ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সুপ্রীম জুডিসিয়াল কাউন্সিল কখন থেকে কার্যকর হচ্ছে?

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ৩ আগস্ট ২০১৭

সুপ্রীম জুডিসিয়াল কাউন্সিল কখন থেকে কার্যকর হচ্ছে?

আরাফাত মুন্না ॥ সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে সুপ্রীমকোর্ট রায় দেয়ার পর উচ্চ আদালতের বিচারকের অপসারণে সুপ্রীম জুডিসিয়াল কাউন্সিল এখন থেকেই কার্যকর হয়েছে কিনা, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে অস্পষ্টতা। ষোড়শ সংশোধনী সুপ্রীমকোর্টে বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর এ বিষয়ে অস্পষ্টতা দেখা দেয়। সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মধ্যে এ বিষয়ে নানা মত রয়েছে। সুপ্রীম জুডিসিয়াল কাউন্সিল ব্যবস্থাটি চালু করেছিল আইন প্রণয়নের ক্ষমতাবহির্ভূত সামরিক সরকার। রায়ের পরই বিচারক অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছ থেকে সুপ্রীম জুডিসিয়াল কাউন্সিলে ফিরে গেছে বলে দাবি করেছেন রিটকারী আইনজীবী। অন্যদিকে এ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, ‘সংবিধানের যে কোন সংশোধনকে অবৈধ ঘোষণা করতে পারেন সুপ্রীমকোর্ট। কিন্তু সংবিধানের ধারা পুনঃস্থাপন করা সংসদের কাজ।’ সাবেক একজন বিচারপতিও বলেছেন, জুডিসিয়াল কাউন্সিল পুনর্বহাল করতে আইন প্রণয়ন করতে হবে। সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মতে, কোন আইন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হলে বিচার বিভাগ তা বাতিল করতে পারবে। কিন্তু এ কারণে আগের কোন সিদ্ধান্ত ‘অটোমেটিক্যালি’ আইন পরিষদের সম্মতি ছাড়া বহাল হওয়ার সুযোগ নেই। গত বছরের ৫ মে হাইকোর্টের একটি বৃহত্তর বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীকে অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেয়। ওই রায়ের ফলে সংসদের বিচারক অপসারণ ক্ষমতা বাতিল হয়ে যায়। হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপীল করে সরকার। আপীলে সরকার ও রিটকারী পক্ষ ছাড়াও এ্যামিকাস কিউরিদের মতামত নেয় আপীল বিভাগ। দীর্ঘ আপীল শুনানিতে ১০ জন এ্যামিকাস কিউরির মধ্যে ৯ জনই ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পক্ষে অভিমত দেন। গত ৩ জুলাই হাইকোর্টের রায় বহাল রাখে আপীল বিভাগ। মঙ্গলবার ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করা হয় সুপ্রীমকোর্টের ওয়েবসাইটে। এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম রায়ের পর থেকেই মন্তব্য করছেন, ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ হলেই সুপ্রীম জুডিসিয়াল কাউন্সিল বহাল হয়ে যাবে এমন সুযোগ নেই। তিনি বলেন, ‘যদি সংসদ সেটি অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ না নেয় সে ক্ষেত্রে এর পদ্ধতি কী হবে তা নিয়ে কেউ ভাবছে না। ওনারা নিজেদের মতো করে রেস্টর (পুনঃস্থাপন) করেছেন। কিন্তু আমার বক্তব্য হলো, সংবিধানের যে কোন ধারা সংশোধন করা বা বাদ দেয়া সবই সংসদের বিষয়। কোর্ট যদি নিজেই রেস্টর করে দেন তাহলে সংসদের থাকার কোন মানে নেই।’ এ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, ‘আমার কথা হলো, আদালত যে কোন সংবিধানের যে কোন সংশোধনকে অবৈধ ঘোষণা করতে পারেন। কিন্তু সংবিধানের কোন ধারা পুনঃস্থাপন বা রেস্টর করা সংসদের কাজ, আমার বিবেচনায় এটাই বলে।’ সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক মনে করেন, সুপ্রীম জুডিসিয়াল কাউন্সিল আবার ফিরিয়ে আনতে নতুন করে আইন প্রণয়ন করতে হবে। তিনি বলেন, সুপ্রীম জুডিসিয়াল কাউন্সিল ব্যবস্থা চালু করেছিল সামরিক সরকার। যাদের আইন প্রণয়নের কোন এখতিয়ারই ছিল না। পরবর্তীতে নির্বাচিত সরকার সামরিক সরকারের সময়ে করা জুডিসিয়াল কাউন্সিল ব্যবস্থাই রেখে দেয়, যা অবৈধ ছিল। তিনি বলেন, পঞ্চম সংশোধনী মামলার রায়ে বলা হয়েছে সামরিক সরকারের সময়ে করা কোন আইন বা বিধি গ্রহণের কোন সুযোগ নেই। তিনি বলেন, ষোড়শ সংশোধনী মামলার রায়ে প্রধান বিচারপতি ৯০ ভাগ মন্তব্যই করেছেন মূল ইস্যুর বাইরে গিয়ে। দেশের রাজনীতি ও রাজনীতি বিদদের নিয়েও তার অনেক বক্তব্য রয়েছে এ রায়ে। মামলার ইস্যু না হলেও ১১৬ অনুচ্ছেদকেও তিনি সাংঘর্ষিক বলেছেন। তবে চারজন বিচারপতিই তার এ বক্তব্যে সমর্থন দেননি। প্রধান বিচারপতির এসব বক্তব্য তার একান্ত ব্যক্তিগত মত, রায়ের অংশ নয় বলেই মনে করেন আপীল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত এই বিচারপতি। এদিকে রিটকারী আইনজীবী এসব যুক্তিতে না গিয়ে ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা আবার সুপ্রীম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের হাতেই ফিরে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘এই রায় ঘোষণার মধ্য দিয়ে কাউন্সিল কার্যকর হয়েছে। ভুলে গেলে চলবে না সংসদ আইন প্রণয়ন করবে আর সংবিধানের রক্ষক হলো সুপ্রীমকোর্ট? সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বা যে কোন আইনই সুপ্রীমকোর্ট বাতিল করে দিতে পারে।’ রিটকারীদের আইনজীবীর সঙ্গে একমত প্রকাশ করেছেন বিশিষ্ট আইনজীবী ড. শাহদিন মালিক। তিনি বলেন, সুপ্রীমকোর্ট রায়ের মাধ্যমে সুপ্রীম জুডিসিয়াল কাউন্সিল ব্যবস্থা পুনর্বহাল করেছে, তাই এটা এখন থেকেই কার্যকর হবে। নতুন আইন প্রণয়নের প্রয়োজন নেই। সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘কোন আইন যদি সাংঘর্ষিক হয় বিচার বিভাগ তা বাতিল করতে পারে, এ কথা সংবিধানে বলা আছে। তবে যে আইন বাতিল তা কার্যকর করতে হলে আইন পরিষদকেই সেই পদক্ষেপ নিতে হবে। আইন প্রণয়নের ক্ষমতা বিচার বিভাগের নেই। তারা বলতে পারে সুপ্রীম জুডিসিয়াল কাউন্সিল হবে। কিন্তু কি হবে এবং কিভাবে হবে তা নির্ধারণ করবে আইন পরিষদ অর্থাৎ সংসদ। অটোমেটিক্যালি কোন আইন পুনর্বহাল হতে পারে না।’ ঢাবির এই অধ্যাপক মনে করেন, বিচার বিভাগ নির্দেশনা দিয়ে ইচ্ছে পোষণ করতে পারে। কিন্তু কি আইন কিভাবে হবে তা করবে আইন পরিষদ। তার মতে, এ পরিস্থিতিতে বিচারক অপসারণ নীতি কি হবে তা নিয়ে শূন্যতা তৈরি হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘এ শূন্যতা থাকুক তা কারও কাম্য না। আইন পরিষদ, বিচার বিভাগ দুটিই চুপ থাকলে সমাধান হবে না। সংসদ আবারও একটি আইন করলে আবারও তা চ্যালেঞ্জ হবে। এটি নেভার এন্ডিং চেইন হতে পারে। জাতি এটা দেখতে চায় না।’ রায়ে জুডিসিয়াল কাউন্সিল ও আচরণ বিধি সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ে সুপ্রীম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের বিধান পুনর্বহালের পাশাপাশি তা কার্যকর করতে উচ্চ আদালতের বিচারকদের জন্য ৩৯ দফার আচরণ বিধি চূড়ান্ত করে দিয়েছে আপীল বিভাগ। আপীল বিভাগ বলেছে, এই আচরণ বিধি মেনে না চললে তা বিচারকের অসদাচরণ বলে গণ্য হবে। অভিযোগ পেলে সুপ্রীম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে তদন্ত করে তাকে অপসারণের উদ্যোগ নেয়া যাবে। স্বাধীনতার পর প্রথম সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদে উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে থাকলেও ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর সময়ে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে ওই ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে ন্যস্ত হয়। পরে জিয়াউর রহমানের সামরিক শাসনের সময় ১৯৭৭ সালে সংবিধানে যুক্ত হয় সুপ্রীম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠনের বিধান। মঙ্গলবার প্রকাশিত ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচারকদের আচরণ বিধি বলে কিছু নেইÑ এমন একটা কথা বলা হলেও তা সত্য নয়। তিনি বলেন, ‘বিচারকদের আচরণ বিধি ছিল বলেই বিচারপতি সৈয়দ শাহিদুর রহমান সুপ্রীম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে অপসারিত হয়েছেন।’ পেশাগত অসদাচরণের কারণে হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারক সৈয়দ শাহিদুর রহমানকে অপসারণের সিদ্ধান্ত বহাল রেখে আপীল বিভাগ গত বছর যে রায় দিয়েছিল, তার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপিতে বিচারকদের জন্য ৩৯ দফার একটি আচরণ বিধি ঠিক করে দেয়া হয়। ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘কোন রকম বিভ্রান্তি বা সংশয় যাতে দেখা না যায়, সে জন্য আমরা সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের অধীনে আচরণ বিধিটি সংস্কার করে দিলাম।’ ৩৯ দফার কিছু উল্লেখযোগ্য অংশ রায়ে বলা হয়, সন্দেহ ও বিভ্রান্তি এড়াতে সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের অধীনে একটি আচরণ বিধি পুনরায় প্রণয়ন করা হচ্ছে। এতে বলা হয়, প্রধান বিচারপতি যদি কোন ব্যক্তি বা অন্য কোন সূত্রে কোন বিচারকের আচরণের বিষয়ে অভিযোগ গ্রহণ করেন তাহলে প্রধান বিচারপতি আপীল বিভাগের পরবর্তী দুই জ্যেষ্ঠ বিচারককে নিয়ে তদন্ত করবেন। কোন অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করতে প্রধান বিচারপতি বা অন্য কোন বিচারক অস্বীকৃতি জানালে কিংবা অভিযোগ যদি তাদের বিরুদ্ধেই উঠে থাকে তাহলে পরবর্তী জ্যেষ্ঠ বিচারক ওই কমিটির সদস্য হবেন। এরপর তদন্তে যদি প্রাথমিকভাবে দেখা যায় অভিযোগের প্রাথমিক ভিত্তি রয়েছে, তখন প্রধান বিচারপতি বিষয়টি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রেরণ করবেন। কোন বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হলে তা দ্রুত এবং ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে খতিয়ে দেখতে হবে। তবে বিচারক যদি ভিন্নরূপ কোন অনুরোধ না করেন, তাহলে বিচারকের বিরুদ্ধে তদন্ত করার বিষয়টি প্রাথমিক পর্যায়ে গোপন রাখা হবে। সব ধরনের শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত বিচার বিভাগীয় মানদ-ে সম্পন্ন করা হবে। একজন বিচারক উচ্চ মানের আচার প্রতিষ্ঠা, প্রয়োগ ও রক্ষণে অংশ নেবেন এবং ব্যক্তিগতভাবে এই মান মেনে চলবেন, যাতে বিচার বিভাগের ন্যায়পরায়ণতা এবং স্বাধীনতা বজায় থাকে। একজন বিচারককে সংবিধান ও আইন মানতে হবে। সব সময় এমন কাজ করবেন, যাতে বিচার বিভাগের ওপর মানুষের আস্থা বাড়ে। পরিবার, সামাজিক গ-ি বা অন্য কোন সম্পর্কের কাউকে রায় বা বিচারিক আচরণ প্রভাবিত করতে দেবেন না। রায়ে আরও বলা হয়, বিচারক দলীয় স্বার্থ, জনবিক্ষোভ বা সমালোচনার ভয়ে প্রভাবিত হবেন না। তিনি পরিবার, সামাজিক পারিপার্শ্বিকতা বা অন্য কোন সম্পর্ককে বিচারিক আচরণ বা রায়কে প্রভাবিত করতে দেবেন না। ব্যক্তি স্বার্থে তিনি বিচার বিভাগীয় দায়িত্ব বিকিয়ে দেবেন না। বিচারকের সঙ্গে অমুকের ভাল সম্পর্ক রয়েছে কারও সম্পর্কে এ রকম ধারণাও সৃষ্টি করতে দেবেন না। রায়ে বলা হয়, কোন মামলার বা বিচারাধীন বিষয়ের সারবত্তা নিয়ে বিচারক জনসমক্ষে মন্তব্য করবেন না। একজন বিচারক আদালতের কাজে বিলম্ব না করে দ্রুত শেষ করবেন। রায় দেয়ার পর স্বাক্ষর দিতে কোনভাবেই ছয় মাসের বেশি সময় নেয়া যাবে না। যদি যৌক্তিক কারণে কোন মামলায় বিচারকের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, তাহলে ওই বিচারক নিজেকে বিচারকাজ থেকে সরিয়ে নেবেন। কোন মামলায় বিচারক পূর্বে আইনজীবী হিসেবে ছিলেন, সেখান থেকেও তিনি নিজেকে প্রত্যাহার করে নেবেন। বিচারক অতীতে যার সঙ্গে প্র্যাকটিস করেছেন, তার কাছে থাকা সেই সময়কার মামলাগুলোর ক্ষেত্রেও এবং যেসব মামলায় তিনি সাক্ষী ছিলেন, সেখান থেকেও তিনি নিজেকে সরিয়ে নেবেন। রায়ে বলা হয়, যদি ব্যক্তিগতভাবে বা জিম্মাদার হিসেবে বিচারক, তার স্বামী-স্ত্রী বা সন্তানদের কোন অর্থনৈতিক স্বার্থ থাকে বা তারা মামলায় পক্ষ থাকে বা অন্য কোন স্বার্থ থাকে, যা মামলায় প্রভাব বিস্তার করতে পারে, তাহলে বিচারক সে মামলার শুনানি করবেন না। প্রত্যক্ষভাবে বা পরোক্ষভাবে বিচারক নিজে বা অন্য কারও সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যে জড়িত হবেন না। দেশে বা বিদেশে একজন বিচারক কখনই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হবেন না। রায়ে বলা হয়, বিচারকের পরিবারের কোন সদস্য যদি আইনজীবী হন, তাহলে ওই আইনজীবী কোনভাবে বিচারকের বাসায় পেশাগত কাজ পরিচালনা যেমন ব্যক্তিগত চেম্বার করতে পারবেন না। আরও বলা হয়, বিচারক বা তার পরিবারের কোন সদস্য কারও কাছ থেকে বিচারিক ক্ষমতার বিনিময়ে উপহার, অনুরোধ, ঋণ বা সুবিধা চাইতে পারবেন না। তিনি গণমাধ্যমে সাক্ষাতকার দেবেন না। প্রধান বিচারপতি চাইলে একজন বিচারক তার সম্পদ ও দায়ের হিসাব দাখিল করবেন।
×