ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাগমারায় প্রতিপক্ষের হামলায় গ্রামছাড়া ১০ পরিবার

প্রকাশিত: ০৪:৩১, ১ আগস্ট ২০১৭

বাগমারায় প্রতিপক্ষের হামলায় গ্রামছাড়া  ১০ পরিবার

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ প্রতিপক্ষের প্রতিহিংসায় ধারাবাহিক হামলা, ভাংচুর ও ক্ষেত-খামার ধ্বংসের ঘটনায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার গণিপুর ইউনিয়নের চক মহব্বতপুর এলাকার ১০ পরিবার। গত এক সপ্তাহ ধরে এসব তা-বের জের ধরে সর্বশেষ রবিবার রাতে চারটি পান বরজ ধ্বংস করেছে প্রতিপক্ষ। প্রতিপক্ষের ধারাবাহিক হামলা-মামলার মুখে বাড়ি ছাড়াও ওই পরিবারগুলো। যাদের অনেকেই ভয়ে আশ্রয় নিয়েছেন রাজশাহী শহরসহ বিভিন্ন স্থানে। উপজেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সভাপতি এসএম এনামুলের মদদে এসব তা-ব চলছে বলে অভিযোগ করেছেন নির্যাতিত পরিবারগুলো। অত্যাচার ও নিপীড়নের মুখে বাধ্য হয়ে সোমবার গ্রামবাসীরা রাজশাহী শহরে এসে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছেন। এসব ঘটনায় থানায় মামলা হলেও পুলিশ প্রভাবশালীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে বলে জানান তারা। গত এক সপ্তাহ ধরে নিরাপত্তার নামে থানা পুলিশ ওই গ্রামের আয়েন উদ্দিনের বাসায় অবস্থান নিলেও তাদের সামনেই প্রতিপক্ষ দিনের পর দিন হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটাচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার গভীর রাতে রাতে চকমহব্বতপুরের কবিরাজ পাড়ার আজাবুল ইসলাম, সাহাবুল ইসলাম, জার্জিস আলম, মুস্তাকিন ও ইউসুফ আলীর অন্তত তিনবিঘার পানের বরজ কেটে ধ্বংস করে দিয়েছে প্রতিপক্ষ। যাতে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এর আগে গত এক সপ্তাহে আরো পাঁচ পানের বরজ, দুই হাজার বাচ্চাসহ একটি মুরগির খামার ধ্বংস, ১০টি বাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালানো হয়। ওই বাড়িতে থাকা একজনের সকল শিক্ষা সনদও পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এ অবস্থায় তারা গ্রামে টিকতে না পেরে বাধ্য হয়ে সবকিছু ছেড়ে বিভিন্নস্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। সোমবার দুপুরে রাজশাহীতে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে দেখা করে ধ্বংসযজ্ঞের বর্ণনা দেন ক্ষতিগ্রস্তরা। যাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আজিজুল হক, মোস্তাকিম, আয়েন উদ্দিন, আনোয়ার, ইউসুফ, ইব্রাহীম, জার্জিস হোসেন, শাহাবুল, আজাবুল ও দুলাল। আয়েন উদ্দিন বলেন, বাড়ির সীমানা প্রচীর দেয়া নিয়ে প্রতিবেশী হাবিবুর রহমানের সঙ্গে তার বিরোধ বাধে। ২৩ জুলাই সকাল থেকে সীমানা প্রচীর নির্মাণের কাজ চলছিল। বেলা ১১টার দিকে বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ নেতা এসএম এনামুল হকের নেতৃত্বে তার ক্যাডার বাহিনী গিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। এসময় কয়েকজনকে তারা কুপিয়ে জখম করে এবং বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। এর পর থেকে তাদের উপর নির্যাতন চলছে। ঘটনার পরের দিন নিরাপত্তার জন্য তাদের বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন করা হলেও থেমে থাকেনি তাদের তা-ব। পুলিশের সামনে তার আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়।
×