ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঝলক

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ৪ আগস্ট ২০১৭

ঝলক

চুল চোর আতঙ্ক চুল চোর আতঙ্কে ভুগছে ভারত। দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় হরিয়ানা ও রাজস্থান প্রদেশে পঞ্চাশেরও বেশি নারী অচেতন অবস্থায় তাদের মাথার চুল কেটে নেয়ার অভিযোগ করেছেন। পুলিশও এই রহস্যের কূল-কিনারা খুঁজে পাচ্ছে না। রীতিমতো নাকানিচুবানি খেতে হচ্ছে পুলিশ বিভাগের। এ রহস্যঘেরা চুল চোরকে নিয়ে দুই রাজ্যের নারীদের মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। কারণ ভারতে নারীরা চুলকে তাদের সৌন্দর্যের অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ মনে করে। ৫৩ বছর বয়সী সুনিতা দেবী বলেন, গত শুক্রবার হঠাৎ তীব্র আলোর ঝলকানি আমাকে অচেতন করে দেয়। এক ঘণ্টা পর জেগে দেখি আমার চুল কেটে নেয়া হয়েছে। হরিয়ানার গুরগাঁও জেলার ভিমগড় খেরি এলাকার এই নারী শুক্রবারের ওই ঘটনার মানসিক আঘাত ভুলতে পারছেন না। তিনি ঘুমাতে ও কাজে মনোযোগ দিতে পারছেন না। যে এলাকায় সুনিতা দেবীর বাস সেটি মূলত ব্যবসা ও কৃষিপ্রধান এলাকা। তার অভিযোগ, চুল কেটে নেয়া ওই বয়স্ক পুরুষ চোরের পরনে ছিল উজ্জ্বল রঙের পোশাক। তিনি বলেন, রাত সাড়ে ন’টার দিকে বাসার নিচতলায় আমি একা ছিলাম। এ সময় হঠাৎ এ ঘটনা ঘটে। আমার ছেলের বউ আর নাতি দোতলায় ছিল। অথচ কেউই কিছু শুনতে পায়নি। তারা যে গলিতে থাকেন সেখানে আরও প্রায় বিশটির মতো ঘর আছে। রাত নয়টা থেকে ১০টা পর্যন্ত প্রত্যেকটি বাড়িতে লোক গমগম করে বলে জানান প্রতিবেশীরা, রাতের খাবারের পর সবাই গল্প করে বা বিশ্রাম করে। শুক্রবারও এর ব্যতিক্রম ছিল না। কিন্তু প্রতিবেশীদের কেউই সুনিতা দেবীর বাসায় কাউকে ঢুকতে বা বের হতে দেখেনি। ফলে, রহস্য আরও ঘনীভূত হয়। কিন্তু ঘটনা এখানেই শেষ নয়। পরদিন একই ধরনের ঘটনা ঘটে। মুনেশ দেবী নামের এক স্থানীয় লোক বলেন- চুল চোরকে নিয়ে এলাকার মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তিনি বলেন, সুনিতা দেবীর বাসার ঠিক কয়েক গজ দূরে থাকেন গৃহকর্মী আশা দেবী। তিনিও রাতের আঁধারে তাঁর চুল হারান। কিন্তু এবারের চোর পুরুষ নয়, একজন নারী। আশা দেবীর শ্বশুর জানান, হামলার পরদিনই ছেলের বউসহ বাড়ির সব নারীকে উত্তর প্রদেশের এক আত্মীয়ের বাড়িতে রেখে আসেন তিনি। স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, চুল কেটে নিয়ে যাওয়া এই ভুতুড়ে চোর প্রথম দেখা যায় রাজস্থানে। গত জুলাই মাসে। এরপর থেকে হরিয়ানা এমনকি রাজধানী দিল্লীতেও এ ধরনের ঘটনার খবর পাওয়া যায়। এরই মধ্যে চুল চোরকে নিয়ে নানা ধরনের গল্প চালু করে দিয়েছেন অনেকে। কারও মতে, সংঘবদ্ধ কোন চক্র এমন হামলার সঙ্গে জড়িত। আবার কারও মতে, তান্ত্রিক বা ডাইনিরা বেছে বেছে নারীদের চুল কাটছেন। কারও বিশ্বাস, এসব ঘটনায় জড়িয়ে আছে অতিপ্রাকৃত শক্তি। Ñরেডিট ডটকম অবলম্বনে। তালাকের কারণ কবুতর! ইন্দোনেশিয়ার সেন্ট্রাল জাভা প্রদেশে ক্রমেই তালাকের হার বাড়ছে। আর সেখানকার জনপ্রিয় কবুতর খেলার প্রতি মানুষের ভালবাসাকেই এই ডিভোর্সের জন্য দায়ী করা হচ্ছে। সেন্ট্রাল জাভা প্রদেশের পূর্বালিঙ্গা রিলিজিয়াস কোর্টের একজন কর্মকর্তা দেশটির সংবাদমাধ্যম জাকার্তা পোস্টকে জানান, তাদের অফিসে জুলাই মাসেই অন্তত ৯০টি ডিভোর্সের আবেদন পড়েছে। অথচ জুন মাসে এই সংখ্যাটা ছিল মাত্র ১৩। কোর্টের কর্মকর্তা নূর আফলাহ বলছেন, যারা ডিভোর্সের পিটিশন করছেন তারা সবাই নারী। তারা অর্থনৈতিক বিষয়কে কারণ হিসেবে তুলে ধরে বলেছেন তাদের স্বামীরা কবুতর খেলা নিয়ে খুব বেশি পরিমাণে আসক্ত। কবুতর খেলা ইন্দোনেশিয়ায় অত্যন্ত জনপ্রিয়। যেখানে প্রতিযোগীদের সাধারণত অর্থ পুরস্কার দেয়া হয় এবং এই খেলায় যে কবুতর প্রথম হয়, আশা করা হয় তাকে চড়া দামে বিক্রি করা যাবে। আফলাহ বলছেন, স্বামীরা সারাদিন তাদের কবুতর নিয়ে মেতে থাকে এবং সংসারের প্রতি একটুও মনোযোগ বা সময় না দেয়ায় স্ত্রীরা অত্যন্ত রাগান্বিত। এছাড়া অর্থনৈতিক অবস্থাও এই পরিস্থিতি আরও কঠিন করে তুলেছে। পূর্বালিঙ্গায় অনেক নারী শ্রমিক আছে যাদের স্বামীরা বেকার। কিছুই করতে চায় না তারা। বেশিরভাগই ‘পাইলট’ হিসেবে পরিচিত। এখানে ‘পাইলট’ মানে বিমান উড়ানো নয়। কবুতর উড়ানো। এসব পুরুষ তাদের নিজেদের কবুতরদের খেলায় ভাল প্রতিযোগী বানানোর চেষ্টায় মগ্ন থাকে। এছাড়া কবুতর প্রতিযোগিতা নিয়ে যে জুয়া খেলা চলে সেটাও অনেক পরিবারের অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কারণ। একজন গ্রামবাসী জানান, প্রতিযোগিতায় কবুতর জয়ী হলে কিছু টাকা তার স্বামী তার স্ত্রীকে দেয়। কিন্তু বেশিরভাগ সময় সিগারেটের টাকাও নিজের স্ত্রীর কাছ থেকে নেয় ওই ব্যক্তি। জার্কার্তা পোস্ট অবলম্বনে।
×