নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ৩ আগস্ট ॥ উপজেলার চম্পাপুর ইউনিয়নের পাটুয়া ও বিনামকাটা গ্রামের দুই শ’ কৃষক পরিবার স্থায়ী জলবদ্ধতার কবলে পড়েছেন। জোয়ার-ভাটা প্রবহমান খালে বাঁধ দিয়ে পুকুর করায় এমন দুরবস্থায় পড়েছেন কৃষকরা।
তিন সহস্রাধিক একর আবাদি জমির চাষাবাদ নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন এসব কৃষক। ইতোপূর্বে জলাবদ্ধতায় এসব কৃষকরে রবি শস্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পচে গেছে তরমুজ। এখন আমনের বীজতলা ডুবে আছে। পচে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। রয়েছে চাষাবাদ বন্ধ।
কৃষকরা উপজেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেও কোন প্রতিকার না পেয়ে এখন চরম হতাশায় পড়েছেন তারা। জানা গেছে, দাগের ভোলাইয়ের (জোয়ার-ভাটা প্রবাহমান) খালে বাঁধ দিয়ে দুটি পুকুর তৈরি করেছে চম্পাপুর ইউনিয়ন কৃষকলীগ সভাপিত গফুর মোল্লা এবং এলাকার প্রভাবশালী সত্তার মোল্লা, আলতাফ গাজী। রামনাবাদ নদীর সঙ্গে স্লুইস সংযুক্ত এ খালের পানি চলাচলের পথ ওই বাঁধ দেয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে।
কৃষকের চরম সর্বনাশ করে তাদের অনুরোধ উপেক্ষা করে গফুর মোল্লা, সত্তার মোল্লা এবং আলতাফ গাজী পুকুর তৈরি স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করে সর্বনাশ করেছেন কৃষকদের চাষাবাদ। বাঁধ দিয়ে পুকুর করায় পাটুয়া, বিনমকাটা, কৃষ্ণপুর, গোলবুনিয় গ্রামের কৃষি জমি পানিতে ডুবে আছে। হাঁটু থেকে কোমর সমান পানিতে ডুবে আছে অধিকাংশ এলাকা। অনেক বীজতলা পানির নিচে তলিয়ে আছে। বাড়িতে চলাচলের রাস্তা পর্যন্ত ডুবে আছে অনেকের।
গফুর মোল্লা জানান, জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। আমার পুকুর রেকর্ডীয় সম্পত্তিতে। তিনি জানান, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সত্তার মোল্লার ছেলে মনির ও হাসান খাল দখল করে মাছের ঘের করায় জলাবদ্ধতা হয়েছে। কলাপাড়ার ইউএনও এ বি এম সাদিকুর রহমান জানান, ইউপি চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে খালের বাঁধ কাটার জন্য কঠোর নির্দেশনা প্রদান করেছি।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: