ইমরানুল হক চৌধুরী, এমডি চকডাস্ট স্টুডিওর, তিনি জনকণ্ঠের আইটি ডট কমের প্রতিবেদকে জানান, এবারে দেশের ভিতরকার মিডিয়া প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানদের ভিএফএক্স, টুডি, থ্রিডি এবং সিজি কাজের জন্য দেশের বাইরে যাবার প্রয়োজন ফুরিয়েছে। সিনেমার অতি গুরুত্বপূর্ণ এ্যানিমেশন ও লাইভ এ্যাকশনসহ সব কাজই দেশের মধ্যে করতে সক্ষম তাদের স্টুডিও।
দেশের মধ্যে কাজ না জানার কারণে ও নিম্ন মানের স্টুডিওর শ্লথ গতির কারণে দেশের মধ্যে অবস্থিত প্রোডাকশন হাউসগুলো তাদের নির্মিত কাজগুলোতে কম্পিউটার গ্রাফিক্স কাজগুলো এতদিন দেশের বাইরে নিয়ে যেত। যদিও প্রতিবেশী দেশ ভারতে এইরকম বহু প্রতিষ্ঠান আছে। যারা এই কাজগুলো করে। অভিজ্ঞতার অভাবের কারণে প্রতিবেশী ভারতেরও বাংলাদেশের মিডিয়ার কাজগুলো তেমন মানসম্মত ছিল না। অর্থ অপচয় ছাড়া আর কিছুই হতো না এতদিনে। সে নাটক আর সিনেমা অথবা অন্য কোন মিডিয়া প্রোযোজনা অনুষ্ঠান হোক না কেন।
এই প্রতিষ্ঠানের ডিএমডি সাইফুল ইসলাম বলেন, তাদের প্রতিষ্ঠান মিডিয়া সংশ্লিষ্ট সকল কাজই করতে সক্ষম। আর কাজ করার জন্য বিশ্বমানের স্টুডিও তারা করেছেন মিডিয়া হাউসগুলোর জন্য। যেন তারা তাদের কাজগুলো সঠিক মানের, সময় মতো পেতে পারেন। চকডাস্ট স্টুডিও নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিজের অর্থায়নে নির্মাণ করেছে ফিকশনধর্মী শর্টফিল্ম অনিষ্ট। হরর মুভিতে যে কম্পোজিশন থাকে তার সব কিছুই অনিষ্টতে প্রয়োগ করার সফলতম প্রচেষ্টা তারা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, অনিষ্ট নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে হলিউড ঢংয়ের এ্যানিমেশন, থ্রিডি গ্রাফিক্স। এই ধরনের কাজগুলো অতি সহজে, কম খরচে চকডাস্ট স্টুডিও দেশীয় প্রেডাকশন হাউসের জন্য করবে। শুধু তাই নয়, দেশের টাকা দেশেই থাকবে আর সেই সঙ্গে চকডাস্ট স্টুডিও নিজস্ব আন্তরিকতা।
থ্রিডি গ্রাফিক্সের কাজ আমাদের দেশের প্রযোজনা সংস্থাগুলো বিগ বাজেটের জন্য করতে পারত না। সেই সঙ্গে ছিল অভিজ্ঞতার অভাব। আবার অনেক প্রতিষ্ঠান না জেনে নিত কাজের চাইতে বহুগুণ অর্থ। আর মান ছিল নিম্ন মানের। কিন্তু এই প্রথম দেশের মধ্যেই একদল তরুণ নির্মাণ করেছেন পূর্ণাঙ্গ স্টুডিও। এই স্টুডিওতে কাজ হবে সব বিশ্বমানের। এমনটাই আশা প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারদের। অনিষ্ট রিলিজ হয়েছে ইউটিউবে চকডাস্ট স্টুডিওর নিজস্ব চ্যানেলে। নিদিষ্ট লিংকটি www.youtube.com/chalkduststudio) দিয়ে দেখা যাবে তাদের প্রথম প্রোডাকশন অনিষ্ট।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: