ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ১ আগস্ট ২০১৭

ঢাকার দিনরাত

এই শ্রাবণেও ঢাকার তাপমাত্রা পঁয়ত্রিশে উঠে যাচ্ছে! একদিকে টানা বৃষ্টি, অন্যদিকে অসহ্য গরমÑ দুটোরই পুনরাবৃত্তি হলো গত এক সপ্তাহে। তবে বছরের বিশেষ ও ব্যতিক্রমী একটি দিন হয়ে উঠেছিল বুধবার। প্রতিবছর এমন দিন আসে না যখন পুরো ঢাকা শহরই কমবেশি জলমগ্ন হয়ে ওঠে এবং তীব্র যানজটে মানুষ নাকাল হয়। সে প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে সপ্তাহের দ্বিতীয় ছুটির দিন শনিবার প্রসঙ্গে দুয়েকটা কথা বলা যাক। আগেও বলেছি, যানজটের ঢাকা এখন আর শুক্র-শনিবার মানে না। নিত্যদিন বিরক্তিকর যানজটে ধ্বস্ত-চলাচল এবং শহরের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে যাতায়াতের বিবেচনায় ঢাকার প্রধান কয়েকটি সড়কের ভেতর অবধারিতভাবে পড়ছে নিউমার্কেট থেকে আসাদ গেট হয়ে গাবতলী/মিরপুরগামী সড়ক এবং মহাখালী থেকে কাকলী-বনানী হয়ে টঙ্গীর রাস্তা। শনিবার সন্ধ্যার পরে এ দুটি পথে গাড়ির বহর মাঝেমধ্যে এমন স্থবির হয়ে পড়ছিল যে বলা যায় ধীরলয়ে পায়ে হেঁটে সহজেই দূরত্বটুকু অতিক্রমণীয়। আর অবৈধ পার্কিংয়ের স্বর্গ সাত মসজিদ রোডের কথা না বললেই নয়। ধানম-ির তিন-চার কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এই রাস্তার দু’পাশে শত শত প্রতিষ্ঠান, আবার মূল সড়ক থেকে গলিপথে বা পার্শ্ব সড়কেও রয়েছে শত শত দোকানপাট। বাসাবাড়ির কথা না হয় বাদই দিলাম। সহজেই অনুমান করা যায় সারাদিন লাখ লাখ মানুষ এই রাস্তাটি ব্যবহার করছেন। বিশেষ করে বিকেলের পর এটিতে লোকসমাগম বেড়ে যায়। ফলে রাস্তার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যেতে গাড়ি আরোহীদের সময়ের বিরাট অপচয় হয়। এলাকাবাসীদের হয়তো সয়ে গেছে এই চরম দুরবস্থা। কিন্তু কোন প্রয়োজনে অন্য এলাকার মানুষ সাত মসজিদ রাস্তায় গেলে পরের দফা সেখানে যেতে বিলক্ষণ সাতবার ভাববেন। ঢাকায় বন্যা! জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে যা লিখেছিলাম শেষ সপ্তাহে এসে তার অকাট্য বাস্তব রূপ দেখে বিস্মিত নয়, বিরক্ত হলাম। লিখেছিলাম : বর্ষা আসার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকাবাসীর দুর্ভোগের শুরু। সেটি হলো জলাবদ্ধতা। ঢাকা শহরে মাত্র দুই ঘণ্টা একনাগাড়ে বৃষ্টি হলে বহু এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়া নতুন কিছু নয়। জলাবদ্ধতা মানেই চলাচলে মন্থরগতি চলে আসা। প্রধান প্রধান সড়ক বৃষ্টিতে তলিয়ে না গেলেও দু’পাশে অনেকটা পানি জমে যায়, ফলে চলাচলের জন্য সড়কও সঙ্কুচিত হয়ে আসে। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতেই ঢাকায় যানজট লেগে থাকে। তার ওপর জলজট হলে সেই যানজট কতখানি অসহনীয় হয়ে ওঠে তা ঢাকাবাসী মাত্রই জানেন। সংবাদপত্রের পাতায় আবার জায়গা করে নেয় সড়কের খানাখন্দে পড়ে রিক্সা উল্টে বৃষ্টির জমে থাকা পানিতে নাস্তানাবুদ হওয়া পথচারীদের ছবি। এসব দেখে কষ্টের পাশাপাশি ক্ষোভের উদ্রেক হয়। একই কথা বার বার বলতে কারই বা ভাল লাগে! তবু বলতেই হচ্ছে। এই অবস্থার অবসান হবে কবে? ইতোমধ্যে এক দু’দিনের বৃষ্টি আমাদের ইঙ্গিত দিয়েছে আগামী দিনগুলোতে কী হবে ঢাকার পানি নিষ্কাশন ও যাতায়াতের অবস্থা। একটি আধুনিক নগরীতে জলাবদ্ধতার কোন সুযোগ নেই। ঢাকা মহানগর অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠায় এবং শরণাপন্ন দশায় উপনীত হওয়ার পরও সাবধানতা অবলম্বন করে যথাযথ পদক্ষেপ না নেয়ায় এ শহর এখন জলাবদ্ধতার শিকার। শুধু জলাবদ্ধতা না বলে এটাকে মহাজলাবদ্ধতা বললেই বোধকরি সঠিক হবে। অন্তত এ বছর বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার পর ঢাকায় নতুন নতুন এলাকায় জলজট দেখা দেয়ায় একথা নির্দ্বিধায় বলা চলে। একদিকে ঢাকার জলাশয় ও খালগুলোকে ভরাট করে বহুতল ভবন গড়ে তোলা হয়েছে। অন্যদিকে মহানগরীর চারপাশের নদীগুলোকে দখল-দূষণের মাধ্যমে অকার্যকর করে ফেলা হয়েছে। তাই স্বাভাবিক বৃষ্টিতে জল ধরে রাখা, জলের প্রবাহ এবং সর্বোপরি জলের গন্তব্যÑ সব এলোমেলো করে ফেলা হয়েছে। এক মহাবিপর্যস্ত পরিস্থিতি। ফলে কোন টেকনিকই আর কাজে আসছে না। এর ওপর রয়েছে অতিরিক্ত জনচাপ এবং যানের আধিক্য। ঢাকায় শেষ বড় বন্যা হয়েছিল আটাশিতে। শাপলা চত্বরে চলেছিল নৌকা। এরপর ফিবছর বন্যা নয়, জলাবদ্ধতার কবলে পড়ছে ঢাকা। তবে মাঝেমধ্যে পরিস্থিতি এতটাই বিরূপ হয়ে ওঠে যে, কোন কোন সড়কের জলাবদ্ধতা ঢাকাবাসীকে আটাশির বন্যার স্মৃতিই মনে পড়িয়ে দেয়। বুধবার, ২৬ জুলাই। এদিন মহাজলাবদ্ধতার শিকার হয় রাজধানী! মহানগরী ঢাকার এমন কোন এলাকা নেই, যেখানে জলাবদ্ধতা ও যানজট হয়নি। বাসাবো, মুগদাপাড়ার মতো অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকা তো বটেই, আজিমপুর, নিউমার্কেট থেকে ধানম-ি, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, মালিবাগ, মৌচাক, রামপুরা, মতিঝিল, ডেমরা এমনকি রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয় পর্যন্ত জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল। সরকারের উদ্যোগ সম্পর্কে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি প্রমিজ করছি, সামনের বছর থেকে আর এমন (জলাবদ্ধতা) দেখবেন না। কিছুদিনের মধ্যেই নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে।’ রবিবার ‘ঢাকার দিনরাত’ লেখার ফাঁকে ফেসবুকে ঢুঁ মারতে গিয়ে এক বন্ধুর পোস্ট অনুসরণ করে সোজা চলে যাই ‘হাতিরঝিলে ডুবছে ঢাকা’ শীর্ষক একটি নিউজ লিংকে। বাংলা ট্রিবিউনের প্রতিবেদক শাহেদ শফিকের ওই প্রতিবেদনে তথ্য-অভিমত-যুক্তি বিশ্লেষণ করলে পাঠক একমত হবেন যে হাতিরঝিল সংশ্লিষ্ট এরাকাবাসীর জন্য বর্ষাকালে কী বিড়ম্বনা সৃষ্টি করছে। শুধু বর্ষার দোহাই না দিয়ে সারা বছরের কথাও বলা যায় দুর্গন্ধ ছড়ানো পরিবেশ দূষণের আধিক্য বোঝাতে। প্রতিবেদন থেকে চুম্বক অংশ তুলে দিচ্ছি: হাতিরঝিল প্রকল্প সূত্র জানিয়েছে, ৯টি মেকানিক্যাল স্ক্যানারের মাধ্যমে ঝিলের আশপাশের এলাকার বাসাবাড়ির ও বৃষ্টির পানি ঢাকা ওয়াসার ড্রেনের মাধ্যমে হাতিরঝিলে অপসারিত হয়। কিন্তু নগরজুড়ে ৫০ মিলিমিটারের ওপরে বৃষ্টি কিংবা টানা বর্ষণ হলে এই স্ক্যানারগুলো পানির চাপ সামলাতে পারে না। তখন পানি জমাট বেঁধে পুরো এলাকা প্লাবিত হয়। গত বুধবারের বৃষ্টিতে ঢাকা মহানগরীর প্রধান অংশে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তার প্রধান কারণ এটি।...বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মজিবুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি হাতিরঝিলে পানি প্রবেশে যে ৯টি সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে সেই সংযোগে পানি দিতে ওয়াসার ড্রেনগুলোর ক্যাপাসিটি একেবারেই নেই। এতে ঠিকমতো পানি সরবরাহ হয় না। যে কারণে জলজটের সৃষ্টি হয়। ঢাকা ওয়াসার যেসব ড্রেন রয়েছে সেগুলো কঠিন বর্জ্যে ভরাট হয়ে গেছে। গত ৪০ বছরে তারা ড্রেনেজ সিস্টেমের কোনও উন্নয়ন করেনি। যে কারণে বেশি বৃষ্টি হলে মেকানিক্যাল স্ক্যানারগুলো খুলে দিতে হয়। এতে হাতিরঝিলের পরিবেশ ও পানি নষ্ট হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পরামর্শ ছিল, বর্জ্য পানি শোধনের জন্য একটি বর্জ্য ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনের। এটি রামপুরা ব্রিজ থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে স্থাপনের কথা ছিল। এই প্ল্যান্ট পানি শোধন করে ছেড়ে দেবে। কিন্তু তখন কেউ তা আমলে আনেনি।’ নতুন বাস ও যাত্রী ছাউনি ঢাকার অন্যতম মেয়র আনিসুল হক ঢাকাবাসীর জন্য নতুন সুসংবাদ দিয়েছেন। ৪০০০ নতুন বাস নামানো হচ্ছে এবং বাস মালিকরা এ ব্যাপারে আপত্তি করছেন না। তারা এই নতুন নিয়মের অধীনে রাজধানীর অভ্যন্তরে বাস সার্ভিস থেকে শেয়ার অনুযায়ী মুনাফা পাবেন। ঢাকায় প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বাস-মিনিবাস চলে। এগুলোর মালিক প্রায় দুই হাজার। প্রতি তিনটি বাসের জন্য একজন মালিক। একই কোম্পানিতে একাধিক মালিক থাকার কারণে আগে যাওয়ার প্রতিযোগিতা হয়। আবার পেছনের বাস যাতে যেতে না পারে, এ জন্য বাসগুলো রাস্তাজুড়ে দাঁড়িয়ে থাকে। এতে তৈরি হয় যানজটের। ঢাকায় চলাচলকারী বাস-মিনিবাসের সংখ্যা নিয়ে একটু খটকা লাগল। খোঁজখবর করতে গিয়ে জানা গেল, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) হিসাব অনুযায়ী বর্তমানে রাজধানীতে শতাধিক কোম্পানি ও ব্যক্তিগত মালিকানায় প্রায় সাড়ে ৯ হাজার বাস ও মিনিবাস চলছে। চার বছর আগেও এ সংখ্যা ছিল সাত হাজার। মেয়রের হিসাবকে বিবেচনায় নিলেও প্রশ্ন থেকে যায়। সাড়ে পাঁচ হাজার বাস-মিনিবাস ঢাকায় চললেও তা যাত্রীর চাহিদা মেটাতে পারছে না। সেখানে দেড় হাজার বাস কমিয়ে দেয়া হলে অবস্থা কী দাঁড়াবে? এতে নগরীতে গণপরিবহপনের সৌন্দর্য ও শৃঙ্খলা রক্ষা হবে, এটা ঠিক। কিন্তু যাত্রীদের বড় একটা অংশ যান-বঞ্চিত থেকে যাবেন বলে আশঙ্কা হয়। এবার আসা যাক, শহরের যাত্রী ছাউনি প্রসঙ্গে। এখানেও মেয়রের উদ্যোগের প্রশংসা করতে হবে। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২০টি স্থানে এসব বাস স্টপেজ কাম যাত্রী ছাউনি তৈরি করা হবে। রাজধানীকে চারটি রুটে ভাগ করে পাইলট প্রকল্প হিসেবে প্রাথমিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে ১০টি করে মোট বিশটি স্থানকে নির্বাচন করা হয়েছে। পরবর্তীকালে আরও শতাধিক স্থানে এরকম যাত্রী ছাউনি তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে। সর্বাধিক যাত্রী কোন স্টপেজ ব্যবহার করেনÑ এমন প্রশ্ন করা হলে নিঃসন্দেহে যে উত্তরটি বেশি পাওয়া যাবে তা হলো ফার্মগেট। সেদিনও দেখলাম এখানে বৃষ্টির মধ্যে শখানেক লোক দাঁড়িয়ে বাসের অপেক্ষা করছেন। পাশেই একটি জায়গা রয়েছে যেটি ব্যবহৃত হতো যাত্রী ছাউনি হিসেবে। বেশ ছোট পরিসর। তবু নেই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো। সে জায়গাটি পর্দা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে (ছবি দেখুন)। যাত্রীদের ভোগান্তি দূর হবে কবে? বাস বা অন্য যানবাহনের অপেক্ষারত নাগরিকদের জন্যই যাত্রী ছাউনি। বসার জন্য বেঞ্চ আর মাথার ওপর অর্ধবৃত্তাকার ছাদÑ এই নিয়ে সনাতন যাত্রী ছাউনি। রোদ-বৃষ্টি থেকে বাঁচার আশ্রয়। দীর্ঘ অপেক্ষার সময়ে বসে একটু জিরিয়ে নেয়ার সুবিধা (তবে নতুন ২০টি যাত্রী ছাউনি হবে অত্যাধুনিক, এর প্রতিটির বাজেট ধরা হয়েছে ২৫ লাখ টাকা)। অথচ এখন রাজধানীর বেশিরভাগ যাত্রী ছাউনিতেই বসার বেঞ্চ নেই, জায়গাটি দখল করে নিয়েছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। গড়ে উঠেছে অবৈধ দোকানপাট, খোলা হয়েছে খাবার হোটেল। রাতের বেলা এগুলো বখাটে আর মাদকসেবীদের আখড়ায় পরিণত হয়। যাত্রী ছাউনিতে বসা তো দূরের কথা, অনেক সময় দাঁড়ানোরও সুযোগ মেলে না। তুমুল বৃষ্টির সময় পথচারীরা হাড়ে হাড়ে টের পান যাত্রী ছাউনির অনুপস্থিতি। প্রসঙ্গত, মহানগরীতে যেসব গণপরিবহন চলাচল করে তার যেমন একটি সূচনা স্টপেজ থাকে, তেমনি থাকে সর্বশেষ গন্তব্য। ঢাকার উত্তর প্রান্তের সূচনা স্থানটিই আবার দক্ষিণ প্রান্তের যাত্রীদের কাছে সর্বশেষ গন্তব্য। তাই সূচনা ও গন্তব্যÑ দুটোরই রয়েছে পক্ষবিশেষে অভিন্ন বা যুগল পরিচয়। ঢাকার উত্তর প্রান্ত অর্থাৎ টঙ্গীর কাছাকাছি আবদুল্লাহপুর বাস স্টপেজ থেকে একমাত্র এসি সার্ভিস বিআরটিসির বাস যাত্রা শুরু করে মতিঝিলের গন্তব্যে। তাই আবদুল্লাহপুরের বা ছাড়ার স্থানটি কিছুটা বিশেষত্ব দাবি করে। সেখানে একটি যাত্রী ছাউনি থাকবে, বহু যাত্রী যাতে সুস্থিরভাবে বাসের অপেক্ষা করতে পারেন সেজন্য সুবন্দোবস্ত থাকবে। এমনও দেখা যায় অফিস আওয়ারে পঞ্চাশ-ষাটজনও বাসে ওঠার লাইনে দাঁড়িয়ে যান। কোথায় দাঁড়ান তারা? বাধ্য হয়ে খোলা নর্দমার পাশেই তাদের দাঁড়াতে হয়। কী রোদ কী বৃষ্টিÑ এর কোন ব্যতিক্রম নেই। যেহেতু সেখানে কোন যাত্রী ছাউনি নেই। খোলা নর্দমা পেলে বাঙালী কি আর সেখানে কেবল জলবিয়োগই করে? অন্য কিছু কি সারে না! সারে বৈকি। ফলে জায়গাটায় মাছি ভনভন করতে থাকে। অপেক্ষারত দ-ায়মান লোকদের পোশাকে উড়ে এসে বসে। অথচ জায়গাটা বেশ সুপরিসর, সাধারণত প্রধান সড়কের পাশে এতখানি জায়গাজুড়ে খালি স্থান পাওয়া যায় না। সেদিক দিয়ে বিচার করলে এই সুযোগকে খুব ভালমতোই কাজে লাগিয়ে জমজমাট করে তোলা যায়। তবে সবার আগে লম্বা খোলা নালাগুলো ঢাকা চাই। একটা শহর তো এমনি এমনি অভব্যতা অসুস্থতা এড়িয়ে স্বাস্থ্যকর ও দৃষ্টিনন্দন হয়ে ওঠে না। সংবৃতার এক যুগ দেশে আবৃত্তিশিক্ষা ও আবৃত্তিচর্চায় গুণমান বাড়ানোর লক্ষে বেশ কিছু আবৃত্তি সংগঠন কাজ করে চলেছে। এগুলোর ভেতর উল্লেখযোগ্য আবৃত্তি সংগঠন ‘সংবৃতা’ প্রতিষ্ঠার এক যুগ পূর্তি উপলক্ষে বর্ণাঢ্য আয়োজন করেছে। তারই প্রথম পর্বের অনুষ্ঠানটি ছিল শনিবার। বিশিষ্ট আবৃত্তি-সংগঠকবৃন্দের আলোচনায় এদিন দেশের আবৃত্তিশিল্পের নানা বাস্তব দিক উঠে আসে। একক ও দলগত পরিবেশনা দর্শকদের আনন্দ দেয়। সভাপতি এ কে এম সামছুদ্দোহা বলেন, সংবৃতা এ পর্যন্ত ত্রিশটিরও বেশি আবৃত্তি কর্মশালার আয়োজন করেছে। সাধারণ সম্পাদক সামসুজ্জামান বাবু জানান, আগামী ২২-২৩ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারে আবৃত্তি উৎসব’১৭ উদযাপিত হবে। ৩০ জুলাই ২০১৭ [email protected]
×