ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জম্মু ও কাশ্মীরে আল কায়েদার প্রভাব বাড়ছে

প্রকাশিত: ০৫:০৯, ৬ আগস্ট ২০১৭

জম্মু ও কাশ্মীরে আল  কায়েদার প্রভাব বাড়ছে

কাশ্মীর উপত্যকায় আল-কায়েদা শেষ পর্যন্ত এর ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করেছে বলে মনে হচ্ছে। আবু দুজানা ও আরিফ লেহারি এনকাউন্টারে নিহত হওয়ার পর এ তথ্য জানা গেছে। এরা দুজনই লস্কর-ই-তৈয়বা (এলইটি) থেকে সুন্নি ইসলামপন্থী সংগঠন আল-কায়েদায় যোগদান করেছিল। এলইটি থেকে জইশ-ই-মুহম্মদ ও হিজবুল মুজাহিদীন পর্যন্ত সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো এর মধ্যেই এদের ভিত্তি গেড়েছে এ অঞ্চলে। এলইটি কমান্ডার আল কায়দার কাশ্মীর শাখা আবু দুজানা জাকির মুসার নেতৃত্বাধীন আনসার গাজওয়াত উল-হিন্দে যোগ দেন। দুজানা ও তার সহযোগী লেহারি ১ আগস্ট বন্দুকযুদ্ধের সময় লেহারির ভাইকে সর্বশেষ যে ফোনকলটি দিয়েছিল তা থেকে এ তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। আনসার গাজওয়াত উল-হিন্দের প্রধান জাকির মুসা শুক্রবার দুজানা ও লেহারির প্রতি সংগ্রামী অভিনন্দন জানিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। ভিডিওতে তাদের আল কায়দার প্রথম শহীদ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। তিন দশমিক এক ছয় মিনিটের অডিও ক্লিপের ঐ কলটি তারা করেছে গুলিতে আহত হওয়ার আগে। তারা ১ আগস্ট নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে এনকাউন্টারে নিহত হয়। লেহারি মৃত্যুর পূর্বক্ষণে এই বার্তায় পাকিস্তানী পতাকায় তার লাশ না ঢাকার জন্য তার পরিবার ও অনুসারীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে। লেহারি শ্বাসকষ্টের মধ্যে কাশ্মীরী ভাষায় অডিও ক্লিপে বলেন, আমাকে দাফন করার সময় আমার লাশ ঢাকবেন আল কায়দার তৌহিদী পতাকা দিয়ে। আমার রক্তের, আমার আত্মত্যাগের মর্যাদা দেবেন। আমাদের সফলতার জন্য দোয়া করবেন। তার ‘ভাই’ দুজানার লাশ পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে গিলগিট বালতিস্তানে তার গ্রামের বাড়িতে না পাঠানোর জন্য এবং কাশ্মীরেই দাফন করার জন্যও অডিওতে অনুরোধ জানানো হয়। লেহারি এ অনুরোধ জানানোর পর দুজানার কাছে ফোন হস্তান্তর করে। লেহারি ফিসফিস কণ্ঠে উর্দু ভাষায় বলে, আল্লাহ তাকে পছন্দ করেছেন। তাই তিনি শহীদ হিসেবে তাকে পুরস্কৃত করেছেন। তার মৃত্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ না করার জন্য তার অনুসারীদের আহ্বান জানানো হয় এবং বলে, জীবন উৎসর্গ করতে পেরে আমি অত্যন্ত সুখী। রেকর্ডিংয়ের শেষ প্রান্তে লেহারির ঘোষণা শোনা যায়, আমরা জাকির (মুসা) ভাইয়ের সঙ্গে আছি, আমরা আল কায়েদার সঙ্গে আছি। এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, দুজানা এলইটি ছেড়েছে অর্থসংক্রান্ত বিরোধে। তার কাশ্মীরী স্ত্রীকে পাকিস্তানে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ঐ অর্থ দাবি করেছিল দুজানা। তাই মুসার সঙ্গে তার যোগদান স্বাভাবিক বিকল্প। দুজানা ও লেহারির মৃত্যু মুসার জন্য প্রথম বড় আঘাত। দুজানা ও লেহারি দুজনই এলইটির দলত্যাগী জঙ্গী। মুসা ভিডিওতে বলেছে, আনসার গাজওয়াত-উল-হিন্দ প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে দুজানা ও লেহারির। মুসা তাদের ‘মর্দ-ই-হুর’ বলে আখ্যায়িত করে; যারা তৌহিদ বা এক আল্লাহর জন্য লড়াই করে তারাই মর্দ-ই-হুর। -টাইমস অব ইন্ডিয়া
×