ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ধর্ষকের মা-বাবা আটক

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ৬ আগস্ট ২০১৭

ধর্ষকের মা-বাবা আটক

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালকিনি, মাদারীপুর, ৫ আগস্ট ॥ মাদারীপুরের কালকিনিতে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে চেতনা নাশক খাইয়ে এক কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণ করেছে বখাটেরা। ওই ছাত্রীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ধর্ষিত ছাত্রীর বাড়ি গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর এলাকায়। এ ঘটনায় প্রধান ধর্ষকের বাবা-মাকে আটক করেছে থানা পুলিশ। শনিবার বিকেলে এ ঘটনাটি ঘটেছে।এলাকা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গৌরনদী সরকারী কলেজের এইচএসসি প্রথমবর্ষের ছাত্রীর সঙ্গে খাঞ্জাপুর গ্রামের রাজ্জাক আকনের ছেলে রিফাত আকনের দীর্ঘদিন ধরে মন দেয়া নেয়া চলছিল। এর সূত্র ধরে লম্পট রিফাত বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ওই ছাত্রীকে কালকিনি উপজেলার কাজীবাকাই এলাকার মাইজপাড়া গ্রামের একটি নির্জন বাগানে বেড়াতে নিয়ে যায়। এ সময় তাকে চেতনানাশক খাইয়ে অজ্ঞান করে রিফাত আকনসহ তার ৪/৫ বন্ধু মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এতে করে ওই ছাত্রী পুরোপুরি অসুস্থ হয়ে পড়লে ধর্ষক রিফাত আকন কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওই ছাত্রীকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে ধর্ষক রিফাত আকনের বাবা রাজ্জাক আকন ও তার মা রেহেনা বেগম ঘটনা জানতে হাসপাতালে আসলে কালকিনি থানা পুলিশ তাদের আটক করে। ধর্ষকের বাবা রাজ্জাক আকন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনা আমার ছেলেসহ তার বন্ধু-বান্ধব ঘটিয়েছে ।এ ব্যাপারে কালকিনি থানার উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মোঃ শাহআলম বলেন, কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় মূল ধর্ষক রিফাত আকনকে না পেয়ে তার বাবা-মাকে আটক করেছি। রাজশাহীতে আড়াই বছরের শিশুকে ধর্ষণ রাবি সংবাদদাতা জানান, রাজশাহীতে আড়াই বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। শনিবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) কাজলা বাজারের অক্ট্রোর মোড়ে এই ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় শিশুটিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত কিশোর মামুনুর রশীদ শান্তর মাকে আটক করেছে পুলিশ। মা নগরীর মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী হাসানের কাছে ধর্ষণের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ জানায়, নগরীর অক্ট্রোর মোড়ে একই বাসায় ভাড়া থাকতেন শিশুটির পরিবার ও মামুনুর রশীদের মা সুনাধান। শনিবার দুপুরে শিশুটিকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে মামুন। এতে শিশুটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে জানাজানি হলে শিশুটিকে তার পরিবারের লোকজন হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর থেকেই ধর্ষক মামুন পলাতক। থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) মাহবুব আলম জানান, শিশুটির চিকিৎসা চলছে। সে এখন শঙ্কা মুক্ত। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ধর্ষকের মাকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ধর্ষক ও তার বাবা সাইফুল ইসলামকে আটকের চেষ্টা চলছে। এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ধর্ষক মামুনুর রশীদের গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর তানোর উপজেলায়। কয়েক বছর আগে শান্তর বাবা ও মায়ের ডিভোর্স হয়। ডিভোর্সের পর শান্তর মা সুনাধান কাজলার অক্ট্রোর মোড়ে একটি টিনশেডের বাসা ভাড়া নেন। আর শান্তর বাবা তানোরেই থাকতেন। এই সূত্রে ধর্ষক শান্ত কখনও তার মায়ের কাছে কখনও বাবার কাছে থাকতেন।
×