ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কম সুদে ঋণ পাবে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী

প্রকাশিত: ০৪:০১, ৮ আগস্ট ২০১৭

কম সুদে ঋণ পাবে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ কম সুদে ঋণ পাবেন পুঁজিবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এমন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়। বিষয়টি অর্থ বিভাগ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। অর্থ মন্ত্রণালয় ও বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ধসে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য ‘পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সহায়তা তহবিল’ গঠন করে সরকার। এটি পরিচালনার জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ২০১৩ সালের ১৯ আগস্ট একটি নীতিমালা করা হয়। ওই নীতিমালার আলোকে এটি পরিচালিত হচ্ছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানা গেছে, ৯০০ কোটি টাকার তহবিল থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের ঋণ সহায়তা দেয়া হয়েছে ৬৪২ কোটি টাকা। তখন ঋণের সুদ হার ছিল ৯ শতাংশ। সুদসহ সরকার আদায় করেছে ৬৮৩ কোটি টাকা। এ হিসেবে সরকার ঋণ থেকে অতিরিক্ত ৪১ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। বাজারের তুলনায় সুদের হার বেশি হওয়ায় তহবিল থেকে ঋণ নেয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা। আগামী ৩১ ডিসেম্বর শেষ হচ্ছে এই তহবিলের মেয়াদ। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের কথা চিন্তা করে সুদের হার কমানো ও সময় বাড়ানোর জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে বিএসইসি। মন্ত্রণালয় ওই আবেদন আমলে নিয়ে সুদ কমানোর বিষয়টি যাচাই-বাছাই শুরু করে। বিএসইসির প্রস্তাব গ্রহণ করা হলে ৬ শতাংশ সুদে ঋণ পাবেন বিনিয়োগকারীরা। এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সাইফুর রহমান বলেন, পুঁজিবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য গঠন করা তহবিলের সুদের হার কমানো ও সময় বাড়ানোর জন্য বিএসইসি আবেদন করেছে। বিষয়টি সরকারের সুবিবেচনায় আছে। এটি হলে বাজারের জন্য একটি ভাল জিনিস হবে। এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকার চায় পুঁজিবাজারের অবস্থা ভাল থাকুক। এই জন্য বিএসইসি পুঁজিবাজারের উন্নয়নে দেশব্যাপী বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। তিনি বলেন, ২০১০ সালে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য সরকার একটি তহবিল করেছে। সেখানে ৯ শতাংশ সুদে তারা এই টাকা সংগ্রহ করেছে। সুদ হার কমানোর জন্য বিএসইসি আবেদন করেছে। খুব শীঘ্রই এ বিষয়ে একটি ইতিবাচক নির্দেশনা মন্ত্রণালয় দেবে।
×