ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাঙালীর রসনা বিলাসে

প্রকাশিত: ০৫:২০, ২ আগস্ট ২০১৭

বাঙালীর রসনা বিলাসে

ফলে ফসলে এবং মাছে ভরে উঠুক বাংলার মাঠঘাট, বন, বাগান প্রান্তর, নদীনালা, খালবলি আর আবাদি জম।ি এমন কামনা বাঙালীর নরিন্তর সইে আদকিাল থকেইে। বাঙালীর জীবনে ফলরে মাস আছে মধুমাস নাম।ে কতশত ফলফলাদ,ি তার আবার নানা প্রজাতি জন্মে এই বাংলায়। ফলরে রসাস্বাদন গ্রহণ করা সবার পক্ষে সম্ভব হয় না। আঙ্গুর ফল টকরে মতো প্রবাদরে ধারায় অনকে ফলই থকেে যায় অধরা। দরদাম ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না বলে অনকে ফল থকেে যায় ধরাছােঁয়ার বাইর।ে তবু ফলরে জন্য আকুল থাকে বাঙালী। সংবছর ফলরে আশায় বসে থাক।ে ঘরবাড়রি আঙ্গনিায় ফল গাছ রোপণ করা বাঙালীর প্রাচীন ধারারই অঙ্গ। তাই হরকে রকম ফলরে বৃক্ষ গ্রামীণ জীবনে দৃশ্যমান। সব ফল সব মাটতিে ফলে না এমন ধারণা প্রবহমান। কন্তিু আদতে তা সবক্ষত্রেে যে নয় তা দখো যায় এ বঙ্গরে নানান অঞ্চল।ে কছিু ফলরে খ্যাতি এলাকাভত্তিকি। যমেন রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জরে আম, সলিটেরে কমলা, লচিু, নরসংিদীর কলা, মধুপুর-রাঙ্গামাটরি আনারস, গাজীপুর-সাভাররে কাঁঠাল, দনিাজপুররে লচিু, বরশিালরে আমড়া, নরসংিদীর লটকন ইত্যাদরি নাম-ডাক বশে পুরনো। কন্তিু সব ফলই র্সবত্র ফলানো যায় কনিা সে নয়িে গবষেণার কমতি নইে। মৌসুমি ফল সারাবছর ফলানো যায় এমন গবষেণায়ও ক্রমশ সাফল্য আসছ।ে মাটরি গুণাগুণরে ওপর নর্ভির করে ফলবৃক্ষরে বড়েে ওঠা এমন ধারণাই অনকে দনিরে। কন্তিু কৃষি গবষেণায় নয়িোজতি বজ্ঞিানী ও গবষেকরা এই ধারণায় বপিরীত অবস্থান তরৈি করতে পরেছেনে নরিন্তর সাধনায়। যমেন দক্ষণিাঞ্চলরে বৃহত্তর বরশিালে আমরে চাষ হয় না। পরবিশে উপযোগী নয়-এমন নানা অপপ্রচারে আম চাষে বরশিাল অঞ্চল বরাবরই ছলি পছিয়ি।ে কন্তিু এখন দৃশ্যপট পাল্টে যতেে শুরু করছে।ে বজ্ঞৈানকি র্কমর্কতাদরে নরিলস গবষেণা আর চাষীদরে উৎসাহে লোনা পানরি এই অঞ্চলে ক্রমে ছড়য়িে পড়ছেে আমরে চাষ। অন্যান্য ফসলরে পাশাপাশি চাষীরা ঝুঁকে পড়ছেে আম চাষ।ে উত্তরাঞ্চলরে আম দক্ষণিাঞ্চলে ফলয়িে চাষীরা দখোচ্ছনে চমক। আর এ ক্ষত্রেে র্শীষে আম্রপালরি মতো আমরে জাত। বষিমুক্ত আমরে ফলনে পটুয়াখালী, বরশিাল, ঝালকাঠ,ি পরিোজপুর, ভোলা ক্রমশ সমৃদ্ধ হয়ে উঠতে যাচ্ছ।ে নানা প্রজাতরি আমরে চাষ চলছ।ে আগামীতে রাজশাহীর পাশাপাশি বরশিালরে আমও দশেবাসীর রসাস্বাদনরে তৃপ্তি হয়ে দাঁড়াবইে। বারি প্রজাতরি আমরে চাষ মাঠ র্পযায়ে ক্রমে ছড়য়িে পড়ছ।ে বরশিালবাসীকে আর অন্য স্থানরে আমরে জন্য অপক্ষো করতে হবে না। আর ক’বছররে মধ্যে হয়ত বরশিাল অঞ্চল আমরে ফলনে র্শীষে পৗেঁছে যাব।ে বৃক্ষ তোমার নাম ক,ি ফলে পরচিয়-এর দনি সমাগত বরশিাল অঞ্চল।ে এভাবইে এক অঞ্চলরে ফল অন্য অঞ্চলওে চাষাবাদরে সুদনি আসবÑে এমনটাই চান ফল গবষেকরা। তাদরে সে চাওয়া পূরণ হোক এটা সবারই চাওয়া। ফলাহাররে দনি থাক বছরজুড়।ে ফলাহারী না হলওে মূলত মাছ-েভাতে বাঙালী। মাছরে সঙ্কট যতই থাক একটুকরো মাছ খাবার পাতে পলেে র্বতে যায় বাঙালী। তার জীবনে তো প্রবাদই রয়ছেÑে ‘মৎস্য মারবি, খাইব সুখ’ে। কন্তিু মাছরে আকাল এমনই য,ে মাছরে স্বাদ গ্রহণ অনকে বাঙালীর জন্য র্দুলভ হয়ে উঠছেলি। তাই মৎস্য অন্তঃপ্রাণ বাঙালী মাছরে ঘাটতি পূরণে চাষাবাদে নমিগ্ন হয়ছে।ে ধানী জমতিে ঘরে বানয়িে এখন মাছ চাষ হচ্ছে সারাদশেইে। খাল, বলি, নদীনালা, জলাশয় শুকয়িে যাওয়া কংিবা ভরাট করে স্থাপনা নর্মিাণরে কারণে মাছরে আকাল দখো দয়ে। অনকে প্রজাতরি মাছ নশ্চিহ্নি হয়ে গছে।ে নদীমাতৃক বাংলাদশেে পুকুর ভরা মাছ গল্প নয়। বাস্তবইে ছলি। সে সব প্রজাতরি মাছকে আবার ফরিয়িে আনার জন্য গবষেণা চলছ।ে ধান চাষরে চয়েওে মাছ চাষ বশে লাভজনক হওয়ার কারণে গ্রামবাংলায় মাছরে আর আকাল নইে। শহরওে এখন প্রচুর মাছ পাওয়া যায়। মাছ নয়িে ফরেওিয়ালার হাঁকডাক শোনা যায় অলগিলতিওে। মাছরে সুদনি ফরিে আসায় বাঙালীর পাতে নানান জাতরে মাছ ঠাঁই পাচ্ছ।ে সরকারও এ খাতে ঋণ প্রদান করছ।ে চাষীদরে উৎসাহতি করার জন্য নানান পদক্ষপেও নয়িছে।ে সুষ্ঠুভাবে চাষাবাদ হলে বভিন্নি প্রজাতরি মাছও একদনি রফতানরি তালকিায় উঠে যাবে ইলশিরে মতো। আমষি ও প্রোটনিরে চাহদিা মটিয়িে মাছ বাঙালীর রসাস্বাদন শুধু নয়, শারীরকি গড়ন ও রোগ নরিোগে বরিাট সহায়ক হয়ে উঠব।ে মৎস্য দয়িে আহার শষেে বাঙালীর জীবনে ফলাহার হয়ে উঠুক নত্যিদনিরে খাদ্য এমন চায় মানুষ।
×