ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

অভিমত অভিজ্ঞ স্পিনার আব্দুর রাজ্জাকের

বাংলাদেশ এখন যে কোন দলের জন্য হুমকি’

প্রকাশিত: ০৪:২৪, ৬ আগস্ট ২০১৭

বাংলাদেশ এখন যে কোন দলের জন্য হুমকি’

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ জাতীয় দল থেকে যেন অনেক দূরে সরে গেছেন। প্রাথমিক দলগুলোতেই অভিজ্ঞ স্পিনার আব্দুর রাজ্জাকের সুযোগ হয় না। আবার ঘরোয়া কোন খেলাও এ মুহূর্তে নেই। তাহলে কী নিজেকে গুটিয়ে রাখবেন রাজ্জাক? একদমই না। গুটিয়ে রাখেনওনি। নিজেকে অনুশীলনের মধ্যেই রাখতে চান। একাই মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে অনুশীলন করে যাচ্ছেন রাজ্জাক। নিজেকে ঠিক রাখতে। বলের লাইন ও লেন্থ ঠিক রাখতে। যা কাজে লাগাতে হবে লীগগুলোতে। তবে যতই জাতীয় দল থেকে দূরে থাকুক, রাজ্জাক কিন্তু জাতীয় দল নিয়ে ভীষণ ভাবেন। তাইতো শনিবার বলেছেন, ‘বাংলাদেশ এখন যে কোন দলের জন্য হুমকি।’ অস্ট্রেলিয়া নিয়ে কথা উঠতেই রাজ্জাক জানান, ‘হোমে এই মুহূর্তে বাংলাদেশ খুবই ডেঞ্জারাস (বিপজ্জনক) দল। দেখা যাক, কি হবে। এখন তারা (বাংলাদেশ) যে কোন দলের জন্য থ্রেট (হুমকি)। হোমে খেলা হলে স্পেশালি। তো আমি শিওর যে অস্ট্রেলিয়ার জন্য থ্রেটই হবে। লাইটলি বা দুর্বলভাবে নেবে, এসবের কোন স্থানই নেই। এসব কথার টাইম শেষ হয়েছে। আমি পারসনালি ফিল করি ইংল্যান্ড হচ্ছে বিশ্বের বেস্ট টেস্ট টিম। তো ইংল্যান্ডকে যদি টেস্টে হারাতে পারে তাহলে আর কাউকে হারানো কঠিন হবে না। তবে হ্যাঁ একটা সেট ও ওল্ড টেস্ট দলকে হারাতে হলে স্বাভাবিকভাবেই কষ্ট করতে হবে। এক্ষেত্রে ডিফিকাল্ট। তবে সম্ভব না, এটা চিন্তা করার কোন কারণই নেই। হবে না, এ বিষয়টি আসবেই না।’ অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা স্পিনে দুর্বল। উপমহাদেশে তো স্পিনে আরও দুর্বল। তাই স্পিন নিয়ে কৌশল কী হতে পারে? রাজ্জাক বললেন, ‘দুর্বলতা সবলতা বলা ঠিক হবে না। কারণ এখানে সবাই প্রফেশনাল। সবাই চাইবে এ্যাডজাস্ট করে খেলতে। ওরা কিন্তু ইন্ডিয়ায় এসে স্পিন উইকেটেই হেরে গেছে। তো এটা বলার কোন কারণ নেই। আমাদের স্ট্র্যাটেজিতে স্ট্রিক্ট থাকতে হবে। কারা কি করবে না করবে সেটা না ভেবে আমাদের কি করলে ভাল সেটা চিন্তা করতে হবে। আমার মনে হয় ম্যানেজমেন্ট ঠিক সিদ্ধান্ত নিবে। পেস উইকেট নাকি স্পিন উইকেট হবে নাকি ব্যাটিং। কেননা জিততে হলে আপনাকে অবশ্যই ২০ উইকেট নিতে সক্ষম হতে হবে।’ রাজ্জাক একাই অনুশীলন করছেন। এমনভাবে অনুশীলন করা কঠিন। তবে এ বিষয়টিতেও পেশাদার ক্রিকেটারদের মানিয়ে নিতে হয় বলেই মনে করছেন। জানালেন, ‘কঠিন বললে, একা একা করা একটু কঠিন। এটা আমার প্রফেশনাল কাজ। আমি একজন প্রফেশনাল প্লেয়ার। আমি হয়তো বাসায় বসে কিছু রিহ্যাব করে চুপচাপ বসে থাকতে পারতাম। এই কাজটা করলে আমার মাঠের কাজটা ঠিকভাবে হবে না। আমি আসলে এটাকে টাফ মনে করি না। হ্যাঁ, একটু কঠিন। একা একা করা অতটা সহজ নয়। তারপরও যেহেতু আমার পেশা, তাই নো কমপ্লেইন।’ জাতীয় দলে ফিরতে এই সংগ্রামের ক্যারিয়ারটা কতটা লম্বা হবে বলে মনে করছেন? রাজ্জাক বলেন, ‘এটা কঠিন। তারপরও যেহেতু ঘরোয়া ক্রিকেটগুলো আমরা খেলছি, আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেট এখন প্রচুর প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়। আপনাকে একইভাবে রেডি থাকতে হবে। আন্তর্জাতিক ম্যাচে যেমন, এখানেও তেমন। তা না হলে আপনি কিছুদিন পরে একটা টিমে থাকবেন না। কারণ এখানে যেহেতু বিপিএল হচ্ছে বিপিএলে আন্তর্জাতিক মানের প্রচুর প্লেয়াররা বাইরে থেকে খেলতে আসে। আর আমাদের ভাল ভাল যত প্লেয়ার আছে সবাই এখানে খেলে। তো এখানে কম্পিটিশন করা ডিফিকাল্ট। এই ডিফিকাল্ট সিচুয়েশনকে হ্যান্ডেল করতে হলে আপনাকে সেভাবে প্র্যাকটিস করতে হবে। আদারওয়াইজ ইট উইল বি রিয়ালি ডিফিকাল্ট ফর এ প্লেয়ার টু সারভাইব দিজ লেভেল। আমার কাছে মনে হয় প্রিপারেশন একই রকম থাকে। তারমানে এই নয় যে আমাকে ন্যাশনাল টিমেই খেলতে হবে। তা না হলে আমার মন খারাপ হয়ে যাবে। দুঃখ পাব, কষ্ট পাব। যেহেতু এটা আমার পেশা। আমি কিন্তু অন্য কোন কাজ করি না। আমাকে এটা দিয়েই চলতে হয়। তো এখানে কোন রকম ছাড় দিয়ে চললে ক্যারিয়ার ও জীবন থেকে আমি পিছিয়ে যাব। তো আমি আসলে পিছাতে চাই না।’ বামহাতি স্পিনের ঐতিহ্য নিয়েও কথা উঠলো। রাজ্জাক বললেন, ‘একদিক থেকে বললে ঠিক আছে যে অপশন পাওয়া যাচ্ছে না। একটা সেট প্লেয়ার চলে যাওয়ার পরে নতুন প্লেয়ার আসার পরে ওই জায়গাটা ফুলফিল করতে পারবে না। আর পুরনোদের কাছে যে রিকয়ারমেন্ট ছিল সেটা অন্যদের কাছে রাখলেও হবে না। কারণ তাকে সময় দিতে হবে। আমার কাছে মনে হয় আমাদের লেফট আর্ম স্পিনারদের সময় দেয়া দরকার। কারণ হচ্ছে যেহেতু ভাল হচ্ছে না। সাকিব অটোমেটিক চয়েজে খেলে এতে করে টিমের ক্যাপ্টেনের সুবিধা হয়। কেননা তাহলে দল একটা বোলার ও ব্যাটসম্যান পাচ্ছে। তো ওই জায়গাটায় অন্য আরেকটা কিছু ট্রাই করা যায়। সেক্ষেত্রে একটা লেফট আর্ম স্পিনার আসতে পারে। আমি শিওর অস্ট্রেলিয়া আসলে এখানে হয়তো করা হবে। তবে ভাল অপশনেরও দরকার আছে। সুযোগ না দিলে মুশকিল। আমি শিওর যে আমাদের ম্যানেজমেন্ট অবশ্যই চেষ্টা করছে। হয়তো তাদের মনমতো হচ্ছে না। এজন্য হয়তো বা খেলাতে পারছে না। ভাল করলে খেলাবে না কেন। আমরা কিন্তু তিন লেফট আর্ম স্পিনারও খেলেছি। আমি সাকিব আর রফিক ভাই। হয়তো টিম ম্যানেজমেন্টের তখন বিশ্বাস ছিল, এখন হয়তো কিছুটা কম।’
×