ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

তিনি আমাদের জাতির পিতা

প্রকাশিত: ০৬:১২, ৫ আগস্ট ২০১৭

তিনি আমাদের জাতির পিতা

তিনি আমাদের জাতির পিতা। স্বাধীন সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের বাঙালীর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বাঙালী জাতির হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছিলেন, আছেন এবং থাকবেন চিরদিন। তিনি অমর। তাঁর আদর্শ ও নীতির ওপর ভর করে বাঙালী জাতি বিশ্বের প্রতিটি দেশে ও প্রতিটি দেশের দরবারে স্থান করে নিয়েছে। বিশ্বের প্রথম সারিতে বাংলাদেশের পতাকা স্থান পেয়েছে এই মহান নেতার কল্যাণে। তিনি ইতিহাস, তিনি বিশ্ব ইতিহাস। তিনি ছিলেন নেতাদের নেতা। জাতির পিতা শেখ মুজিবের স্বাধীন বাংলাদেশ। বাঙালী জাতি আজ স্বাধীনভাবে বাংলা ভাষায় কথা বলে। গণতন্ত্র মজবুত থেকে অধিকতর মজবুত হয়ে তাঁরই প্রদত্ত পবিত্র সংবিধানের ওপর ভর করে সরকার দেশ শাসন করে আসছে। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। সোনার বাংলায় আজ ডিজিটাল বাংলা পরিণত হয়েছে। তথাকথিত ষড়যন্ত্রমূলক পাকিস্তান সৃষ্টির পর হতে অত্যাচারিত পাকি শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু সংগ্রাম চালিয়ে আসছিলেন বাঙালী জাতিকে নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য। কথিত পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালী জাতি সরকারী চাকরি পেত না। ডাক্তার, প্রকৌশলী পড়ার সুযোগ পেত না। সিএসপি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ পেত না। পাইলট হতে পারত না। বাঙালী ব্যবসায়ীদের কোন আমদানি-রফতানির লাইসেন্স দেয়া হতো না। প্রশাসনে উচ্চ পদে চাকরি ও প্রমোশন দেয়া হতো না। আমাদের দেশে উৎপাদিত পাট ও চামড়া বিক্রি করে অর্থ নিয়ে যেত পশ্চিম পাকিস্তানে। নানাভাবে বৈষম্য সৃষ্টি হতে থাকলে বঙ্গবন্ধু দলীয় নেতা তথা বাঙালী জাতির নেতা হিসেবে পাকি শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে সংগ্রাম শুরু করেন। সংগ্রাম করতে গিয়ে জেল জুলুম নির্যাতন সহ্য করে সংগ্রাম চালিয়ে যান। নির্বাচনে জয়লাভ করলেও ইয়াহিয়া, ভুট্টো ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অস্বীকৃতি জানালে বিশ্বনেতা বঙ্গবন্ধু দেশ ও দেশের মানুষকে বাঁচাতে মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা দান করে পাকিদের নির্যাতন সেলে বন্দী হন। পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী করে পাকি হানাদার বাহিনী মেতে ওঠে বাঙালী হত্যায়। ঢাকাসহ বড় বড় শহরে রক্তের বন্যা বইয়ে দেয় টিক্কা-নিয়াজী। বুদ্ধিজীবী, লেখক, নাট্যকার, প্রযোজক, পরিচালক, ডাক্তার, প্রকৌশলী, শিক্ষক, সাংবাদিক বেছে বেছে মেরে ফেলে জান্তা বাহিনী। শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে এতে দাঁড়ান। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সচেতন ও বিবেকবান বিশ্ব বাংলাদেশের পক্ষে কাজ করতে থাকে। মাত্র দশ মাসের যুদ্ধে স্বাধীন বাংলাদেশ নামে একটি দেশ উপহার দেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৭৬-এ তিনি সংবিধান উপহার দেন জাতিকে। সামনে জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচনের দুয়ারে প্রবেশ করবে সকল রাজনৈতিক দল। তার আগে প্রতিটি দলকে দলীয় গঠনতন্ত্র ও নীতিমালা পত্রিকায় ছাপাতে হবে এবং মিডিয়া প্রকাশ করতে হবে দলীয় গঠনতন্ত্রের শুরুতেই জাতির পিতার কথা ও জাতির পিতার নাম উল্লেখ থাকতে হয়ে। জাতির পিতাকে স্বীকার করতে যেসব দল লজ্জা বোধ করবে কিংবা অনীহা দেখাবে, সেসব দলের জাতীয় সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ থাকবে। দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশন বিষয়টি নিশ্চিত করতে নীতিমালা তৈরি করবে, যাতে সকল দলের গঠনতন্ত্রে জাতির পিতাকে স্বীকার করে তাঁর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের কথা বলা হয়। যে দল এ কাজটি করতে ব্যর্থ হবে, সে দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণ অযোগ্য হবে। জাতির পিতা অঙ্গাঙ্গিভাবে মিশে আছেন স্বাধীন বাংলাদেশে। জাতির আশা আকাক্সক্ষা পূরণ করতে ব্যর্থ হলে যে কোন রাজনৈতিক দলের স্বাধীনতার প্রতি অসম্মান প্রকাশ পাবে। সুতরাং জাতিকে রক্ষা করতে হবে। স্বাধীনতা বাঁচিয়ে রাখতে হবে। সংবিধান অক্ষত রেখে। গণতন্ত্র ধরে রাখতে হবে। জাতির পিতাকে স্মরণীয় করে রাখতে হবে। মেছের আলী শ্রীনগর, মুন্সীগঞ্জ
×