ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ইইউ দূতের সাক্ষাত

নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর প্রস্তাবকে স্বাগত জানালেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:১৪, ৭ আগস্ট ২০১৭

নির্বাচনে পর্যবেক্ষক  পাঠানোর প্রস্তাবকে  স্বাগত জানালেন প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রশংসা করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বিদায়ী রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়েদুন বলেছেন, আগামী নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল প্রেরণ করবে। ইইউ’র বিদায়ী রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে তাদের উদ্যোগে ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়নের উদ্যোগের প্রশংসা করেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। প্রেস সচিব বলেন, বাংলাদেশ ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। অর্থনৈতিক কার্যক্রম বাড়াতে বাংলাদেশ এ লক্ষ্যে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে পারে, যেটি উভয়ের জন্য লাভজনক। ইহসানুল করিম বলেন, ইইউ রাষ্ট্রদূতও বাংলাদেশের সঙ্গে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়ানোর কথা বলেছেন। বাংলাদেশে বাণিজ্যিক পরিবেশের উন্নয়নে বাংলাদেশ ও ইইউ ব্যবসায়িক সংলাপ প্রক্রিয়ার প্রশংসাও করেন তিনি। খবর বাসস’র। পিয়েরে মায়েদুন বাংলাদেশের শ্রম আইন ও ইপিজেডের খসড়া আইন আরও পর্যালোচনা করতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করেন। শ্রম অধিকার ইস্যুতে বাংলাদেশকে সফলতার উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রসঙ্গে পিয়েরে মায়েদুন বলেন, আবহাওয়া ভাল থাকলে আগামী ১৬ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে। বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনী সহযোগিতার জন্য ইইউ’র নেয়া ‘ইউরো হরাইজন ২০২০’-এ বাংলাদেশের আরও বেশি অংশগ্রহণে উৎসাহ দেন তিনি। হরাইজন ২০২০-এ অধিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের নির্দেশনা প্রদান করেন শেখ হাসিনা। পিয়েরে মায়েদুন তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশের উন্নতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং নিজেকে এ পরিবর্তনের সাক্ষী হিসেবে উল্লেখ করেন। ব্লু ইকোনমিতে বাংলাদেশের বিপুল সম্ভবনার কথা উল্লেখ করেন তিনি। বাংলাদেশের শ্রমিকদের অধিকারের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ গঠনের প্রধান লক্ষ্য ছিল শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের অধিকার আদায় করা। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তৈরি পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১৬০০ টাকা থেকে ৫৩০০ টাকা করার কথা উল্লেখ করেন তিনি। শ্রমিকদের কল্যাণে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব সুরাইয়া বেগম।
×