ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

কোরবানির ঈদের চাহিদা মেটাতে প্রস্তুত দেশীয় ফ্রিজ কোম্পানিগুলো

প্রকাশিত: ০৩:৫৩, ৭ আগস্ট ২০১৭

কোরবানির ঈদের চাহিদা মেটাতে প্রস্তুত দেশীয় ফ্রিজ কোম্পানিগুলো

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ এক সময় ফ্রিজকে বিলাসবহুল পণ্য হিসেবে বিবেচনা করা হতো। সময়ের আবর্তে সে ফ্রিজই এখন সাংসারিক জীবনের অনিবার্য পণ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর কোরবানির ঈদে সেটির প্রয়োজনীয়তা আরও বাড়ে। তাই দেশীয় ফ্রিজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়েছে। যমুনা ইলেক্ট্রনিক্সসহ প্রতিটি কোম্পানিই ঈদে ফ্রিজ বিক্রির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। বিক্রি বাড়াতে নগদ ছাড় অফার দেয়া হচ্ছে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন নতুন মডেল ও কালারের ফ্রিজ বাজারে এনেছে। রাজধানীর কয়েকটি মার্কেটের ফ্রিজ বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আর্থসামাজিক স্থিতিশীলতা, ক্রেতার ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় গত কয়েক বছরে ফ্রিজ বিক্রি বেড়েছে। এর মধ্যে দেশীয় ফ্রিজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। দামে সাশ্রয়ী এবং বিক্রয়োত্তর সেবার নিশ্চয়তা থাকায় আমদানি করা ফ্রিজ কিনতে আগ্রহী নয় ক্রেতারা। কারণ আমদানি করা ফ্রিজের বিক্রয়োত্তর সেবা দুর্বল। অপরদিকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি দেশীয় ফ্রিজ ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুত সাশ্রয়ী। ১০ বছরের কম্প্রেসার গ্যারান্টি দিচ্ছে। ফ্রিজে অত্যাধুনিক এন্টিব্যাকটেরিয়াল টেকনোলজি রয়েছে। এ প্রযুক্তিসম্পন্ন বিদেশি ফ্রিজ কিনতে ক্রেতাদের লাখ টাকার উপরে গুনতে হতো। আবার মাসের মাসের পর বিক্রয়োত্তর সেবার জন্য ধরনা দিতে হতো। আর দেশীয় ফ্রিজের বিক্রয়োত্তর সেবা থাকছে হাতের নাগালে। ফ্রিজ কেনার ক্ষেত্রে ক্রেতাদের দেশীয় উদ্যোক্তারা কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন। প্রথমে ফ্রিজের কম্প্রেসার সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে হবে। কারণ কম্প্রেসারই ফ্রিজের মূল উপাদান, যার দ্বারা ফ্রিজের জিনিস দ্রুত ঠা-া করে। তারপর ফ্রিজ কতটুকু বিদ্যুত সাশ্রয়ী, সিএফটির মাপ ঠিক আছে কি-না তা যাচাই করতে হবে। আন্তর্জাতিকভাবে সিএফটি একটি পুরনো হিসাব পরিমাপক পদ্ধতি। বর্তমানে এর মাধ্যমে ফ্রিজের সঠিক মাপ পাওয়া যায় না। এখনকার তৈরি ফ্রিজগুলো লিটারের মাপে তৈরি করা হয়। তাই সিএফটির মাপে ফ্রিজ কিনতে গেলে হিসাব জানতে হবে। এক সিএফটিতে ২৮ দশমিক ৩১৬৮ লিটার। কী গ্যাস ব্যবহার করা হচ্ছে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। সিএফসি ফ্রি হলেও সঠিক গ্যাসের ব্যবহার না করার কারণে মানবদেহের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। দেশীয় উদ্যোক্তারা বলছেন, ব্র্যান্ড ছাড়া আমদানি করা বেশিরভাগ ফ্রিজ নিম্নমানের। এসব ফ্রিজে সিলিকন রয়েছে, যা মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। দীর্ঘমেয়াদে নানা রোগব্যাধির সৃষ্টি করতে পারে। সিলিকনযুক্ত ফ্রিজে খাবার দুর্গন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া কম্প্রেসার উন্নতমানের না হওয়ায় অধিক বিদ্যুত লাগে। সিএফটির মাপেও গরমিল রয়েছে। এ বিষয়ে যমুনা ইলেক্ট্রনিক্সের পরিচালক (অপারেশন) ওমর ফারুক বলেন, কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে যমুনা ইলেক্ট্রনিক্স। গতবারের চেয়ে এবার দ্বিগুণ ফ্রিজ বিক্রির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে বাজারের সবচেয়ে কম দামে সর্বাধুনিক ফ্রিজ দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। আর ফ্রিজের মডেলে আনা হয়েছে নতুনত্ব। ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে ইতোমধ্যেই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ফ্রিজ পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে যমুনা ফ্রিজ তৈরি করা হয়।
×