ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

চট্টগ্রামে পুলিশও নৌকা আনল

প্রকাশিত: ০৬:৩৯, ৫ আগস্ট ২০১৭

চট্টগ্রামে পুলিশও নৌকা আনল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বৃষ্টি আর জলাবদ্ধতায় চট্টগ্রামের জীবনযাত্রায় একটা সুদূরপ্রসারী পরিবর্তন ঘটে যাচ্ছে। বর্ষায় যাতায়াতের জন্য নৌকায় নির্ভর করা ছাড়া উপায় থাকছে না। তাই নৌকার বেচাকেনা বেড়েছে বহুলাংশে। সরকারী অফিসও এর বাইরে নয়। সম্প্রতি চট্টগ্রামের কর অফিসের কর্মীরা যাতায়াতের জন্য নৌকা কিনেছেন। এবার নৌযানটি এনেছেন পুলিশ সুপার অফিসের কর্মীরা। চলতি বছর বর্ষায় চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা তীব্র আকার ধারণ করেছে। রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি আর জোয়ারের পানি মিলিয়ে বিপর্যস্ত অবস্থা তৈরি করেছে সেখানে। বৃষ্টি বেশি হলে কোন কোন এলাকা গলাসমান পানিতে, কোন এলাকা কোমর পানিতে ডুবে থাকে। এ পরিস্থিতিতে গাড়িতে করে যাতায়াত অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আর সড়ক ধরে চলতে শুরু করেছে নৌকা। এ পরিস্থিতিতে অফিসের কাজ সারতে প্যাডেল নৌকা ব্যবহার করছেন জেলা পুলিশ সুপার অফিসের কর্মকর্তারা। নগরীর হালিশহরে পুলিশ সুপার অফিসের সামনেই ভিড়ছে এ নৌযান। পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, একই এলাকার পুলিশ লাইনসের পুকুরে বিনোদনের জন্য ব্যবহার করা হতো নৌকাটি। কিন্তু এ পরিস্থিতিতে বিনোদনপিয়াসী লোক পাওয়া কঠিন। আর পানির কারণে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে না ভিজে যাতায়াত প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এ অফিস থেকে বিভিন্ন এলাকায় অভিযানে যাওয়াও হয়ে উঠেছে দুষ্কর। তাই বিনোদনের নৌকাটি নিয়ে আসা হয়েছে অফিসে যাতায়াতের জন্য। এ কার্যালয়ে দায়িত্ব পালন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল মাসুদ। তিনি জানান, তাদের যাতায়াত ছাড়াও সেখানে ট্রাফিক পুলিশের একটি ইউনিট আছে। এ ইউনিটের কর্মীরাও এ নৌকা দিয়েই বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করেন। যে এলাকায় পুলিশের এ কার্যালয়টি অবস্থিত সেটি গত চার দিন ধরে ডুবে আছে। কোথাও হাঁটুসমান, কোথাও কোমরসমান, কোথাও গলাসমান পানিতে তলিয়ে থাকা এলাকা দিয়ে যানবাহনের যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে পুরোপুরি। হালিশহরের পাশাপাশি আগ্রাবাদ এলাকাও ডুবে আছে। এখনও পানি আছে চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, হালিশহর, আগ্রাবাদ, সদরঘাট, পতেঙ্গা। এসব মানুষ যাতায়াত করছে নৌকা দিয়েই। তবে নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা, মুরাদপুর, জিইসি, খুলশী, চকবাজার, বাকলিয়ার একটি অংশ থেকে নেমেছে পানি।
×