ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

নতুন কোন রাজনৈতিক জোট গঠনের প্রশ্নই ওঠে না ॥ এরশাদ

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ৬ আগস্ট ২০১৭

নতুন কোন রাজনৈতিক জোট গঠনের প্রশ্নই ওঠে না ॥ এরশাদ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গে সম্মিলিত জাতীয় জোটের বাইরে অন্য কোন দলের রাজনৈতিক জোট হয়নি বলে জানিয়েছেন দলটির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। শনিবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা জানান। বিবৃতিতে এরশাদ বলেন, নতুন রাজনৈতিক জোট গঠন সম্পর্কে কিছু বিভ্রান্তিকর খবর প্রকাশিত হওয়ার প্রেক্ষিতে আমি সুস্পষ্টভাবে জানাতে চাই যে, আমার নেতৃত্বে যে সম্মিলিত জাতীয় জোট (ইউএনএ) গঠিত হয়েছে তার বাইরে আর কোন জোট গঠনের প্রশ্নই ওঠে না। আমার জোটে অন্য কোন দলকে অন্তর্ভুক্ত করতে হলে সে বিষয়ে জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। বিবৃতিতে এরশাদ আরও বলেন, ইতিপূর্বে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম বৈঠকে সম্মিলিত জাতীয় জোট গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। আমরা দুটি নিবন্ধিত দল এবং ৩৪ দলের সমন্বিত জাতীয় ইসলামী মহাজোট ও ২২ দলের সমন্বিত বাংলাদেশ জাতীয় জোটকে (বিএনএ) নিয়ে সম্মিলিত জাতীয় জোট গঠন করেছি। এ জোট নিয়ে দেশবাসীর মনে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে। ইউএনএকে নিয়েই আমরা এগিয়ে যেতে চাই। আমাদের জোটের নীতি ও আদর্শের সঙ্গে ঐক্যমত পোষণ করে অন্য কোন দল বা জোট সম্মিলিত জাতীয় জোটের শরিক হতে চাইলে সে বিষয়ে শুধু আমার জোটের শীর্ষ নেতারাই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্মিলিত জাতীয় জোট ৩০০ আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। জাতীয় পার্টিসহ জোটের অন্য শরিকরা জোটগতভাবে এবং নিজ নিজ সংগঠনগতভাবেও সাংগঠনিক কর্মকা- পরিচালনা করছে। আমাদের জোটসম্পর্কিত কোন তথ্য জোটের মুখপাত্র জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার জানাতে পারবেন। কোন অসত্য খবরে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। সম্প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৃহত্তর নির্বাচনী জোট করেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এ জোটে ৫৮ দলের মধ্যে বেশিরভাগই নামসর্বস্ব। মাত্র দুটি দলের নিবন্ধন রয়েছে। এর মধ্যেই আরেকটি বৃহৎ রাজনৈতিক জোটে জাতীয় পার্টি যোগ দিচ্ছে- রাজনীতির মাঠে এমন আলোচনা সরব। গেল বুধবার রাতে বিকল্পধারার সভাপতি বি. চৌধুরীর বাসায় হঠাৎ বিভিন্ন রাজনৈদিক দলের নেতার বৈঠক হয়। এতে যোগ দিয়েছিলেন এরশাদের ছোট ভাই জিএম কাদের। যদিও জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যানের পদে রয়েছেন তিনি। জিএম কাদের জানান, তিনি দলের চেয়ারম্যানের নির্দেশেই বৈঠকে যোগ দিয়েছেন। এর পরদিন বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন ডাকেন এরশাদ। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা বিকল্পধারা বাংলাদেশের সঙ্গে জাতীয় পার্টির জোট করার সম্ভবনা রয়েছে কিনা- জানতে চাইলে এরশাদের পাশে বসা জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, ‘আমরা বরাবরই বলে আসছি, আওয়ামী লীগ-বিএনপির বাইরে আমরা একটি পৃথক রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। বুধবার একটি বৈঠক ছিল, সেখানে রাজনৈতিক ব্যক্তিরা ছিলেন। কিছু রাজনৈতিক আলোচনা হয়েছে। তবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের মতো কথাবার্তা সেখানে হয়নি। এখন এ বিষয়ে প্রেসিডিয়াম ফোরামে আলোচনা হবে। আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হবে জোট হবে কি-না।’ এম বক্তব্যের প্রেক্ষিতে জাতীয় পার্টির নতুন আরেকটি জোট করার খবর সংবাদমাধ্যমে আসে, যার প্রেক্ষিতে বিবৃতি দিলেন এরশাদ।
×