ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিদায় নিলেন হোয়াইট হাউস কমিউনিকেশনস ডিরেক্টর

স্কারামুচি বরখাস্ত

প্রকাশিত: ০৫:২৬, ২ আগস্ট ২০১৭

স্কারামুচি বরখাস্ত

হোয়াইট হাউস কমিউনিকেশনস ডিরেক্টর পদ থেকে বরখাস্ত হয়েছেন এ্যান্টোনি স্কারামুচি। দায়িত্ব গ্রহণের ১০ দিনের মধ্যে তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। নিউইয়র্ক টাইমস ও সিএনএন। সাবেক আর্থিক ব্যবস্থাপক স্কারামুচি ১০ দিন আগে কাজে যোগ দেয়ার পর একজন সাংবাদিককে টেলিফোনে তার সহকর্মীদের সম্পর্কে অশ্লীল ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন। তার নিয়োগকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট জটিলতায় এর আগে হোয়াইট হাউসের চিফ অফ স্টাফ রায়ান্স প্রিবাস এবং মুখপাত্র শন স্পাইসার দুজনেই পদত্যাগ করেছেন। জন কেলি হোয়াইট হউসের চিফ অব স্টাফ পদে নিয়োগ পাওয়ার পর দেরি না করে স্কারামুচিকে সরিয়ে দিলেন। হোয়াইট হাউস থেকে দেয়া সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয় যে. ’এ্যান্টোনি স্কারামুচি যোগাযোগ পরিচালকের পদ থেকে সরে যাচ্ছেন’। স্কারামুচি বলেন, ‘চিফ অফ স্টাফ জন কেলিকে নিজের টিম গঠনের সুযোগ দেয়া উচিত। আমরা তার জন্য শুভকামনা জানাচ্ছি’। গত মাসের ২১ তারিখ স্কারামুচিকে কমিউনিকেশনস ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ দেয়ার জের ধরে পদত্যাগ করেছিলেন প্রিবাস ও শন স্পাইসার। কিন্তু স্কারামুচি নিজেও খুব বেশি দিন হোয়াইট হাউসে টিকতে পারলেন না। সিএনএন জানায়, স্কারামুচিকে সরিয়ে দেয়ার পেছনে মূল ভূমিকা পালন করেন কেলি। তিনি মনে করেন, কমিউনিকেশনস ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করার মতো যথেষ্ট শৃঙ্খলাপরায়ণ নন স্কারামুচি এবং তিনি বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন। স্কারামুচি ছিল নিউইয়র্কের হেজ ফান্ড ম্যানেজার ও অর্থ লগ্নিকারী। ট্রাম্পের ঘোর সমর্থক হওয়ায় রক্ষণশীল মহলে তার যথেষ্ট জনপ্রিয়তা আছে। সমালোচকদের মতে, গণমাধ্যমবিষয়ক দফতর চালানোর কোন অভিজ্ঞতা স্কারামুচির ছিল না। তার ক্যারিয়ার বর্ণাঢ্য হলেও একজন বিতর্কিত মানুষ হিসেবে স্কারামুচির পরিচিতি রয়েছে। তিনি প্রিবাসকে ‘ক্ষ্যাপাটে ও উন্মাদ’ বলে মন্তব্য করার পর প্রিবাস দ্রুতই পদত্যাগ করেন। স্কারামুচি মাত্র ১০ দিন হোয়াইট হাউস কমিউনিকেশনস ডিরেক্টর পদে ছিলেন। কিন্তু এ স্বল্প সময়ের মধ্যেই তিনি শালীনতা বিবর্জিত ও অসঙ্গত কথা বলে মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি সারাহ হাকাবি স্যান্ডার্সের চুল ও মেকআপের সমালোচনাও তিনি করেন। সোমবার সন্ধ্যায় সারাহ স্কারামুচির পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন না তাকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে সে বিষয়টি অবশ্য নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সারাহ শুধু এতটুকু বলেছেন যে, কেলির সঙ্গে এ বিষয়ে একমত হওয়ার পর তিনি পদ ছেড়ে দিতে রাজি হয়েছেন। একের পর এক পদতাগের ঘটনায় ট্রাম্প প্রশাসনে অচলাবস্থা তৈরি হচ্ছে, বিশ্লেষকদের এ ধরনের মন্তব্যের সঙ্গে একমত নন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্ইুটারে তিনি লিখেছেন, ‘দেশ এখন আগের যে কোন সময়ের চেয়ে ভাল অবস্থায় আছে। হোয়াইট হাউসে কোন অরাজকতা নেই।’ জন কেলি খুঁতখুতে স্বভাবের জন্য পরিচিত। ত্রুটিপূর্ণ কোন কিছু তিনি পছন্দ করেন না। হোয়াইট হাউসের সব স্টাফ তার আওতাভুক্ত। জারেড কুশনার ও ইভানকা ট্রাম্প থেকে সবাইকে তার কাছে রিপোর্ট করতে হয়। অনেকে বলছেন, স্কারামুচিকে সরিয়ে দেয়ার মাধ্যমে তিনি নিজের কর্তৃত্ব খাটানো শুরু করলেন। কেলি ইতোপূর্বে ট্রাম্পের হোমল্যান্ড সিকিউরিটির প্রধান ছিলেন। তিনি এমন এক সময় হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফের দায়িত্ব নেন যখন ঘরে বাইরে নানা ইস্যুতে ট্রাম্প চাপের মুখে রয়েছেন।
×