বিজ্ঞানীরা বলছেন, এঁটুলি নামে পরিচিত এক ধরনের কীটের থুতু বা মুখের লালা দিয়ে মারাত্মক ধরনের হৃদরোগের চিকিৎসা করা সম্ভব। এ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মানুষের আকস্মিক মৃত্যুও হতে পারে।
এঁটুলির মুখের লালাতে এমন কিছু প্রোটিন পাওয়া গেছে যা হৃদযন্ত্রের প্রদাহ বন্ধ করতে পারে।
এই প্রদাহ মায়োকার্ডিটিসের কারণ হতে পারে যা শেষ পর্যন্ত পারে হৃদযন্ত্রকে অকার্যকর বা অচল করে দিতে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এই কীটটিকে নতুন নতুন ওষুধের গোল্ডমাইন বা স্বর্ণ খনি বলে উল্লেখ করেছেন। কারণ স্ট্রোক ও আর্থাইটিজসহ আরও রোগের চিকিৎসায় এটিকে ব্যবহার করা যেতে পারে।
এঁটুলির মুখের লালাতে এমন কিছু প্রোটিন পাওয়া গেছে যা হৃদযন্ত্রের প্রদাহ বন্ধ করতে পারে।
তবে এসব পরীক্ষার সবকটিই এখন পর্যন্ত শুধু ল্যাবরেটরিতেই চালানো হয়েছে। তাই মানুষের পক্ষে এ ওষুধ কখন ব্যবহার করা সম্ভব সেটা এখনই বলা যাবে না।
এঁটুলি কাউকে কামড়াতে খুবই দক্ষ। কামড় দিলেও সেটা বোঝা যায় না। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এর অর্থ হলো যেকোন প্রাণী এবং মানুষের শরীরে এটি কোন ধরনের সমস্যা না করেই আট থেকে দশদিন পর্যন্ত থাকতে পারে।
অর্থাৎ এ সময় প্রাণীর শরীরে কোন ধরনের ব্যথা বা প্রদাহের সৃষ্টি হবে না।
এর কারণ হলো, এঁটুলির মুখের লালায় যে প্রোটিন আছে সেটি যার শরীরে সে আশ্রয় নিয়েছে, সেখানে চেমোকিনের রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে ওই প্রদাহকে বন্ধ করে দেয়।
মায়োকার্ডিটিসে যারা আক্রান্ত হয়, তাদের হৃদযন্ত্র থেকে চেমোকিন নির্গত হয় এবং সেটা হার্টের পেশীতে প্রদাহের সৃষ্টি করে।
গবেষকরা বলছেন, এই কীটের মুখের থুতু ব্যবহার করে এখন মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব।
সূত্র : বিবিসি
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: