ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিদ্যুত উৎপাদনের জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা কেনা হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ৩ আগস্ট ২০১৭

বিদ্যুত উৎপাদনের জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা কেনা হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিদ্যুত উৎপাদনের জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা কিনছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে দেশটির বারাতাবাং নামের একটি কোম্পানির সঙ্গে বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে। বারাতাবাং পায়রা-১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুত কেন্দ্রে কয়লা সরবরাহ করবে। বুধবার বিদ্যুত বিভাগে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত রিনা সোইমারনু প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা আমদানির বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিমন্ত্রী এ সময় দেশটি থেকে কয়লা আমদানির বিষয়ে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা জানান। পায়রা, রামপাল, মাতারবাড়ি বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। বিদ্যুত কেন্দ্রগুলোর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে- জ্বালানি সংগ্রহ। এখনও কোন কোম্পানিই আমদানির বিষয়টি চূড়ান্ত করতে পারেনি। সরকার কয়লা সমৃদ্ধ দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতকে কয়লা আমদানির বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে রিপোর্ট দিতে বলা হয়। কিন্তু ওই রিপোর্টে সন্তোষজনক কিছু ছিল না। পরবর্তী বিদ্যুত বিভাগ পরামর্শক নিয়োগ করে কয়লা আমদানির বিষয়টি চূড়ান্ত করার চেষ্টা চালায়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কয়লা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে মাতারবাড়ি বিদ্যুত কেন্দ্রর জন্য কাজ পাওয়া পক্ষকে কেন্দ্রটির প্রথম তিন মাসের কয়লা সরবরাহের দায়িত্বও দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রদূত জানান, ইন্দোনেশিয়ার সরকারী ও বেসরকারী সংস্থাসমূহের বাংলাদেশের বিদ্যুত ও জ্বালানি খাত সম্পর্কে আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ, কয়লা ও এলএনজি রফতানি এবং এ সংশ্লিষ্ট ব্যবসা খাতে ইন্দোনেশিয়া কাজ করতে আগ্রহী। রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, পোলট্রি সিমেন্ট এবং ফার্মাসিটিক্যাল ব্যবসায়ে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে জয়েন্ট ভেঞ্চারে বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক। বিদ্যুত বিভাগ সূত্র জানায়, এখন কোম্পানিগুলো যে যার মতো করে কয়লা আমদানির চেষ্টা করছে। এতে কয়লার বিভিন্ন রকম দর হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন কয়লা আমদানির জন্য একটি বিশেষায়িত কোম্পানি গঠন করে আমদানির বিষয়টি চূড়ান্ত করা যেতে পারে। দেশে নতুন জ্বালানি আমদানির দিকে ঝুঁকলেও সরকার এখনও পর্যন্ত কার্যকর কোন নীতি গ্রহণ করেনি। দেশে তেলের বিপণন এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করে বিপিসির কোম্পানিগুলো। তারাই তেল আমদানি এবং বাজার নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। কয়লার ক্ষেত্রেও এমন কিছু করা সম্ভব বলে মনে করা হয়। প্রতিমন্ত্রী, ইন্দোনেশিয়ান রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশের বিদ্যুত কেন্দ্রে ভবিষ্যত কয়লার চাহিদা তুলে ধরে বলেন, আমাদের প্রচুর কয়লার দরকার। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে বড় বাজার হতে পারে। তিনি বৈঠকে জানান এর মধ্যেই কয়লা আমদানির জন্য ইন্দোনেশিয়ার একটি কোম্পানির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। তিনি বলেন, সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করে আমরা যৌথভাবে একটি উন্নয়নের ফ্রেমওয়ার্ক করতে পারি। দুদেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে ট্রেডসু বা সোমিনার করতে পরলেও ব্যবসার ক্ষেত্র বৃদ্ধি পাবে। এতে ইন্দোনেশিয়ার জ্বালানি সম্পর্কে আমরা ব্যাপকভাবে জানতে পারব। সরকারী ব্যবস্থাপনার অর্থাৎ জি-টু-জি ব্যবসা-বাণিজ্যকে আমরা উৎসাহিত করি।
×