ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনীদের দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিতে ছাত্রলীগের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি

প্রকাশিত: ০৪:৫৯, ৭ আগস্ট ২০১৭

বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনীদের দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিতে ছাত্রলীগের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পলাতক খুনীদের দেশে ফিরিয়ে এনে তাদের ফাঁসি কার্যকরের দাবি জানিয়েছে ছাত্রলীগ। এই দাবিতে রবিবার সারাদেশে মানববন্ধন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে স্মারকলিপি প্রদান করেছে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। সংগঠনের পক্ষে স্মারকলিপি প্রদান করেন সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একটি প্রতিনিধি দল। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এই স্মারকলিপি গ্রহণ করেন। স্মারকলিপিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে ছাত্রলীগ বলেছে, দ-প্রাপ্ত পলাতক আসামিদের ফাঁসি হয়ে যাওয়ার ৭ বছর পরও অন্যদের দেশে ফিরিয়ে আনতে না পারায় সমগ্র জাতির মতোই ছাত্রলীগ হতাশ ও চিন্তিত। তাই আমাদের বিশ্বাস জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের স্বঘোষিত খুনীদের দেশে এনে ফাঁসির মঞ্চে তুলে খুনের রাজনীতি বন্ধে পৃথিবীতে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে আপনার মন্ত্রণালয়। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর থেকে টিএসসি পর্যন্ত দীর্ঘ মানববন্ধন করে ছাত্রলীগ। এতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। মানবন্ধনে ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচার করে দেশ কলঙ্কমুক্ত হয়েছে। তবে এখনও আমরা পুরোপুরি কলঙ্কমুক্ত হতে পারিনি। কারণ অনেক খুনী বিদেশে পলাতক রয়েছে। তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। পাশাপাশি যারা ইতিহাসের নিকৃষ্টতম এই কলঙ্কের সঙ্গে জড়িত তাদেরও বিচার করতে হবে। সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনীদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর করতে হবে। জিয়াউর রহমানসহ যারা খুনের সঙ্গে জড়িত তাদেরও শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। শোকের মাসে যদি কেউ কেক কাটার দুঃসাহস করে তাহলে ছাত্রলীগ সারাদেশের ছাত্রসমাজকে নিয়ে প্রতিহত করবে। মৃত্যুদ-প্রাপ্ত পলাতক ৭ আসামির মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত লে. কর্নেল আজিজ পাশা জিম্বাবুইয়েতে অবস্থান করার সময় মারা গেছেন। বাকি ৬ জনের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা লে. কর্নেল খন্দকার আবদুর রশিদ পাকিস্তানে, লে. কর্নেল নূর চৌধুরী ও লে. কর্নেল শরিফুল হক ডালিম কানাডায় এবং রিসালদার মোসলেউদ্দিন থাইল্যান্ডে, লে. কর্নেল এম এ রাশেদ চৌধুরী আফ্রিকায় এবং অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদ কেনিয়ায় অবস্থান করছেন।
×