের বিটা কোষ ইনসুলিন নিঃসরণ করে। ইনসুলিন রক্তে থাকা শর্করা দেহকোষে প্রবেশে সহায়তা করে। এই শর্করা পরে শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। নানা কারণে অগ্ন্যাশয়ের বিটা কোষ বিকল বা নষ্ট হওয়ার কারণে ইনসুলিন নিঃসরণ বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়, ফলে তা দেহকোষে পৌঁছায় না। এটাই ডায়াবেটিস পরিস্থিতি। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়, কিন্তু ডায়াবেটিস কখনো পুরোপুরি ভাল হয় না। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ডায়াবেটিস ক্রমাবনতিশীল রোগ। বিটা কোষ আস্তে আস্তে নষ্ট হয় বা মারা যায়। ট্যাবলেট ও কৃত্রিম ইনসুলিন দিয়ে ডায়াবেটিসের চিকিৎসা হয়ে আসছে। ট্যাবলেট বেঁচে থাকা বিটা কোষকে সহায়তা করত আরও বেশি ইনসুলিন নিঃসরণে। আর ইনজেকশনের মাধ্যমে নেয়া কৃত্রিম ইনসুলিন সরাসরি রক্তে মিশে শর্করা নিয়ে যায় দেহকোষে। ১৯২১ সালে প্রথম কৃত্রিম ইনসুলিন আবিষ্কৃত হয়। এরপর কলমের মাধ্যমে ইনসুলিনের ব্যবহারকে মানুষ সাদরে গ্রহণ করেছে। এই ইনসুলিন প্রতিবার খাবারের আধা ঘণ্টা আগে নেয়া হয়। কিন্তু এখন বাজারে ‘লং লাস্টিং’ ইনসুলিন আছে। এই ইনসুলিন ৪০ ঘণ্টায় একবার ব্যবহার করতে হয়। বাংলাদেশের বাজারেও এই লং লাস্টিং ইনসুলিন পাওয়া যাচ্ছে। একাধিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ডায়াবেটিসের নতুন ওষুধ ও চিকিৎসাপ্রযুক্তি উদ্ভাবনে বহু বছর ধরে অর্থ বিনিয়োগ করে আসছে। এ রকম একটি প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্রে দেখা যায়, আগামী পাঁচ-সাত বছরের মধ্যে মুখে খাওয়ার ইনসুলিন বাজারে আসবে। ইতিমধ্যে ইনসুলিন ট্যাবলেটের প্রথম ধাপের পরীক্ষা (ট্রায়াল) শেষ হয়েছে। কাগজপত্রে দেখা যায়, সুইডেনের লান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেম সেল সিন্টারে বিটা কোষ প্রতিস্থাপন নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দাবি খুব শিগগির মানুষ এই গবেষণার সুফল পাবে। ডাঃ শাহজাদা সেলিম হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ Email: [email protected]
×