ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কখনও শারীরিক সম্পর্কে গড়ায়নি ॥ এডুইনারা মেয়ে পামেলার বইয়ে তথ্য

নেহরুর সঙ্গে মায়ের সম্পর্ক ছিল ভালবাসা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার

প্রকাশিত: ০৪:০৮, ১ আগস্ট ২০১৭

নেহরুর সঙ্গে মায়ের সম্পর্ক ছিল ভালবাসা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার

ভারতের সর্বশেষ ভাইসরয় লর্ড মাউন্টব্যাটেনের স্ত্রী এডুইনা মাউন্টব্যাটেন ও জওহরলাল নেহরুর সম্পর্ক নিয়ে লেডি মাউন্টব্যাটেনের মেয়ে পামেলা হিকস দাবি করেছেন, তাদের মধ্যে ভালবাসা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধা ছিল। তবে তা কখনও শারীরিক সম্পর্কে গড়ায়নি। নিজের লেখা ‘ডটার অব এ্যাম্পায়ার : লাইফ এ্যাজ আ মাউন্টব্যাটেন’ গ্রন্থে এসব কথা তুলে ধরেন পামেলা হিকস। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া ও এনডিটিভি অনলাইনের। শেষ ভাইসরয় হিসেবে লর্ড লুই মাউন্টব্যাটেন যখন ভারতে আসেন তখন পামেলার বয়স মাত্র ১৭ বছর। তিনি দাবি করেন, সে সময়ে আমি মায়ের সঙ্গে নেহরুর গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠতে দেখেছি। প-িতজির মধ্যে মা ব্যতিক্রমী সাহচর্য খুঁজে পেতেন। জীবন বোধের যে স্তরে মা পৌঁছাতে চেয়েছিলেন তা উনি নেহরুর মধ্যে পেয়েছিলেন। পরবর্তীতে নেহরুর লেখা চিঠি পড়ে পামেলা হিকস বুঝেছিলেন, এডুইনার জন্য নেহরুর অন্তরে কী স্থান রয়েছে। কিন্তু একই সঙ্গে পামেলার মনে প্রশ্ন জেগেছিল, এই সম্পর্কে ‘যৌনতার’ আদৌ কোন স্থান ছিল কি না। নেহরুর চিঠি পড়ার পরে তার কাছে সবকিছু স্পষ্ট হয়ে যায়। পামেলা লিখেছিলেন, শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার মতো কোন সময়, মা বা প-িতজি কারোই ছিল না। ওরা খুব কম সময়ই একা থাকতেন। প্রায় সব সময়েই ওদের চারপাশে বিভিন্ন কর্মী, পুলিশ ও অসংখ্য ব্যক্তি থাকত। পামেলার লেখা বইটি ব্রিটেনে প্রকাশিত হয় ২০১২ সালে। বইয়ে পামেলার দাবি, ভারত ছেড়ে যাওয়ার আগে নিজের পান্নার আংটি নেহরুকে দিতে চেয়েছিলেন এডুইনা। বইয়ে রয়েছে, মা জানতেন, নেহরু সেটা নেবেন না। তাই নেহরু-কন্যা ইন্দিরাকে আংটিটা দেন এডুইনা। আংটি দিয়ে ইন্দিরাকে বলেছিলেন, যদি উনি (নেহরু) কখনও আর্থিক সঙ্কটে পড়েন তাহলে ইন্দিরা যেন সেটা বিক্রি করে দেন। কারণ নেহরু যেভাবে লোকজনকে অর্থ বিলিয়ে দিতেন সে বিষয়ে সম্যক ধারণা ছিল লেডি মাউন্টব্যাটেনের। মাউন্টব্যাটেনদের বিদায়ী অনুষ্ঠানে সরাসরি এডুইনার উদ্দেশে নেহরু তার বক্তৃতায় বলেছিলেন, আপনি যেখানেই গিয়েছেন, শান্তি বয়ে নিয়ে এসেছেন। সবাইকে আশা ও উৎসাহ দিয়েছেন। তাই ভারতীয়রা আপনাকে ভালবাসবেন, শ্রদ্ধা করবেন, আপনাকে এখানকার একজন বলেই মনে করবেন। আপনি চলে যাচ্ছেন বলে দুঃখ পাবেন এতে তো আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই!
×