ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সাতক্ষীরায় সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স

টাকা ফেরত দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত: ০৪:৫০, ৮ আগস্ট ২০১৭

টাকা ফেরত দাবিতে মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পরও গত চার বছর ধরে সাতক্ষীরার সান লাইফ ইনস্যুরেন্স শত শত গ্রাহকরা তাদের মূল টাকা ও লভ্যাংশ ফেরত পাচ্ছেন না। টাকার জন্য তারা ঢাকা ও খুলনা অফিসে বারবার যোগাযোগ করেও ব্যর্থ হয়েছে। এদিকে গ্রাহকদের তোপের মুখে সানলাইফের জেলাব্যাপী দুই শতাধিক গ্রামীণ অফিস বন্ধ করে পালিয়ে গেছে কর্মকর্তারা। জেলা অফিসেও ঝুলছে তালা। গ্রাহকরা প্রতিদিন সাতক্ষীরা জেলা অফিসে এসে তাদের না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। টাকা ফেরত পাবার দাবিতে বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা সোমবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে। অবিলম্বে প্রাপ্য টাকা পরিশোধ না করা হলে সাতক্ষীরার তিন হাজার গ্রাহক আন্দোলনে নামবে বলে মানববন্ধন থেকে ঘোষণা দেয়া হয়। মানববন্ধনে গ্রাহকরা বলেন, সানলাইফ ইনস্যুরেন্সের ছয়টি প্রকল্পের একটি লোকমুখী বীমা। ২০০০ সালে গঠিত এই প্রতিষ্ঠানটি মাসিক কিস্তির ভিত্তিতে গ্রাহকদের কাছ থেকে ১০ বছর, ১২ বছর ও ১৫ বছর মেয়াদে টাকা গ্রহণ করে আসছে। ২০১৩ সালে তাদের কিস্তির মেয়াদ পূর্ণ হয়ে যায়। এরপর থেকে মূল টাকা ও লভ্যাংশের চার কোটি টাকা দাবি করে সাতক্ষীরার গ্রাহকরা সানলাইফের কেন্দ্রীয় অফিসে বই পাঠালেও আজ অবধি কোন টাকা দেয়া হয়নি। অভিযোগ করে তারা বলেন, এ ব্যাপারে প্রকল্প পরিচালক মাজেজুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাদের সঙ্গে নানাভাবে টালবাহানা করা হয়। তিনি কাউকে সাক্ষাত দেন না। তারা সানলাইফের চেয়ারম্যান রুবিনা হামিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও প্রাপ্য টাকার কোন কিনারা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ঢাকা ও খুলনা অফিসে যোগাযোগ করলে তারা টেলিফোনও রিসিভ করেন না বলে অভিযোগ। বীমার শাখা ম্যানেজাররা বলেন, টাকা না পেয়ে গ্রাহকরা এখন তাদের মারপিট করতে শুরু করছেন। তাদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা পৌরসভা, ফিংড়ি ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন অফিসে লিখিত অভিযোগ করেছেন গ্রাহকরা। কয়েকজন ম্যানেজার জানান, গ্রাহকরা তাদের বাড়িঘর লুটপাট করছেন। তাদের সম্পদ জোর করে কেড়ে নিচ্ছেন। রাস্তাঘাটে হেনস্থা করছেন। গ্রাহকদের ভয়ে অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছেন। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে সানলাইফ ইনস্যুরেন্সের খুলনা বিভাগীয় প্রধান বিশ্বজিত ম-ল জানান, ‘আমি মাত্র দুই মাস যোগদান করেছি। এর আগে দায়িত্বে থাকা খুলনা বিভাগীয় প্রধান ইদ্রিস আলির দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তার অনিয়মের কারণে গ্রাহকরা টাকা পাচ্ছেন না। আগামী ৩ থেকে ৪ মাসের মধ্যে পর্যায়ক্রমে গ্রাহকদের প্রাপ্য টাকা পরিশোধ করা হবে’।
×