ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া জঙ্গীদের জন্য ভুয়া পরিচয়পত্র তৈরি ও নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা ছিল তার দায়িত্ব

ভারতে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সন্দেহভাজন জঙ্গী গ্রেফতার

প্রকাশিত: ০৫:০৭, ৭ আগস্ট ২০১৭

ভারতে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সন্দেহভাজন জঙ্গী গ্রেফতার

বিডিনিউজ ॥ ভারতের মুজাফফরনগরে বাংলাদেশের জঙ্গী দল আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সন্দেহভাজন একৃ সদস্যকে গ্রেফতারের খবর দিয়েছে দেশটির সংবাদ মাধ্যমগুলো। ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ স্কোয়াড এটিএসের মহাপরিদর্শক অসিম অরুণের বরাত দিয়ে পিটিআই জানিয়েছে, মুজাফফরনগরের কুটেসারা এলাকা থেকে রবিবার আবদুল্লাহ নামের ওই তরুণকে গ্রেফতার করা হয়। দেশটির জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনআইএ) কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এনডিটিভি লিখেছে, বাংলাদেশী নাগরিক আবদুল্লাহ উত্তর প্রদেশে আছেন ২০১১ সাল থেকে। প্রথম দিকে দেওবন্দে থাকলেও গত এক মাস ধরে তিনি মুজাফফরনগরের কুটসেরা এলাকায় অবস্থান করছিলেন বলে ভারতীয় গোয়েন্দাদের ভাষ্য। তারা বলছেন, আবদুল্লাহ সেখানে তার জঙ্গী দলের জন্য কর্মী সংগ্রহ করছিলেন। বাংলাদেশ থেকে যে জঙ্গীরা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিত, তাদের জন্য ভুয়া পরিচয়পত্র তৈরি এবং নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা ছিল তার দায়িত্ব। এনডিটিভি জানিয়েছে, আবদুল্লাহর কাছ থেকে ভুয়া রেশন কার্ড, পাসপোর্ট এবং আরও ১১টি বিভিন্ন ধরনের জাল পরিচয়পত্র উদ্ধার করেছেন গোয়েন্দারা। আবদুল্লাহর বাংলাদেশী নাগরিকত্ব বা জঙ্গীবাদে তার সংশ্লিষ্টতা নিয়ে কোন তথ্য দিতে পারেননি বাংলাদেশের পুলিশ কর্মকর্তারা। ভারতীয় পত্রিকাগুলো ২০১১ সাল থেকে আবদুল্লাহর উত্তর প্রদেশে অবস্থানের কথা লিখলেও বাংলাদেশে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের তৎপরতার কথা পুলিশ প্রথম জানতে পারে ২০১৩ সালে ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যাকা-ের পর। সংগঠনটির আমির মুফতি জসীমউদ্দীন রাহমানী ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে কারাগারে আছেন। বাংলাদেশের পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, ২০১৫ সালের মে মাসে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম নিষিদ্ধ হওয়ার পর এর সদস্যরা আনসার আল ইসলাম নামে তৎপরতা শুরু করে। চলতি বছর মে মাসে সরকার আনসার আল ইসলামের সব ধরনের কর্মকা- নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। লেখক অভিজিৎ রায় হত্যাসহ বেশ কয়েকটি জঙ্গী হামলা ও হত্যার ঘটনায় এ সংগঠন জড়িত বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাষ্য। ২০১২ সালের ১৯ জানুয়ারি সেনাবাহিনীতে ব্যর্থ অভ্যুত্থানচেষ্টার পরিকল্পনাকারী মেজর জিয়াউল হকও এ সংগঠনের সঙ্গে রয়েছেন বলে তদন্তকারীদের ধারণা।
×