ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেন আটকের ঘটনা

শত কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা দায়ের আসামি নূর মোহাম্মদের

প্রকাশিত: ০৪:৪৮, ৭ আগস্ট ২০১৭

শত কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা দায়ের আসামি নূর মোহাম্মদের

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ জামিনে মুক্তি পেয়ে শিপিং লাইনসহ ৭ প্রতিষ্ঠান এবং ৩ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ১শ’ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা করেছেন কোকেন মামলার আসামি নুর মোহাম্মদ। তিনি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খান জাহান আলী লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী। মামলায় তিনি অভিযুক্তদের যোগসাজশে তেলের সঙ্গে কোকেন আমদানির মাধ্যমে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণেœœর অভিযোগ আনেন। রবিবার চট্টগ্রামের তৃতীয় যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মামলাটি দায়ের হয়। আদালত আগামী ৪ অক্টোবর আসামিদের হাজিরের জন্য সমন পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। খান জাহান আলী লিমিটেডের মালিক নুর মোহাম্মদের আইনজীবী এ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন বাবুলের দায়ের করা মামলায় আসামি করা হয়েছে কসকো কন্টেনার লাইনস, কসকো (বাংলাদেশ) শিপিং লাইনস, এসআরএল, সাউথ ফ্রেইট লজিস্টিকস, এমভি থরোসটিলিয়ান, পিআইএল (বাংলাদেশ) লিমিটেড এবং বলিভিয়ার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে। এছাড়া যে তিন ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে তারা হলেনÑ নুর মোহাম্মদের ব্যবসায়িক পার্টনার গোলাম মোস্তফা সোহেল, লন্ডন প্রবাসী ফজলুর রহমান ও মোঃ বকুল মিয়াকে। এরাই পরস্পর যোগসাজশে ভোজ্য তেলের চালানের সঙ্গে তরল কোকেন নিয়ে এসেছিল বলে অভিযোগ করা হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়, রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান এবং এ আসামিরা সূর্যমুখী তেলের সঙ্গে কোকেন মিশিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে এনেছিল। এর সঙ্গে খান জাহাজ আলীর মালিক নুর মোহাম্মদের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। এ ঘটনায় তার ব্যবসার সুনাম মারাত্মকভাবে ক্ষুণœ হয়েছে উল্লেখ করে বাদী ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ৬ জুন চট্টগ্রাম বন্দরে আটক হয় সানফ্লাওয়ার অয়েল ঘোষণায় দক্ষিণ আমেরিকার দেশ বলিভিয়া থেকে আমদানি করা একটি বড় চালান। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের কাছে এ ধরনের রিপোর্ট বন্দর ইয়ার্ডে কায়িক পরীক্ষা করা হয় তেলের ১০৭টি ড্রামের। প্রথম পরীক্ষায় কোকেনের অস্তিত্ব ধরা না পড়লেও ঢাকায় উন্নত ল্যাবে পরীক্ষায় একটি ড্রামে কোকেন শনাক্ত হয়। এ ঘটনায় ২৭ জুন মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের হয়। আদালতের নির্দেশে পরে চোরাচালানের অভিযোগে এ মামলাটিতে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ধারাও সংযোজিত হয়। গোয়েন্দা পুলিশ এ ঘটনায় ৮ জনকে আসামি করে নবেম্বর মাসে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। এতে আসামি হিসেবে খান জাহান আলী লিমিটেডের মালিক নুর মোহাম্মদের নাম না আসায় আদালত অভিযোগটি গ্রহণ না করে র‌্যাবকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন। অধিকতর তদন্তের পর গত ৩ এপ্রিল ১০ জনকে আসামি করে চার্জশীট জমা দেন র‌্যাব চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী। এতে আসামি হন নুর মোহাম্মদ। গত বছরের ১৫ জানুয়ারি গ্রেফতার হন তিনি। এরপর উচ্চ আদালতের নির্দেশে আসামি নুর মোহাম্মদ গত ১ জুলাই জামিনে মুক্তি লাভ করেন।
×