ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

কিশোরীগঞ্জে যৌতুকের বলি নববধূ

প্রকাশিত: ০৪:২৭, ৪ আগস্ট ২০১৭

কিশোরীগঞ্জে যৌতুকের বলি নববধূ

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ যৌতুকের বলি হয়েছে নববধূ শাহনাজ আক্তার (১৯)। ঘটনাটি ঘটেছে কিশোরীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজিবপুর গ্রামে। নিহত নববধূ ওই গ্রামের মিন্টু মিয়া (৩০) স্ত্রী। বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে দুপুরে জেলার মর্গে ময়নাতদন্ত করেছে। জানা যায়, উপজেলার চাঁদখানা ইউনিয়নের উত্তর চাঁদখানা গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে শাহনাজ আক্তারের সঙ্গে ছয় মাস আগে বিয়ে হয় কিশোরীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজিব গ্রামের মফিজার রহমানের ছেলে মিন্টু মিয়ার। বিয়ের সময় ঘর সাজানোর সবকিছু দেয়ার পরও নগদ দুই লাখ টাকা প্রদান করে মেয়ের বাবা। কিন্তু এরপরেও স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ননদ যৌতুকের আরও দুই লাখ টাকা দাবি করে নববধূ শাহনাজ আক্তারকে শারীরিকভাবে নির্যাতন ও অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে আসছিল।এনিয়ে শাহনাজের বাবা থানায় মামলা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। উল্টো শাহনাজের স্বামীর ছোট বোন পুলিশ সদস্য শ্যামলী ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসে। ঘটনার দিন বুধবার সন্ধ্যায় যৌতুকের আরও দুই লাখ টাকার জন্য নববধূ শাহনাজের ওপর পুনরায় নির্যাতন শুরু হয়। শাহনাজের বাবা শহিদুল ইসলাম জানায়, আমার মেয়ের নির্যাতনে প্রতিবাদ করতে গেলে মেয়ের জামাইয়ের বোন শ্যামলী পুলিশ সদস্য মোবাইলে আমাকে হুমকি দেয়। ঘটনার দিন তারা আমার মেয়েকে নির্যাতন শুরু করলে মোবাইলে আমার মেয়ে জানায় বাবা তুমি আমাকে রক্ষা কর। আমি আর তাদের নির্যাতন সইতে পারছি না। আমি মেয়ে জামাইয়ের বাড়িতে যাওয়ার জন্য বাড়ি হতে বের হতেই মেয়ের শ্বশুর আমাকে মোবাইলে জানায় আপনার মেয়ে খুবই অসুস্থ তাড়াতাড়ি আমার বাড়িতে আসেন। এসে দেখি আমার মেয়ের মরদেহ তার শোয়ার ঘরের ভেতর দড়িতে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছে। এরপর থানায় খবর দিয়ে পুলিশ আনতে গেলে আমার মেয়ের স্বামী, শ্বশুর, দেবর পালিয়ে যায়। শাহনাজের বাবার অভিযোগ ওরা আমার মেয়েকে নির্যাতন চালিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায়।
×