ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

একনেকে ৩ হাজার ১৭২ কোটি টাকার আট প্রকল্প অনুমোদন

প্রকাশিত: ০৫:২৫, ২ আগস্ট ২০১৭

একনেকে ৩ হাজার ১৭২ কোটি টাকার আট প্রকল্প অনুমোদন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শেওলা, ভোমরা, রামগড় এবং বেনাপোল বন্দরের অবকঠামোগত উন্নয়নসহ মোট ৮ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনেতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলানগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এসব প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩ হাজার ১৭২ কোটি টাকা। সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। মন্ত্রী জানান, মোট প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে সরকারী তহবিল থেকে ২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে পাওয়া যাবে ৫৯২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী একনেক সভায় বলেছেন, ভারত-বাংলাদেশ উভয় দেশের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে এমন সব নদী যৌথভাবে খননের বিষয়ে দু’দেশের সরকারের মধ্যে কথাবার্তা চলছে। এতে যে খরচ হবে, তার ৭০ শতাংশ ভারত সরকার এবং ৩০ শতাংশ অর্থব্যয় করবে বাংলাদেশ এমন আলোচনা হয়েছে। তবে এখনও এটি চূড়ান্ত হয়নি। ভারত উজানের দেশ। যৌথ নদীগুলো ভারত থেকে এদেশে পলি বহন করে নিয়ে আসার কারণে খরচের বড় অংশ ভারতকে বহনের প্রস্তাব করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করেছিলেন অথচ এখনও অসম্পন্ন রয়ে গেছে, প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় সেসব প্রকল্প আবারও গ্রহণ করে-তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হবে। মন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক সীমারেখায় অবস্থিত শেওলা, ভোমরা, রামগড় এবং বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি-রফতানির পাশাপাশি নিয়মিত পর্যটক চলাচল করে থাকে। কিন্তু বন্দরগুলো আন্তর্জাতিক বাণিজ্য করার মতো অবস্থায় নেই। এ কারণে এই চার স্থলবন্দরের সক্ষমতা ও নিরাপত্তা বাড়াতে অবকাঠামো উন্নয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেক্টিভিটি প্রজেক্ট, শেওলা, ভোমরা, রামগড় স্থলবন্দর উন্নয়ন এবং বেনাপোল স্থলবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এসব স্থলবন্দরের বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হবে। এতে ৬৯৩ কোটি টাকা ব্যয় হবে, যার মধ্যে বিশ্বব্যাংক প্রকল্প সাহায্য হিসেবে ৫৯২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয় করবে। বাকি ১০০ কোটি ৪৪ লাখ টাকা পাওয়া যাবে সরকারী তহবিল থেকে। জুলাই, ২০১৭ থেকে জুন ২০২১ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন (জিসিসি) অন্তর্ভুক্ত এলাকার উন্নয়নসংক্রান্ত একটি প্রকল্প প্রস্তাব সভা থেকে প্রত্যাহার করা হয়। নতুন আরও কয়েকটি এলাকা প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়ায় উদ্যোগী স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে প্রকল্পটি প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। একনেক সভায় অনুমোদন পাওয়া অন্য প্রকল্পসমূহ হলো- চাঁদপুর-মাওয়া-গোয়ালন্দ হয়ে পাকশী পর্যন্ত নৌ-রুটের নাব্য উন্নয়ন প্রকল্প, এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৫৬ কোটি টাকা। নবীনগর-শিবপুর-রাধিকা আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণ ও উন্নয়ন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৪৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা। জামালপুর-ধানুয়া কামালপুর-কদমতলা (রৌমারী) জেলা মহাসড়ক প্রশস্থকরণ ও মজবুতিকরণ প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। রাজবাড়ী শহর রক্ষা প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৪১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। এছাড়া টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর ও ভুঞাপুর উপজেলাধীন যমুনা নদীর বামতীরবর্তী কাউলীবাড়ী ব্রিজ হতে শাখারিয়া পর্যন্ত তীর সংরক্ষণ প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ২০০ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।
×