ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিলুপ্ত ছিটমহল বর্ষ পালন

দাসিয়ারছড়ায় জঙ্গী প্রতিরোধে শপথ

প্রকাশিত: ০৫:০৫, ২ আগস্ট ২০১৭

দাসিয়ারছড়ায় জঙ্গী প্রতিরোধে শপথ

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ ফুলবাড়ীর বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়ার অধিবাসীরা ৬৮ বছরের অবরুদ্ধ জীবনের মুক্তির দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি পালন করেছে। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল ১০টা ১ মিনিটে দাসিয়ারছড়ার কামালপুর দেবিরপাঠ মসজিদ মাঠে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ইউএনও দেবেন্দ্রনাথ ঊরাঁও, ছিটমহল আন্দোলনের নেতা মইনুল হক, গোলাম মোস্তফা, আলতাফ হোসেনসহ শতশত নারী-পুরুষ। জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে মাদক, সস্ত্রাস, জঙ্গী ও মৌলবাদ বিরোধী শপথ পাঠ করান ছিটমহল আন্দোলনের নেতা মোঃ মইনুল হক। পরে দাসিয়ারছড়ার শতশত নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন বয়সের অধিবাসী এক বিশাল আনন্দ র‌্যালি বিলুপ্ত দাসিয়ারছড়া ছিটমহলের প্রতিটি পাড়া মহল্লা ও প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কামালপুর দেবিরপাঠ এলাকায় এসে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন ছিটমহল আন্দোলনের নেতা, মইনুল হক, গোলাম মোস্তফা খান, আলতাফ হোসেন, জুলহাজ মিয়া, মোজাফ্ফর হোসেন, প্রতাপ চন্দ্র বর্মন প্রমুখ। এর পূর্বে দাসিয়ারছড়ার কামালপুরে রাত ১২টা ১ মিনিটে বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়ার অধিবাসী অবরুদ্ধ ৬৮ বছর মুক্তির ২ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেবিরপাঠ মসজিদ মাঠে ৬৮টি মোমবাতি জ্বালিয়ে দিবসটির সূচনা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউএনও দেবেন্দ্রনাথ ঊরাঁও, ছিটমহল আন্দোলনের নেতা মোঃ মইনুল হক, সাধারণ গোলাম মোস্তফা খান, আলতাফ হোসেন, ফরিদা খাতুন, জাহেদা খাতুন, ফরিদা খাতুন, রাশেদা খাতুন, আয়শা আক্তার, শরিফা, পার্বতী রানী, সুমিসহ শতশত নারী-পুরুষ। পঞ্চগড়ে আনন্দ র‌্যালি স্টাফ রিপোর্টার, পঞ্চগড় থেকে জানান, ছিটমহল বিনিময়ের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে পঞ্চগড়ের বিলুপ্ত পুটিমারি ছিটমহলে আনন্দ র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় পঞ্চগড় জেলার বিলুপ্ত ৩৬টি ছিটমহলের নাগরিকরা এই আনন্দ র‌্যালিতে অংশ নেয়। বিলুপ্ত ছিটমহলবাসী এই আনন্দ র‌্যালির আয়োজন করে। আনন্দ র‌্যালিটি পুটিমারি ছিটমহলের শহীদ মিনার থেকে বের হয়ে এলাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। বিলুপ্ত ছিটের নাগরিকরা শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসটির কার্যক্রম শুরু করে। র‌্যালি শেষে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় বক্তব্য রাখেন ছিটমহল আন্দোলনের নেতা মফিজার রহমান, সিরাজুল ইসলাম, তছলিম উদ্দিন। এর আগে রাত ১২ টা এক মিনিটে বিভিন্ন বিলুপ্ত ছিটমহলের শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মোমবাতি প্রজা¡লনসহ নানা কর্মসূচীর আয়োজন করে। নীলফামারীতে মোমবাতি প্রজা¡লন স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী থেকে জানান, প্রত্যাশা আর প্রাপ্তি নিয়ে দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি পালন করেছে নীলফামারীর বিলুপ্ত চারটি ছিটমহলের মানুষ। মঙ্গলবার সকাল থেকে নানা আয়োজনে দিনটি পালনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন বিলুপ্ত ছিটমহলের মানুষ। আয়োজনের মধ্যে ছিল আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, র‌্যালি, আলোচনা সভা, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দ্বিতীয় বর্ষপূর্তির প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১ মিনিটে ঘরে ঘরে দুইটি করে মোমবাতি প্রজ্বলিত করা হয়েছিল। ডিমলা উপজেলার চার বিলুপ্ত ছিটমহলবাসী একত্রিত হয়ে পশ্চিম খড়িবাড়ি শহীদ স্মৃতি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে। এরপর বেলা ১১টার দিকে সেখান থেকে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা এলাকার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় সকল বিলুপ্ত ছিটবাসীর মুখে সেøাগান ছিল শেখ হাসিনা মা জননী, আমরা তার মুক্তিসেনার দল।
×