ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ফ্যাশনেই ব্যক্তিত্বের প্রকাশ’

প্রকাশিত: ০৬:২৭, ৪ আগস্ট ২০১৭

ফ্যাশনেই ব্যক্তিত্বের  প্রকাশ’

মাসুমা রহমান নাবিল। ২০১৬ সালে মুক্তি পাওয়া জনপ্রিয় ‘আয়নাবাজি’ সিনেমার হৃদি চরিত্রের মাধ্যমে জয় করে নিয়েছেন দর্শক হৃদয়। ভালবাসেন অভিনয়। অভিনয়ের পাশাপাশি ফ্যাশনেও আছে যার ব্যক্তিত্বের প্রকাশ। ফ্যাশন নিয়ে এই মানুষটির ভাবনা ফুটে উঠেছে আজকের আয়োজনে। সঙ্গে ছিলেন- মাহির দীপন। আপনি একজন অভিনেত্রী, কিন্তু সবার আগে একজন মানুষ। একজন স্বতন্ত্র মানুষের দৃষ্টিকোণ থেকে ফ্যাশনকে কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন? ফ্যাশন আমার কাছে সেটাই যা একজনের ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তোলে। একজন মানুষ কি ধরনের পোশাক পরছে বা কিভাবে চলছে তা থেকে সেই মানুষটির পারসোন্যালিটি কেমন তারও প্রতিফলন ঘটে। সেই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে আমি বলব ফ্যাশন হলো মানুষের ব্যক্তিত্বের বহির্প্রকাশ। একজন অভিনেতা কিংবা অভিনেত্রীকে পেশার খাতিরে বিভিন্ন পোশাকে মানিয়ে নিতে হয়। এক্ষেত্রে নিজের ফ্যাশন চেতনাকে প্রাধান্য দেয়ার সুযোগ কতটুকু বলে আপনি মনে করেন? সত্যি বলতে অভিনয় বা চরিত্র নিয়ে তেমন একটা এক্সপেরিমেন্ট আমার করা হয়নি। তবে যে কয়টি চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ হয়েছে, অবশ্যই চরিত্রের প্রয়োজন অনুযায়ী পোশাক বাছাই করা হয়েছে। এক্ষেত্রে কস্টিউম ডিজাইনার যিনি থাকেন তার সিদ্ধান্তই শ্রেয়, তবে মাঝে মধ্যে নিজের ইচ্ছাটাও ইনপুট দেয়ার কিছুটা সুযোগ থাকে। পছন্দের রঙের কথায় আসলে কোনগুলোকে প্রাধান্য দেবেন? আমার পছন্দের রঙের তালিকায় সবসময় সাদা থাকে। সাদা রংটা সর্বদাই প্রিয়, সেটা পোশাকের ক্ষেত্রেও। এছাড়া নেভি ব্লু, ধূসর ইত্যাদি গাঢ় রংগুলো বেশ পরা হচ্ছে। আসলে রঙের প্রাধান্যের ক্ষেত্রে বয়সও কিছুটা প্রভাব ফেলে। প্রিয় ফ্যাশন অনুষঙ্গ কোনগুলো যেগুলো ছাড়া ফ্যাশনকে অসম্পূর্ণ মনে হয়? উত্তর : আসলে ফ্যাশন অনুষঙ্গ এমন একটা জিনিস, যেটা আমি মনে করি ফ্যাশনকে পরিপূর্ণ করে। সবাই দেখা যায় ফ্যাশনের ক্ষেত্রে পোশাককে যতটা গুরুত্ব দেয়, এক্সেসরিজ নিয়ে হয়ত সেভাবে ভেবে দেখে না০। কিন্তু অনুষঙ্গগুলোই কিন্তু পোশাকটাকে আরও সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলে। যেমন আমি ঘড়ি পরতে খুব পছন্দ করি, জুতার প্রতিও আগ্রহ কাজ করে। তাছাড়া বিভিন্ন পারফিউম ব্যবহার করা হয়। কোন ধরনের পোশাকে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন? দেশীয় নাকি পশ্চিমা? দেশীয় বা পশ্চিমা না, বরং ফিউশন বলা যেতে পারে। আমি জিন্সের সঙ্গে কুর্তি বা টপস পরতে আরামবোধ করি। পছন্দের কোন ব্র্যান্ড যাদের অন্যদের থেকে আলাদা মনে হয়? সেভাবে কোন ব্র্যান্ড আমার ফলো করা হয় না। এ ক্ষেত্রে শুধু বলতে পারি যে কোন প্রেফারেন্স আসলে নেই। ব্যক্তি নাবিলা এবং অভিনেত্রী নাবিলাÑ ফ্যাশনের ক্ষেত্রে কাকে প্রাধান্য দেবেন? অবশ্যই ‘ব্যক্তি নাবিলা।’ কেননা, ব্যক্তি এবং অভিনয়ের নাবিলা কিন্তু খুব একটা আলাদা কেউ না। আমি যখন অভিনেত্রী নাবিলা হিসেবেও কোথায় যাচ্ছি, সেখানেও ব্যক্তি নাবিলার একটা অংশও প্রতিফলিত হবে। অভিনেত্রী হিসেবে অসংখ্য তরুণীর কাছে আপনি অনুকরণীয়। সেক্ষেত্রে বর্তমান তরুণীদের ফ্যাশন ভাবনাটা কেমন হওয়া উচিত বলে আপনি মনে করেন? আমি বলব স্বকীয়তা বজায়ে রাখতে। হয়ত আমরা কাউকে ফ্যাশন আইকন হিসেবে ধরে নিচ্ছি, দেশে বা বিদেশে কারও ফ্যাশন ট্রেন্ড পছন্দ করতেই পারি। কিন্তু সেই মানুষটা কোন ধরনের পোশাক পরছে, কিভাবে চুল বাঁধছে সেটা সরাসরি অনুকরণ না করে, নিজস্বতা বজায়ে রাখাই মনে হয় ভাল। নিজের অবস্থানে ব্যক্তি হিসেবে ফ্যাশনের ক্ষেত্রে স্বকীয় থাকতে বলব সবাইকে।
×