ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ছয় বছর পর ওজনিয়াকি

প্রকাশিত: ০৫:০১, ৩১ জুলাই ২০১৭

ছয় বছর পর ওজনিয়াকি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের সাবেক নাম্বার ওয়ান তারকা ক্যারোলিন ওজনিয়াকি। কিন্তু এখনও মেজর কোন শিরোপা জয়ের স্বাদ পাননি ডেনমার্কের এই টেনিস তারকা। তবে হাল ছাড়তে নারাজ ২৭ বছর বয়সী ক্যারোলিন ওজনিয়াকি। টেনিস কোর্টে স্বরূপে ফেরার জন্য সবধরনের চেষ্টাই করে যাচ্ছেন তিনি। সুইডিশ ওপেনেও নজরকাড়া পারফর্মেন্স উপহার দিয়ে টুর্নামেন্টের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছেন সাবেক এই নাম্বার ওয়ান। এর ফলে দীর্ঘ ছয় বছর পর প্রথমবারের মতো আউটডোর ক্লে কোর্টের কোন টুর্নামেন্টের ফাইনালের টিকেট কাটলেন ক্যারোলিন ওজনিয়াকি। শনিবার সুইডিশ ওপেনের সেমিফাইনালে বেলজিয়ামের এলিস মার্টেন্সকে পরাজিত করেন তিনি। টুর্নামেন্টের শীর্ষ বাছাই ওজনিয়াকি এদিন ৭-৫, ৪-৬ এবং ৬-২ সেটে পরাজিত করেন এলিস মার্টেন্সকে। সেইসঙ্গে চলতি মৌসুমের ৪২তম ম্যাচ জয় তুলে নেন তিনি। তবে শেষ আটের ম্যাচটা জিততে তিন সেট খেলতে হয়েছে ওজনিয়াকিকে। ম্যাচ শেষে নিজেও স্বীকার করেছেন যে, ঘাম ঝরিয়েই জয় পেয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের সাবেক নাম্বার ওয়ান এই তারকা বলেন, ‘ম্যাচটা খুবই কঠিন ছিল। এলিস মার্টেন্স আসলেই খুব ভাল খেলছিল। সে সময় কোর্টে প্রচ- বাতাস বইছিল এবং সূর্যের আলোও খুব কম ছিল। এরমধ্যেই সে আক্রমণাত্মক খেলা উপহার দেয়।’ সুইডিশ ওপেনে এই নিয়ে পঞ্চমবারের মতো ফাইনাল খেলছেন ক্যারোলিন ওজনিয়াকি। এবার শিরোপা জয়েরও স্বপ্নে বিভোর ড্যানিশ তারকা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা খুবই ইতিবাচক ব্যাপার যে টুর্নামেন্টের পঞ্চম ফাইনাল খেলছি আমি। তবে এবার নিশ্চিত জয়ের জন্যই কোর্টে নামব।’ শিরোপা জয়ের পথে ড্যানিশ টেনিস তারকার পথে বাধা এখন চেক প্রজাতন্ত্রের ক্যাটেরিনা সিনিয়াকোভা। বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ে তার অবস্থান ৫৬। সেমিফাইনালে তিনি রীতিমতো চমকে দিয়েছেন। ৬-২ এবং ৭-৫ গেমে পরাজিত করেছেন ফ্রেঞ্চ ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালিস্ট ক্যারোলিন গার্সিয়াকে। এক বছর আগে এই টুর্নামেন্টেই ক্যারিয়ারের প্রথম ফাইনাল খেলেন তিনি। এরপর এ বছরে ক্যারিয়ারের প্রথম শিরোপা জয়েরও স্বাদ পান চেক তারকা। শেহজেনের পর সুইডিশ ওপেনেও দুর্দান্ত সিনিয়াকোভা। ম্যাচ শেষে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এটা আসলেই বিস্ময়কর। এখানকার পরিবেশও দারুণ। এখানে আসতে পেরেই আমি খুব সন্তুষ্ট ছিলাম। কারণ এখানে আবার খেলতে পারব কি না সে ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলাম না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসে ফাইনালে উঠলাম।
×