ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বাহালুল মজনুন চুন্নু

জাতির পিতার হত্যার প্রতিবাদমুখর সেই দিনগুলো

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ১ আগস্ট ২০১৭

জাতির পিতার হত্যার প্রতিবাদমুখর সেই দিনগুলো

সেদিন কেমন ছিল ১৫ আগস্টের সেই ভোর/সেই রাত্রির বুকচেরা আমাদের প্রথম সকাল/সেদিন কিছুই ঠিক এমন ছিল না/সেই প্রত্যুষের সূর্যোদয় গিয়েছিল/সহস্র যুগের কালো অন্ধকারে ঢেকে/কোটি কোটি চন্দ্রভুক অমাবস্যা তাকে গ্রাস করেছিল/রাত্রির চেয়েও অন্ধকার ছিল সেই অভিশপ্ত দিনÑ মহাদেব সাহার ‘সেই দিনটি কেমন ছিল’ কবিতার মধ্যেই প্রকাশিত হয়ে যায় বাঙালী জাতির ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কময় দিনের কথা। যেদিন ভোরে অবিনশ্বর প্রতিভারূপী হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, যাঁর দীর্ঘ সংগ্রাম-ত্যাগ-তিতিক্ষা ও নেতৃত্বে তেইশ বছরের তীব্র বঞ্চনা-লাঞ্ছনা-বৈষম্যের বেড়াজাল থেকে মুক্তি পেতে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া লাখো বাঙালীর আত্মবিসর্জনের মধ্য দিয়ে বিশ্বের বুকে স্বাধীন সার্বভৌম ভূখ- হিসেবে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশ, বাঙালী নিতে পেরেছে নিশ্চিত নিঃশ্বাস। সেই তাঁকেই যখন সপরিবারে এদেশের আলো হাওয়ায় লালিত মানুষরূপী কয়েকজন লোভী নরঘাতক বুলেটের আঘাতে নিস্তব্ধ করে দেয়, তখন তীব্র হৃদবেদনায় ক্ষণিকের তরে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়লেও প্রতিশোধের আগুন চিত্তে লেলিহান শিখার মতো দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে আমার এবং সেই সঙ্গে আমাদের। সহসা ঘুমের তল্লাট ছেড়ে/শান্তি পালাল আজ।/দিন ও রাত্রি হল অস্থির/কাজ, আর শুধু কাজ!/জনসিংহের ক্ষুব্ধ নখর/হয়েছে তীক্ষè, হয়েছে প্রখর/ওঠে তার গর্জন-/প্রতিশোধ, প্রতিশোধÑ সুকান্ত ভট্টাচার্যের জনতার মুখে ফোটে বিদ্যুদ্বাণী কবিতার এই লাইনগুলো মনে উদয় হতে থাকে আর আমরা জাতির পিতার হত্যার প্রতিশোধ নিতে, হত্যার প্রতিবাদ করতে হতে থাকি বজ্রসম দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। কিন্তু দুর্ভাগ্য, এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আগেই কার্ফ্যু জারি এবং বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে দেয় খুনীচক্র। ওই অভিশপ্ত দিনে ক্যাম্পাস এলাকায় টইল দিচ্ছিল মেশিনগান সজ্জিত ট্যাঙ্ক। হতবিহ্বল বিক্ষুব্ধ আমরা তাই কেউ কারও সঙ্গে যোগাযোগ করে আন্দোলনে নামতে পারিনি সেইদিন। তবে সেদিনই ভৈরব, কিশোরগঞ্জ, খুলনা এবং বরগুনাসহ ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জায়গায় হয়েছিল প্রতিবাদী মিছিল। কিন্তু তা তীব্র আন্দোলনে রূপান্তরিত হওয়ার সুযোগ পায়নি। একদিকে কার্ফ্যু অন্যদিকে জাতীয় চার নেতার গ্রেফতার, শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্বের আত্মগোপন, পদস্খলন কিংবা ভীত হয়ে কারও কারও খুনী মোশতাকের মন্ত্রিসভায় যোগদানের কারণে আন্দোলন দানা বেঁধে উঠেনি। সাধারণ কর্মীরা খুঁজে পায়নি কোন শীর্ষনেতাকে। সেই সময় যদি শীর্ষ নেতাদের কেউ প্রতিবাদের উদ্যোগ নিতেন তবে হয়ত ইতিহাস লেখা হতো ভিন্নভাবে। কঠিনতর সেই পরিস্থিতিতে ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়নের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় ছাত্রলীগের আমরা কয়েকজন নেতা-কর্মী প্রতিবাদী আন্দোলন-সংগ্রাম করার জন্য গোপনে আলোচনা চালাতে থাকি। ১৮ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় খোলে। এর আগের রাতেই একদল অকুতোভয় কর্মী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কলাভবন, মধুর ক্যান্টিন, কার্জন হলসহ পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পোস্টার ও দেয়াল লিখনে ভরিয়ে দেন। দেয়াল লিখনের ভাষা ছিল ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’, ‘এক মুজিবের রক্ত থেকে লক্ষ মুজিব জন্ম নেবে’। ২০ অক্টোবর মধুর ক্যান্টিনের সামনে জাতির পিতার হত্যার প্রতিবাদে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছিলাম আমরা। এরপর মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেছিলাম। মিছিলটি নিউ মার্কেটের সামনে পৌঁছলে পুলিশের বাধায় ছত্রভঙ্গ হয়ে যাই। আমাদের এ মিছিলই ছিল বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে ঢাকার প্রথম সংঘবদ্ধ মিছিল। এ মিছিল মোশতাকের ক্ষমতার মসনদকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল আর আশার আলো জ্বালিয়ে দিয়েছিল আওয়ামী লীগের দিশেহারা দিকভ্রান্ত নেতা-কর্মীদের মাঝে। নবেম্বরের চাপানউতোরের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার অন্যতম ক্রীড়নক, পাকিস্তানী গোয়েন্দাবাহিনীতে দীর্ঘদিন কর্মরত থাকা জিয়াউর রহমান সঙ্গীন হাতে ক্ষমতার মসনদে আসীন হওয়ার আগ পর্যন্ত সময়কাল ছিল বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ আন্দোলনের প্রথম পর্যায়। ২০ অক্টোবরের পরের দিনও আমরা প্রতিবাদ সমাবেশ করার চেষ্টা করি। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকেই দেখতে পাই ছাত্র নামধারী কতিপয় গুণ্ডা হকিস্টিক, লাঠিসহ আরও নানারকম অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করছে। আর আছে মোশতাকের লেলিয়ে দেয়া পুলিশ বাহিনী। আমরা মধুর ক্যান্টিনে গিয়ে যেই বসেছি, অমনি আমাদের ওপর হামলা চালায় তারা। আমরা তাদের এ ঘৃণ্য হামলায় ঘাবড়ে না গিয়ে একটি মিছিল বের করি। সেই মিছিলে কয়েকশ’ সাধারণ ছাত্রছাত্রীও আমাদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে নির্ভয়ে অংশগ্রহণ করেছিল। ওই দিনই সিদ্ধান্ত হয়েছিল ২৯ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে বঙ্গবন্ধুর ধানমণ্ডির বত্রিশ নম্বর বাসভবনে যাবে শোক মিছিল। খুনী মোশতাক, ফারুক, রশিদ, ডালিম গং আমাদের রাজপথে বের হলেই নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার হুমকি দিতে থাকে নানাভাবে। কিন্তু আমরা একটুও দমে যাইনি। নানা হুমকি-ধমকি, প্রতিবন্ধকতার মাঝেও শোক মিছিল সফল করার জন্য সর্বাত্মক কার্যক্রম গ্রহণ করেছিলাম আমরা। ‘কাঁদো বাঙালী কাঁদো’ শিরোনামে একটি লিফলেট বের করি। প্রায় লাখখানেক লিফলেট ছাপানো হয়েছিল পুরনো ঢাকার পূর্ববঙ্গ প্রেস থেকে। এই লিফলেট বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ পুরো ঢাকা শহরে বিলি করা হয়েছিল খুনী শাসকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে। লিফলেট বিতরণ করতে গিয়ে কয়েকজন গ্রেফতারও হয়েছিলেন। লিফলেট বিতরণের সময় ছাত্র-জনতার কাছ থেকে অকল্পনীয় সাড়া পাই আমরা। বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে খুনীচক্র মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে তাঁকে জনতার মন থেকে মুছে ফেলার যে চেষ্টা চালিয়েছে তাতে যে আদৌ কোন লাভ হয়নি তা আমাদের কাছে সেই সময় স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়। তাই আমরা বড় ধরনের শোক মিছিল ও প্রতিবাদী আন্দোলন করার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ২৯ অক্টোবরের পরিবর্তে মিছিলের দিন ৪ নবেম্বর ঠিক করি। এই নতুন তারিখকে সামনে রেখে আমরা নতুন উদ্যমে ঝাঁপিয়ে পড়ি। কাজের সুবিধার্থে কয়েকটি টিম গঠন করা হয়। আমরা বক্তব্যে রাখতে গিয়ে নিজেরা অশ্রু সংবরণ করতে পারতাম না। হৃদয়ের গহীনে লুকানো ব্যথা জেগে উঠত। ছাত্রছাত্রীরাও হয়ে উঠত অশ্রুসিক্ত, হৃদয় ভারাক্রান্ত। সেই বেদনাতুর অনুভূতি খুঁজে পাওয়া যায় পদ্মশ্রীপ্রাপ্ত ভারতের মণিপুরী কবি এলাংবম নীলকান্ত সিংয়ের ‘তীর্থযাত্রা’ গ্রন্থে ‘শেখ মুজিব মহাপ্রয়াণে’ কবিতায়। তিনি লিখেছেন- ‘হে বঙ্গবন্ধু/ নিষ্ঠুর বুলেটের আঘাতে নিহত হয়েছো শুনে/ পেরিয়েছি আমি এক অস্থির সময়/ খোলা জানালা দিয়ে সুদূর আকাশের দিকে/ পলকহীন তাকিয়ে থেকেছি/ উত্তরহীন এক প্রশ্ন নিয়ে/ বিন্দু বিন্দু রক্ত দিয়ে গড়ে তুলেছিলে স্বদেশ তোমার/ কিন্তু এ কোন্ প্রতিদান পেলে তুমি।’ তিন নবেম্বরের ট্র্যাজেডির পর মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে ঘটে যায় সামরিক অভ্যুত্থান। পতন ঘটে খুনী মোশতাক সরকারের। কিন্তু সামরিক কর্তৃপক্ষ দেশে মিছিল, সমাবেশ, রাজনৈতিক কর্মসূচী নিষিদ্ধ করে। কিন্তু আমরা এ কর্মসূচী সফল করতে অনড় থাকি। চার নবেম্বর হাজার হাজার ছাত্র-জনতা ঐতিহাসিক বটতলায় হাজির হয়েছিল। দুপুর বারোটার দিকে বটতলা থেকে মৌন মিছিল নিয়ে নীলক্ষেতের দিকে গেলে সেখানে পুলিশ, বিডিআর ও সেনাবাহিনী আমাদের গতিরোধ করে। তাদের সঙ্গে আমাদের বাদানুবাদ চলে। তারা হামলা চালানোরও প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু আমরা দমে যাইনি। আমাদের অনমনীয়তা দেখে বাধ্য হয়েই তারা ব্যারিকেড সরিয়ে ফেলে। সায়েন্স ল্যাবের মোড় থেকে একটি বড় মিছিল আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়। মিছিল ক্রমেই দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হতে থাকে। কলাবাগান মাঠে খালেদ মোশাররফের মা ও ভাই রাশেদ মোশাররফের নেতৃত্বে একটি মিছিল আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর রক্তে স্নাত বত্রিশ নম্বর বাড়িটির সামনে গেলে সৃষ্টি হয় আবেগঘন এক পরিবেশ। জনতা ভেঙ্গে পড়েন কান্নায়। সেখানে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের নিহত সদস্যদের জন্য গায়েবানা জানাজা পড়া হয়। করা হয় প্রতিবাদ সমাবেশ। জনস্রোতের সেই মিছিল সমাবেশ, সেই হৃদয়ভাঙ্গা কান্না আমাদের জুগিয়েছিল জাতির পিতার খুনের বদলা নিয়ে দেশকে কলঙ্কমুক্ত করার শক্তি অর্জনে। সমাবেশ শেষে আবার মিছিল করে ফেরার সময় আমরা জানতে পারি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছে মোশতাকের খুনীচক্র। শোকের ওপর শোক। বিক্ষোভে ফেটে পড়ি আমরা। মধুর ক্যান্টিনে গিয়ে আবারও প্রতিবাদ সমাবেশ করি। ওইদিন বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট অধিবেশনে ছাত্র প্রতিনিধি ইসমত কাদির গামা, কাজী ফিরোজ রশিদ, মাহবুব জামান ও অজয় দাশগুপ্তের উদ্যোগে সর্বসম্মতভাবে অনুমোদিত হয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও তাঁর হত্যাকাণ্ডের নিন্দা প্রস্তাব। বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় সমাবেশ হয়। সেখান থেকে বঙ্গবন্ধু এবং জাতীয় চার নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে ৫ নবেম্বর ঢাকায় আধাবেলা হরতালের ডাক দেয়া হয়। পুলিশ, সেনাবাহিনীর তোয়াক্কা না করে হরতাল সফল করি আমরা। হরতাল শেষে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে বিপুলসংখ্যক মানুষের সমাবেশে ১৫ আগস্ট আর ৩ নবেম্বরে নিহতদের গায়েবানা জানাজা পড়া হয়। এর পরের দিনও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ মিছিল করি আমরা। কিন্তু দুর্ভাগ্য, ৭ নবেম্বরে আরেক সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে ইতিহাসের আরেক খলনায়ক জিয়াউর রহমান ক্ষমতা কুক্ষিগত করলে এদেশ প্রবেশ করে এমন এক অন্ধকারের জগতে, যেখানে নির্যাতন-নিপীড়নে নিষ্পেষিত হয়েও মানুষ পারত না কোন প্রতিবাদ করতে। তারপরও জিয়াউর রহমান ক্যাম্পাসে প্রবেশে চেষ্টাকালে সেনাসদস্যের বুলেটের তোয়াক্কা না করে রাস্তায় শুয়ে পড়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। আমাদের মাড়িয়ে যাওয়ার সময় তার চোখেমুখে বালি ছুড়ে বঙ্গবন্ধুর খুনীর প্রতি তীব্র ঘৃণার বহির্প্রকাশ করেছিলাম আমরা। ৭৮ সালে ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আর আমি সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হলে বত্রিশ নম্বর বাড়িতে গিয়ে আমরা বঙ্গবন্ধুর রক্ত ছুঁয়ে শপথ করেছিলাম যেভাবেই হোক তাঁর খুনের বদলা নেব। সারাদেশ চষে বেড়িয়ে ছাত্রলীগকে সংগঠিত, শক্তিশালী করে আওয়ামী লীগের বন্ধুর যাত্রাপথকে সহজ করে তুলেছিলাম। আমরা তা পেরেছিলাম জাতির পিতার আদর্শকে বুকে ধারণ করেছিলাম বলেই। তাই সৈয়দ শামসুল হকের আমার পরিচয় নামক কবিতার মতো বলতে হয়- ‘এই ইতিহাস ভুলে যাবো আজ, আমি কি তেমন সন্তান?/ যখন আমার জনকের নাম শেখ মুজিবুর রহমান;/ তাঁরই ইতিহাস প্রেরণায় আমি বাংলায় পথ চলি-/ চোখে নীলাকাশ, বুকে বিশ্বাস, পায়ে উর্বর পলি।’ লেখক : সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
×