ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

২১০০ সাল নাগাদ বসবাসের অযোগ্য হবে দক্ষিণ এশিয়া

প্রকাশিত: ০৬:২২, ৫ আগস্ট ২০১৭

২১০০ সাল নাগাদ  বসবাসের  অযোগ্য  হবে দক্ষিণ এশিয়া

বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির রাশ টেনে ধরতে ব্যর্থ হলে চলতি শতাব্দির শেষ নাগাদ বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠবে দক্ষিণ এশিয়া। মাত্রাছাড়া ভাবে বেড়ে যাবে ভ্যাপসা গরম। বিশেষজ্ঞরা বুধবার এ কাথ জানিয়েছেন। পৃথিবীর এক-পঞ্চমাংশ লোকের বাস এ অঞ্চলে। সায়েন্স এ্যাডভান্স জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় গ্রীষ্মের তাপ প্রবাহের সঙ্গে তাপ ও আদ্রতার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। খবর ইয়াহু নিউজ। দুটি জলবায়ু মডেল এ গবেষণায় ব্যবহৃত হয়। একটি হচ্ছেÑ গতানুগতিক ব্যবসায়িক দৃশ্যকল্প যেখানে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে সামান্য গবেষণা করা হয়। দ্বিতীয় পদ্ধতিটির উদ্দেশ্য ছিল তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রী সেলসিয়াসের নিচে রাখা। তাপমাত্রা ২ ডিগ্রী সেলসিয়াসের নিচে রাখার লক্ষ্যে ২০১৫ সালের প্যারিস জলবায়ু সম্মেলনে ১৯০টিরও বেশি দেশ সই করে। এ ধরনের প্রথম গবেষণায় শুধু তাপমাত্রার বিষয়ই দেখা হয়নি, বরং আদ্র বাল্বের তাপমাত্রাও দেখা হয়েছে যা তাপমাত্রা, আদ্রতা ও ঠা-া হতে মানুষের শরীরের সক্ষমতাকে সমন্বয় করে। ৩৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস বা ৯৫ ডিগ্রী ফারেনহাইটকে সহ্যের সীমা হিসেবে বিবেচিত হয়। বিজনেস-এ্যাস ইউসালে দেখা যায় আদ্র-বাতি তাপমাত্রা দক্ষিণ এশিয়ার অধিকাংশ এলাকার বসবাসের মাত্রার ক্ষেত্রে পরিচালিত হয়। কিছু এলাকায় এটি মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। এ এলাকার জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ এ রকম তাপমাত্রার মধ্যে থাকবে। বর্তমানে এ সংখ্য শূন্য শতাংশ। দক্ষিণ এশিয়ার ঘনবসতিপূর্ণ কৃষি এলাকা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কারণ শ্রমিকদের তাপ থেকে শীতাতপ পরিবেশে যাওয়ার খুব একটা সুযোগ থাকে না। ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলকে আঘাত করতে কয়েক দশকের মধ্যেই আস্তে আস্তে ভয়াবহ তাপপ্রবাহ শুরু হতে পারে। এর মধ্যে সিন্ধু ও গঙ্গা নদীর ক্ষাতও থাকবে। এ নদী দুটি এ এলাকার অধিকাংশ খাদ্যশস্য উৎপাদনে ভূমিকা রাখে বলে গবেষণায় জানানো হয়। ভারতে ১২৫ কোটি লোকের বাস। পাশাপাশি বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে ৩৫ কোটি লোক বাস করে। ইতোমধ্যে ২০১৫ সালে আধুনিক ইতিহাসের ৫ম ভয়াবহ তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে ভারত ও পাকিস্তানের বিশাল অংশের ওপর দিয়ে। এতে ৩ হাজার ৫০০ লোকের মৃত্যু হয়। তবে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন তাদের মডেলে আশা করার মতো কারণও আছে। তাদের গবেষণায় আসন্ন দশকগুলোতে তাপমাত্রা কমাতে যেসব সুপারিশ করা হয়েছে তা বাস্তবায়ন করা হলে ক্ষতিকর আদ্র-বাতি তাপমাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত লোকের সংখ্যা শূন্য থেকে ২ শতাংশ বাড়তে পারে। তাপমাত্রা এখনও বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে। তবে খুব বিপজ্জনক পর্যায়ের কাছাকাছি নয়। ম্যাসাচুসেস্ট ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) পরিবেশ প্রকৌশলের অধ্যাপক বলেন, প্রশমনেরও মূল্য আছে, যতদূর সম্ভব জনস্বাস্থ্য ও তাপপ্রবাহ কমার ক্ষেত্রেও।
×