ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ

ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িতরা হয়ে উঠছে হিংস্র, ভয়ঙ্কর

প্রকাশিত: ০৭:৩১, ৭ আগস্ট ২০১৭

ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িতরা হয়ে উঠছে হিংস্র, ভয়ঙ্কর

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আলোচিত বিশ্বজিত দাস হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপীলের রায়ের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট বলেছে, ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িতরা হিংস্র, ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। রাজনৈতিক হাঙ্গামার নামে একজন নিরস্ত্র এবং নিরীহ ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনাটি রাজনৈতিক নেতাদের জন্য অশনিসঙ্কেত।’ রায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতির নামে এসব বর্বর হামলার তীব্র সমালোচনা করা হয়। রবিবার বিচারপতি রুহুল কুদ্দুস এবং বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করে। রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ছাত্ররাজনীতি তার অতীত গৌরব ধরে রাখতে পারছে না। অস্ত্র এবং মাদক বর্তমান ছাত্র রাজনীতিতে এখন প্রকাশ্য বিষয়। ছাত্র রাজনীতির নামে তারা চাঁদাবাজি, হত্যা, খুনসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। ছাত্র রাজনীতিতে মাদক এবং অস্ত্র বিরূপ প্রভাব ফেলছে। রায়ে বলা হয়, কিছু কিছু রাজনৈতিক নেতা এ ব্যাপারে প্রণোদনাও দিয়ে থাকেন। তারা মনে করেন, এতে তাদের রাজনৈতিক পরিচিতি আরও সমৃদ্ধ হবে। রাজনৈতিক কর্মসূচীতে ছাত্রদের আসতে বাধ্য করা হয় উল্লেখ করে রায়ে বলা হয়, এমন একটা সিস্টেম দাঁড়িয়ে গেছে যে, মিছিলে লোক বাড়ানোর জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের বাধ্য করা হয়। অনেক সময় আবাসিক শিক্ষার্থীরা হলের সিট ধরে রাখতে মিছিলে বা কর্মসূচীতে আসতে বাধ্য হয়। সাধারণ শিক্ষার্থীরা দলীয় কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ না করলে তাদের নির্যাতনের শিকার হতে হয়। এরকম ঘটনাও দেখা গেছে যে, পরীক্ষার হলে নকল করতে না দেয়ায় দায়িত্বরত শিক্ষককে মারধর করা হয়েছে। এটি ছাত্র রাজনীতির জন্য অশনিসঙ্কেত। কারণ তারাই ভবিষ্যতে জাতীয় রাজনীতিতে নেতৃত্ব দেবে। রবিবার বেলা পৌনে ১১টা থেকে রায় পড়া শুরু করে বিকেল পৌনে পাঁচটায় শেষ হয়। মাঝে এক ঘণ্টা বিরতি দেয়া হয়। রায় পাঠ করেন বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি রুহুল কুদ্দুস। পাশে বসে ছিলেন বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী।
×