ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবল ॥ শেখ রাসেল কেসি ৩-০ মুক্তিযোদ্ধা

বিপিএলে শেখ রাসেলের উড়ন্ত সূচনা

প্রকাশিত: ০৪:৫৮, ৩১ জুলাই ২০১৭

বিপিএলে শেখ রাসেলের উড়ন্ত সূচনা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সাইফ পাওয়ার ব্যাটারি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবলের (বিপিএল) নতুন মৌসুমে দাপুটে শুরু করেছে শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র। রবিবার মৌসুমে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শেখ রাসেল ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্রকে। বঙ্গববন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বিজয়ী দলের হয়ে জোড়া গোল করেন গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড দাউদা সিসে। অপর গোলটি করেন মিডফিল্ডার খালেকুজ্জামান সবুজ। ম্যাচটি শুরু থেকেই উত্তেজনা ছড়ায়। আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে উপভোগ্য হয়ে ওঠে। তবে সময়ের পরিক্রমায় ম্যাচের লাগাম নিজেদের অধীনে নিয়ে নেয় রাসেল। অবশ্য ম্যাচের প্রথম ভাল সুযোগটি পায় মুক্তিযোদ্ধা। ২৩ মিনিটে ওভারল্যাপিং করে ডিফেন্ডার মনির আলম রাসেলের দুর্গে আক্রমণ শানান। তার নেয়া শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এরপর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় কোচ শফিকুল ইসলাম মানিকের শিষ্যদের অধীনে। ৩৩ মিনিটে এর ফলও আসে। মিডফিল্ডার খালেকুজ্জামান সবুজ গোল করে রাসেলকে এগিয়ে নেন। লেফটব্যাক আতিকুর রহমান মিশুর ক্রস থেকে বক্সের মধ্যে হেডে মুক্তির গোলরক্ষক উত্তম বড়ুয়াকে পরাস্ত করেন সবুজ। গোলটি পেয়ে আরও উজ্জীবিত হয়ে ৃওঠে রাসেল। দ্বিতীয় গোলও তাই চলে আসে মাত্র চার মিনিট পর। এবার গোলটি করেন বিদেশী ফরোয়ার্ড দাউদা চিসে। অধিনায়ক শাহেদুল আলম শাহেদের কাছ থেকে বল পেয়ে বক্সের মধ্য থেকে বাঁ পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। তিন ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে গোলটি করেন গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড। দুই গোল হজমের পর কিছুটা জেগে ওঠে গত লীগে পঞ্চম হওয়া মুক্তিযোদ্ধা। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে দুর্ভাগ্যের কারণে ম্যাচে ফেরা হয়নি তাদের। ডানদিক থেকে সৈকত মাহমুদ মুন্নার শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। বিরতির পর ৪৯ মিনিটে তানভির রানার হেড গোলরক্ষক জিয়াউর রহমান ফেরালে মুক্তিযোদ্ধার হতাশা আরও বাড়ে। ৭৮তম মিনিটে ফাঁকা পোস্টে বল পেয়েও নিজে শট না নিয়ে আলমগীর কবির রানা কাটব্যাক করেন। লক্ষ্যভেদে ভুল হয়নি চিসের। তার এই গোলে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় শফিকুল ইসমাল মানিকের রাসেল। আর মুক্তিযোদ্ধার ম্যাচে ফেরার আশাও শেষ হয়ে যায়। এরপর দেখার বাকি ছিল হ্যাটট্রিক করতে পারেন কিনা দাউদা। শেষদিকে সুযোগ কাজে লাগাতে না পারায় তা আর হয়নি। তাতে অবশ্য আপসোস নেই, কারণ লীগের শুরুটা দুর্দান্তই হলো তার দল শেখ রাসেলের। মুক্তিযোদ্ধা ১৯৯৭ ও ২০০০ সালে দু’বার লীগ শিরোপা জিতেছিল। কিন্তু ১৬ বছর ধরে তৃতীয় শিরোপাটি এখনও জিততে পারেনি তারা। ২০১০ এবং ২০১১ মৌসুমে রানার্সআপ হওয়াই ছিল তাদের সর্বশেষ সেরা সাফল্য। সেবার তাদের পথের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল যথাক্রমে শেখ জামাল ও আবাহনী। সর্বশেষ দুই লীগে তারা হয়েছে যথাক্রমে ষষ্ঠ ও পঞ্চম। এবার দলটি আরও ভাল করার লক্ষ্য নিয়ে মিশন শুরু করেছে। কিন্তু শুরুটা হলো নিদারুণ হতাশার। অন্যদিকে ঘরোয়া ফুটবলে ঐতিহ্যবাহী ঢাকা আবাহনী ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের পর আলোড়ন সৃষ্টিকারী ক্লাবের মধ্যে অন্যতম শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র। ২০১২-১৩ মৌসুমে ট্রেবল জিতে ইতিহাস গড়ে তারা। তবে গত মৌসুমে বড় বাজেটের দল গড়েও পেশাদার লীগে কাক্সিক্ষত ফল পায়নি তারা। হয়েছিল ১২ দলের মধ্যে অষ্টম। এবার তাই ব্যর্থতা ভোলার মিশন। এ লক্ষ্যে শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছে শেখ রাসেলের।
×