ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিপিএল ফুটবল

শুভর জোড়া গোলে রহমতগঞ্জের জয়

প্রকাশিত: ০৫:০১, ১ আগস্ট ২০১৭

শুভর জোড়া গোলে রহমতগঞ্জের জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সোমবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবলে দিনের একমাত্র খেলায় রহমতগঞ্জ ৪-২ গোলে আরামবাগকে হারায়। খেলার প্রথমার্ধে স্কোরলাইন ছিল ১-১। জয়ী দলের শুভ জোড়া গোল করেন। এছাড়া একটি গোলে করেন সহায়তা। এই হারে তিন লাখ টাকা বোনাস পাওয়া থেকে বঞ্চিত হলো আরামবাগ। আগের দিন আরামবাগের সভাপতি একেএম মমিনুল হক সাঈদ ঘোষণা দিয়েছিলেন রহমতগঞ্জকে হারাতে পারলে তিনি পুরো দলকে মোট তিন লাখ টাকা বোনাস দেবেন। হেরে গিয়ে তা আর পেল না ‘রাইজিং স্ট্রেন্থ’ আরামবাগ। প্রথমার্ধে দুই দলই খেলে সমানে সমান। উভয় দলই শুরুটা করে সতর্ক ভঙ্গিতে। তবে যতই সময় গড়িয়েছে, ততই আক্রণের তোড় বাড়িয়ে দেয় দু’ দল। যদিও দু’দলের শুরুর ফর্মেশন ছিল ভিন্ন। আরামবাগ খেলে ৩-৪-৩ এবং রহমতগঞ্জ খেলে ৪-৩-৩ পদ্ধতিতে। ১৪ মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় রহমতগঞ্জ। সুন্দর ও পরিকল্পিত আক্রমণের সফল পরিসমাপ্তি ঘটায় পুরনো ঢাকার ক্লাবটি। আরামবাগের রক্ষণভাগকে বোকা বানিয়ে ও নাকানি-চুবানি খাইয়ে দারুণ গোল আদায় করে নেয় তারা। রহমতগঞ্জের গোলের নায়ক ফরোয়ার্ড রাশেদুল ইসলাম শুভ। আর পাশর্^ নায়ক মিডফিল্ডার মোহাম্মদ সোহেল। এই দুজন চমৎকার বোঝাপড়ার মাধ্যমে ওয়ান টু ওয়ান খেলে বল নিয়ে আরামবাগের বক্সে ঢুকে পড়েন। সোহেলের পাসে শুভ বক্সে ঢুকে ক্ষিপ্রগতিতে যে শটটি নেন, তা ঝাঁপিয়ে পড়েও নাগাল পাননি আরামবাগের মাহফুজ হাসান প্রীতম। বল জড়িয়ে যায় জালে (১-০)। উল্লাসে ফেটে পড়ে কামাল বাবুর শিষ্যরা। তবে বেশিক্ষণ এই গোলের অগ্রগামিতা ও আনন্দ ধরে রাখতে পারেনি রহমতগঞ্জ। পাঁচ মিনিট পরেই তাদের আনন্দ পরিণত হয় বিষাদে। গোল করে সমতায় ফেরে আরামবাগ। কর্নার পায় তারা। কর্নার করেন মিডফিল্ডার রবিউল হাসান। তার নেয়া কর্নার থেকে লাফিয়ে উঠে চমৎকার হেডে গোল করে দলকে আনন্দে ভাসান কয়েক বছর পর আবারও বাংলাদেশে লীগ খেলতে আসা নাইজিরিয়ান ফরোয়ার্ড আলামলি বুকোলা ওলালেকা (১-১)। ৪৯ মিনিটে আরামবাগের ডি-বক্সের মুখে ফ্রি কিক পায় রহমতগঞ্জ। নাইজিরিয়ান ডিফেন্ডার মানডে ওসাজি অসাধারণ দূরপাল্লার শট নিয়ে লক্ষ্যভেদ করলে আবারও এগিয়ে যায় রহমতগঞ্জ (২-১)। ৫৫ মিনিটে আবারও সমতায় ফেরে আরামবাগ। তাদের ক্যামেরুন মিডফিল্ডার জঁ জুলস ইকাঙ্গা বল নিয়ে প্রতিপক্ষের পেনাল্টি জোনে ঢুকে পড়েন গোলরক্ষককে কাটিয়ে। যখন ফাঁকা পোস্টে বল ঠেলে দেবেন, তখন পেছন থেকে এসে মিডফিল্ডার শাহ্রান হাওলাদার পেছন থেকে এসে ইকাঙ্গাকে বাধা দেন। শুয়ে পড়ে তিনি বল আটকে দেন। কিন্তু অসাবধানে হ্যান্ডবল করে বসেন। তারপরও ইকাঙ্গা বল কেড়ে নিয়ে আবারও শট নেয়ার মুহূর্তে এবার তাকে ফাউল করে বসেন গোলরক্ষক মোহাম্মদ রাজিব। রেফারি জিএম চৌধুরী নয়ন পেনাল্টি বাঁশি বাজান হ্যান্ডবলের কারণে। সেই সঙ্গে রাজিবকে ফাউলের কারণে দেখান হলুদ কার্ড। ঠা-া মাথায় মাপা শটে গোল করেন ইকাঙ্গা (২-২)। ৭৭ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে রহমতগঞ্জের শুভ যে উড়ন্ত ক্রস ফেলেন আরামবাগের বক্সে, তা থেকে লাফিয়ে ওঠা এক ‘বুদ্ধিদীপ্ত’ হেডে গোলরক্ষককে পরাস্ত করে আবারও রহমতগঞ্জকে এগিয়ে দেন গিনির ফরোয়ার্ড ইসমাইল বাঙ্গুরা (৩-২)। ৮৩ মিনিটে বা প্রান্ত দিয়ে রহমতগঞ্জের শুভ বল নিয়ে বক্সে ঢুকে আগুয়ান গোলরক্ষককে কোন সুযোগ না দিয়েই ডান পায়ের তীব্র গড়ানো শটে গোল করে অবারও এগিয়ে দেন নিজ দলকে, করেন ম্যাচে নিজের ব্যক্তিগত দ্বিতীয় গোল (৪-২)
×