ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাজার মূলধনের ষাট শতাংশ চার খাতের দখলে

প্রকাশিত: ০৪:৪৫, ২ আগস্ট ২০১৭

বাজার মূলধনের ষাট শতাংশ চার খাতের দখলে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে বাজার মূলধনের ষাট শতাংশের বেশি দখল করে আছে চার খাত। এই খাতগুলো হলোÑ ব্যাংক, ওষুধ ও রসায়ন, জ্বালানি ও শক্তি এবং টেলিকমিউনিকেশন। এসব খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর দখলে করে আছে বাজার মূলধনের ৬০.২৭ শতাংশ। অন্যদিকে বাজার মূলধনে তালিকাভুক্ত ৫টি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ রয়েছে ৩২ শতাংশের বেশি। ডিএসইর এক প্রকাশনায় এসব তথ্য পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত তথ্যমতে, বর্তমানে বাজার মূলধনে সবচেয়ে বেশি অবদান রয়েছে ব্যাংকিং খাতের। সম্প্রতি এ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারের দর বৃদ্ধিতে বাজার মূলধনে এ খাতের অবদান বেড়ে গেছে। বাজার মূলধনের ১৭.৩১ শতাংশ রয়েছে এ খাতের অংশগ্রহণ। পরের অবস্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতের অবদান ১৫.৪৯। এছাড়া বাজার মূলধনে ১৪.৯৭ শতাংশ অবদান রয়েছে টেলিকমিউনিকেশন খাতের। অন্যদিকে বাজার মূলধনে ১২.৫০ অবদান রেখে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে জ্বালানি ও শক্তি খাত। এদিকে মোট বাজার মূলধনের প্রায় ৩২ শতাংশ অবদান রয়েছে তালিকাভুক্ত পাঁচ কোম্পানির। কোম্পানিগুলো হচ্ছেÑ গ্রামীণফোন, স্কয়ার ফার্মা, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, ইনভেস্টমেন্ট করর্পোরেশন অব বাংলাদেশ এবং লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে গ্রামীণফোনের বাজার মূলধন রয়েছে ১৪.৩৬ শতাংশ। পরের অবস্থানে থাকা স্কয়ার ফার্মার দখলে রয়েছে ৬.১৪ শতাংশ। তৃতীয় অবস্থানে থাকা ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর অংশগ্রহণ রয়েছে ৫.২৪ শতাংশ। এছাড়া বাজার মূলধনের ৩.৪১ শতাংশ আইসিবি ও ২.২৬ শতাংশ অবদান রয়েছে লাফার্স সুরমা সিমেন্টের। বিষয়টি নিয়ে আলাপ করলে বাজার সংশ্লিষ্টরা বলেন, এসব খাতের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থা ভাল। সেই জন্য এসব শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেশি পরিলক্ষিত হয়। সে কারণে শেয়ারের দর বাড়ে। আর দর বাড়লে বাজার মূলধনে এর অংশগ্রহণও বেড়ে যায়। এছাড়া এসব প্রতিষ্ঠানে শেয়ার সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। সে কারণে এসব খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর বাজার মূলধনে অবদান রাখতে সুবিধা হয়। সংশ্লিষ্টদের মতে, বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ঘুরে দাঁড়িয়েছে ব্যাংকিং খাত। এর মূল কারণ ২০১০ সালের পর ব্যাংকের শেয়ারের দর অস্বাভাবিকহারে কমে যায়। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দর চলে আসে অভিহিত দরের নিচে। ফলে ব্যাংকের বাজার মূলধন উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পায়।
×